১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

যুগলকে রাস্তায় ফেলে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল : সমালোচনা মোদির

যুগলকে রাস্তায় ফেলে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল : সমালোচনা মোদির - ছবি : সংগৃহীত

জায়গার উল্লেখ না করলেও লোকসভায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চোপড়ার ঘটনার সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সাথে টেনে আনলেন সন্দেশখালির প্রসঙ্গও, নাম উল্লেখ করেই।

যা থেকে স্পষ্ট যে মমতা ব্যানার্জি শাসনকালে পশ্চিমবঙ্গে ‘নারী নির্যাতন’-এর সমালোচনাই করতে চেয়েছেন তিনি। তবে তার আগে কিছুটা বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণের ভঙ্গীতেই মোদি বলে রাখলেন, কোনো একটি বিশেষ রাজ্যের সমালোচনা বা বিরোধিতা করা তার লক্ষ্য নয়। তার লজ্জা এবং দুঃখ, লোকসভায় কেউ এ নিয়ে একটিও কথা বললেন না বলে।

গত রোববারই উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় এক যুগলকে রাস্তায় ফেলে পেটানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয় (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা যায়নি)।

সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তাজিমুল ইসলাম ওরফে ‘জেসিবি’কে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে পুলিশ। জামিন-অযোগ্য ধারায় তার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও দায়ের করা হয়। আপাতত পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। সরকারের তরফে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে চোপড়ার আইসিকে। শাসকদলের তরফে শো-কজ করা হয়েছে এলাকার বিধায়ককে।

যদিও তাতে কেন্দ্রের শাসক এবং বাংলার প্রধান বিরোধীদল বিজেপির মুখ বন্ধ করা যায়নি। দিল্লির লোকসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে চোপড়ার ঘটনা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমালোচনা করেছেন বিজেপির একাধিক সাংসদ। তাদের মধ্যে ছিলেন অভিনেত্রী-সাংসদ কঙ্গনা রানাউতও। বুধবার প্রধানমন্ত্রীও রাজ্যসভায় ঘটনাটির পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দেন।

রাজ্যসভায় চোপড়ার নাম উল্লেখ না করে মোদি বলেন, ‘সম্প্রতি বাংলার একটি ঘটনা আমি ভাইরাল ভিডিও দেখেছি। এক নারীকে রাস্তায় ফেলে সকলের সামনে পেটানো হচ্ছে। ওই বোন যন্ত্রণায় চিৎকার করছেন। কিন্তু সেই চিৎকার কারো কানে পৌঁছাচ্ছে না। কেউ তাকে বাঁচাতে আসছেন না। উল্টা সকলেই ভিডিও রেকর্ড করতে ব্যস্ত।’

সেখানেই না থেমে মোদি টেনে আনেন সন্দেশখালির কথাও। বলেন, ‘আর যে ঘটনা সন্দেশখালিতে হয়েছে, তার ছবি দেখলে গায়ে কাঁটা দেয়!’

এরপরেই বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’কে আক্রমণ করে মোদি বলেন, ‘কাল থেকে কত বড় বড় দিগ্‌গজের কথা শুনলাম! কারো মুখে এ নিয়ে একটি কথাও শোনা গেল না। এর থেকে বড় লজ্জার আর দুঃখের ঘটনা আর কী হতে পারে?’

অর্থাৎ, মঙ্গলবার লোকসভার অধিবেশনে মোদি তথা সরকারপক্ষের সাথে নানা বিষয়ে বিরোধীদের বাকবিতণ্ডা হয়। বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী তার আগের দিন কথায় আক্রমণ করেন মোদিকে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement
ইসরাইলের সাথে সঙ্ঘাতে আগ্রহী নন সিরিয়ার নতুন নেতা সাবেক ফুটবলার কাভেলাশভিলিই জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট ঘড়ির সময় বদলাতে চান না ট্রাম্প ভারতীয় মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে অস্ত্র বাংলাদেশ : ওয়েইসি সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র খেয়ালখুশিমতো খরচ হয়েছে জলবায়ু তহবিলের অর্থ গুমে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন : র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ আরাকানে সাড়ে ৪ শ’সেনা নিহত, জান্তার নিয়ন্ত্রণ শেষ বিপাকে রোহিঙ্গারা ভারতসহ সাত ‘অসহযোগী’ দেশের তালিকা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের সিরীয়রা স্বাধীনতা উদযাপনের সময় দামেস্কে ইসরাইলের হামলা আগামীতে সবাইকে নিয়ে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে

সকল