১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

শনিবার হচ্ছে না মোদির শপথ

নরেন্দ্র মোদি - ছবি : সংগৃহীত

সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী রোববার (৯ জুন) ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় বার শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। তবে এর আগে শোনা গিয়েছিল শনিবার আবারো শপথ নিতে চলেছেন তিনি।

মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে। বুধবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মোদি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দিয়েছেন তিনি। রাষ্ট্রপতি তার পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন। একইসাথে নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত এই পদের দায়িত্ব সামলাতে মোদিকে অনুরোধ করেছেন মুর্মু।

এর আগে শোনা গিয়েছিল, আগামী রোববার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন তেলুগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু। তার আগের দিন শপথ নেয়ার কথা ছিল মোদির। এখন সূত্র বলছে, রোববার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন মোদি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চন্দ্রবাবু ১২ জুন শপথ নিতে পারেন বলে জানা গেছে।

মোদির দল বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহল, ভুটানের রাজা জিগমে খেসর নামগিয়াল ওয়াংচুক।

মঙ্গলবার দেশের ৫৪৩টি আসনের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বিজেপি জোট ‘এনডিএ’ পেয়েছে ২৯২টি আসন। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ পেয়েছে ২৩৩টি আসন। অন্যান্য দলের প্রাপ্ত আসনসংখ্যা ১৮টি।

তাৎপর্যপূর্ণ হলো, এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও ২০১৪ এবং ২০১৯-এর মতো এবার বিজেপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। কারণ, ৫৪৫ আসনের (দু’টি মনোনীত আসনসহ) লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭৩টি আসন। বিজেপি এককভাবে জিতেছে ২৪০টি আসন। তাই সরকার গঠন করতে তাদের শরিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করতে হবে।

এই পরিস্থিতিতে বুধবারই এনডিএ’র শরিকদের নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসেছিলেন মোদি-অমিত শাহরা। দিল্লিতেই বুধবার সন্ধ্যায় বৈঠক হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকদেরও।

এনডিএ শরিকদের ভরসায় সরকার গড়তে হবে মোদিকে। এই পরিস্থিতিতে কোনো একটি শরিক দলও যদি বেঁকে বসে, তবে সমীকরণ বদলে যেতে পারে। অনেকের মতে, সেই কারণেই বেশি সময় নিতে চাইছেন না মোদি।

লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর্যালোচনা করতে বুধবার বৈঠকে বসেন মোদি। সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক শুরু হয়। সেটিই ছিল দ্বিতীয় মোদি সরকারের মন্ত্রিপরিষদের শেষ বৈঠক। সেখানেই শপথগ্রহণের দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়েছে বলে খবর ছিল। বৃহস্পতিবার যদিও শপথের দিন বদলের খবর প্রকাশ্যে এলো।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement