শাল্লায় ২ চেয়ারম্যান সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, কারাগারে ৪
- দিরাই শাল্লা (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ০৮ মে ২০২৪, ১৭:১৩
সুনামগঞ্জের শাল্লায় সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ চারজনকে গ্রেফতারের পর করাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
বুধবার (৮ মে) সকাল ১০টায় দু’পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে এলাকায় দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রট ও বিজিবি তাৎক্ষণিক উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, গ্রেফতার অপু দাস কান্দাগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। ভোট গ্রহণের আগের রাতে কান্দাগাও কেন্দ্র থেকে তাদেরকে আটক করার পর থেকে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা চলছিল। এর জের ধরে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা নির্বাচনে চব্বিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অবনী মোহন দাস (ঘোড়া) ও উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি (বহিস্কৃত) ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গণেন্দ্র চন্দ্র সরকার (আনারস) প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে।
এর আগে রাতে চব্বিশা কেন্দ্রে অন্য একটি কেন্দ্রের একজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারসহ পাঁচজনকে আটক করে থানায় নেয়া হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক শাল্লা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অবনী মোহন দাস (ঘোড়া) প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে টাকা বিতরণকালে স্থানীয় জনতা আটক করে ইউপি সদস্যের বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে শাল্লা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, যাচাই বাছাই করে চারজনের জনের নামে মামলা করা হয়েছে, তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে রাতে পাঁচজন আটকের পর থেকেই ছাব্বিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সকাল ১০টায় সংঘর্ষ হয়।
সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো: এহসান শাহ বলেন, রাতে এক প্রার্থীর পক্ষে টাকা বিতরণ কালে সহকারী প্রিজাইটিং কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। সকালে ছব্বিশা কেন্দ্রের বাহিরে দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। এছাড়া দিরাই ও শাল্লা উপজেলার সকল কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় বুধবার ভোট গ্রহণ হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা