১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

রেমালের বৃষ্টিতে আসামে বন্যা, বিপৎসীমার উপরে ব্রহ্মপুত্রের পানি

রেমালের বৃষ্টিতে আসামে বন্যা, বিপৎসীমার উপরে ব্রহ্মপুত্রের পানি - ছবি : সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় রেমালের পরবর্তী সময়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আসাম রাজ্যে। রেমাল শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় তার প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের এই অংশে। ফলে ব্রহ্মপুত্র, বরাকের মতো গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানি দু’কূল ছাপিয়ে গিয়েছে। ভেসে গেছে বিঘার পর বিঘা জমি। আসামের বন্যায় ইতিমধ্যে ৪২ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত বলে খবর।

রেমাল-পরবর্তী বৃষ্টিতে আসামের অন্তত আটটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ক্রমে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। বাড়ছে নদীর পানির স্তর। বৃহস্পতিবারও ব্রহ্মপুত্র, বরাক এবং তার উপনদীগুলোর পানি বিপৎসীমার ওপরে ছিল। এর ফলে আসামের নগাঁও, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি, দিমা হাসাও, পশ্চিম কার্বি আংলং, কাছাড়, গোলাঘাটের মতো জেলা বন্যার কবলে। হাজার হাজার ঘরবাড়ি এবং রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যাহত পরিবহণ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাও।

আসামে বৃষ্টি এখনো থামেনি। আবহাওয়ারও উন্নতি হয়নি। বরাক উপত্যকায় থমকে গেছে জীবনযাত্রা। এখন পর্যন্ত রেমাল-পরবর্তী পরিস্থিতিতে আসামে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তাদের প্রত্যেকেই বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে। এ ছাড়া, মঙ্গলবার থেকে এখন পর্যন্ত ১৮ জন জখম হয়েছেন আবহাওয়াজনিত কারণে।

২০২২ সালে প্রবল বন্যা হয়েছিল শিলচরে। এই মুহূর্তে সেখানেও পরিস্থিতি খুব একটা অনুকূল নয়। শিলচরের বিস্তীর্ণ অংশ পানিতে ডুবে গেছে। যার ফলে ব্যাহত হয়েছে যাতায়াত ব্যবস্থা। বৃষ্টিতে হাফলং-শিলচর রোডের একাংশ ভেসে যাওয়ায় ওই রাস্তাটি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। একাধিক ভূমিধসের কারণে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আসামের পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন নির্দেশিকা জারি করে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। রাতে স্থানীয়দের চলাফেরাতেও জারি হয়েছে বিধিনিষেধ। বন্যা পরিস্থিতি এবং আবহাওয়ার কারণে একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে আসামে। অনেক ট্রেনের গতিবিধি সংক্ষিপ্ত করেছেন কর্তৃপক্ষ।

বৃষ্টিতে ব্যাহত আসামের রাজধানী শহর গুয়াহাটির জীবনযাত্রাও। শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। যে কারণে যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও ডিব্রুগড়, শোণিতপুর, বিশ্বনাথ, কাছাড়, গোয়ালপাড়া, ধুবড়ি, করিমগঞ্জ, দিমা হাসাওয়ের মতো জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় কাজ করছে আসামের বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement