১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ফ্রিজে গরুর গোশত রাখার অভিযোগে গুড়িয়ে দেয়া হলো ১১টি বাড়ি, জব্দ দেড় শতাধিক গরু

- ছবি : সংগৃহীত

ফ্রিজে গরুর গোশত রাখার অভিযোগে ভারতের মধ্যপ্রদেশে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে ১১টি বাড়ি। সেইসাথে কোরবানির জন্য রাখা দেড় শতাধিক গরুও জব্দ করেছে পুলিশ।

রোববার (১৬ জুন) এমন খবর দিয়েছে ভারতের কয়েকটি গণমাধ্যম।

খবরে প্রকাশ, ফ্রিজে গরুর গোশত রাখা রয়েছে- ‘গোপন সূত্রে’ এমন খবর পাওয়া মাত্রই অ্যাকশনে যায় পুলিশ। বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হলো বাড়ি। তাও আবার একটি নয়, পরপর ১১টি বাড়ি।

বলা হয়েছে, রাজ্যে বেআইনি গরুর গোশত বিক্রি রুখতেই এমন কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোপন সূত্রে খবর মিলেছিল মান্দলার নইনপুরের ভাইওয়াহি এলাকায় বিপুল সংখ্যক গরু এনে রাখা ছিল কোরবানির জন্য। এই খবর পেয়েই পুলিশ অভিযান চালায়। উদ্ধার করা হয় ১৫০টিরও বেশি গরু। ১১ জন অভিযুক্তের বাড়ির ফ্রিজ থেকে গরুর গোশত উদ্ধার করা হয়। ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় গরুর চামড়া ও হাড়গোড়। স্থানীয় সরকারি পশু চিকিৎসকও পরীক্ষা করে জানান যে উদ্ধার হওয়া গোশত গরুরই। নমুনাগুলো ডিএনএ পরীক্ষার জন্য হায়দরাবাদে পাঠানো হয়েছে।

এরপরই প্রশাসনের নির্দেশে ১১ জন অভিযুক্তের বাড়ি, যা সরকারি জমির উপরে তৈরি, তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। ইতোমধ্যেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি ১০ অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশে প্রকাশ্যে মাছ-গোশত, ডিম বিক্রি নিষিদ্ধ। পাশাপাশি ২০১২ সালে ‘গো-হত্যা প্রতিরোধ আইন’ কঠোর করা হয়েছে রাজ্যে। গরুর গোশত কেনা-বেচা নিষিদ্ধ। যদি কেউ ‘গো-হত্যা’য় অভিযুক্ত হয়, তবে ৭ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে।

সূত্র : আজকাল, টিভি৯বাংলা ডট কম, পূবের কলম


আরো সংবাদ



premium cement