ভোটের শেষ দিকে মোদি-মমতার তীব্র বাগযুদ্ধ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৮ মে ২০২৪, ২২:৩৩
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের যখন আর মাত্র একটি দফা বাকি, তখনই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ভোটের প্রচারে মঙ্গলবার কলকাতায় অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগের তীরে পরস্পরকে তীব্র ভাষায় বিঁধলেন।
দুমকাতে সভা সেরে গত বুধবার বিকেলে রাজ্যে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গেই সব চেয়ে ভালো ফল করবে বিজেপি।
মঙ্গলবারের দু’টি সভায় তার এই ‘আত্মবিশ্বাসের’ ঝলক মিলেছে।
এদিকে শহরে এদিন মমতা ব্যানার্জীরও দুটি পদযাত্রা এবং একটি জনসভা ছিল। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিয়েছেন কড়া ভাষায়।
তিনি বলেন, ‘আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীজি, আর মাত্র সাত-আট দিন প্রধানমন্ত্রী বলতে পারবেন। তার পর আর থাকবেন না।’
অন্যদিকে, রাজ্যে ভোট চলাকালীন হিংসার অভিযোগ, মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে তৃণমূলের কথিত ‘তোষণের রাজনীতি’, দুর্নীতি, বিচারব্যবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যসহ একাধিক ইস্যুকে হাতিয়ার করে রাজ্যে ক্ষমতাসীন সরকারের সমালোচনা করে জনতাকে বিজেপিকে বেছে নেয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
নরেন্দ্র মোদী সরাসরি অভিযোগ করেন, ‘এখানে (পশ্চিমবঙ্গে) হিংসা ছাড়া কোনো ভোট হয় না। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য রাত জেগে পাহারা দিতে হয়।’
আবার ‘ভোট জিহাদে’র অভিযোগ তুলে জানিয়েছেন, তৃণমূল সরকার সাধারণ মানুষের কথা ভাবে না।
তার বক্তব্য, নিয়ম না মেনে জারি করা অন্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) শংসাপত্র খারিজ করার যে রায় কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছে তার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলছেন ‘মুসলিম ভোটের কথা মাথায় রেখে’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুসলমানদের খুশি করতে গিয়ে তৃণমূল বলছে তারা হাইকোর্টের রায় মানবে না।’
কড়া ভাষায় প্রশ্ন করেছেন বিচারব্যবস্থা এবং বিচারকদের সম্বন্ধে করা মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের। বলেছেন, ‘বিচারকদের নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এবার কি বিচারকদের পিছনেও গুণ্ডা পাঠাবে তৃণমূল?’
তার আরো অভিযোগ সন্দেশখালির মতো ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে প্রায়শই ঘটে। ‘টিএমসি ও সুশাসনের কোনো সম্পর্ক নেই। দূরবীন দিয়ে সুশাসন খুঁজতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তোলেন মমতা ব্যানার্জীও। ৭৭টি শ্রেণির ওবিসিদের শংসাপত্র খারিজের প্রসঙ্গে উল্টে তাকেই দায়ী করেন। দায়ী করেন সন্দেশখালিকে ভোটের ইস্যু বানানোর জন্যও।
নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘গুজরাটের যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, দাঙ্গা করেছেন। তখন সারা দেশের খবর রাখতেন না। আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে রেলমন্ত্রী, ক্রীড়ামন্ত্রী, কয়লামন্ত্রী ছিলাম।’
একইসাথে বলেন, ‘উনি ভোট ছাড়া তো আসেন না। বিপদে আসেন না। বাংলাকে লাঞ্ছনা করাই ওনার কাজ।’
চলতি লোকসভা ভোটের প্রচারে এই প্রথম কলকাতা শহরে ভোটপ্রচারে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এর আগে রাজ্যের একাধিক জায়গায় প্রচার করেন তিনি। সে সময় কলকাতায় রাজভবনে রাত্রিবাস করলেও শহরে দলের প্রচার কর্মসূচিতে তাকে দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার দুটি জনসভা সেরে উত্তর কলকাতায় একটি পদযাত্রায় অংশ নেন তিনি। শনিবার শেষ দফা ভোটের আগে তার এই কলকাতা সফরের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে বলেই মনে করেন রাজনীতিবিদরা।
বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত অশোকনগরে বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার (বারাসাতের প্রার্থী) এবং বসিরহাটের প্রার্থী রেখা পাত্রের সমর্থনে জনসভা করেন তিনি।
ওই সভায় তিনি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসকে।
তার সেই বক্তব্যের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল সন্দেশখালি নিয়ে তৃণমূলের তোলা অভিযোগ, তথাকথিত ভোট জিহাদ, অন্য অনগ্রসর জাতির শংসাপত্র নিয়ে হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রায় এবং সে বিষয়ে মমতা ব্যানার্জীর মন্তব্য, দুর্নীতি-সহ একাধিক বিষয়।
এছাড়াও ছিল কয়েকটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সংগঠনের সাধুদের বিষয়ে মমতা ব্যানার্জীর বিতর্কিত মন্তব্যের প্রসঙ্গও।
তবে তার বক্তব্যে বারেবারে উঠে এসেছে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ। যে ইস্যুকে রাজ্যে তো বটেই, জাতীয় স্তরেও নির্বাচনি প্রচারের অংশ করেছে বিজেপি।
একইসাথে তারা সেখান থেকেই বেছে নিয়েছিল বসিরহাটের প্রার্থী রেখা পাত্রকে, যিনি সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের মধ্যে একজন এবং সেখানকার আন্দোলনের অন্যতম মুখও।
তাকে পাশে রেখেই প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ তুলেছেন, ‘যেখানেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে কেউ আওয়াজ তুলেছেন, সেখানেই তাদের টার্গেট হতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সন্দেশখালির মহিলারা বিচার চাইলে সেই মহিলাদেরই টার্গেট করেছে তৃণমূল।’
আরো একবার সন্দেশখালি ইস্যুকে সামনে এনে তৃণমূলের তোলা অভিযোগের জবাব দিতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সাম্প্রতিককালে একের পর এক ভিডিও প্রকাশ্যে এনে তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল তা সঠিক নয়।
মঙ্গলবার অশোকনগরে তো বটেই যাদবপুরের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বারুইপুরের সভাতেও সেই প্রসঙ্গ টেনে আনেন প্রধানমন্ত্রী।
সেখানে তিনি বলেন, ‘এখানে সন্দেশখালির মতো ঘটনা আখছার ঘটে। প্রথমে নারীদের অসম্মান কড়া হয়, আর তারপর শাহজাহান শেখকে বাঁচাতে গিয়ে নোংরা খেলা শুরু করা হয়।’
প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেয়ার আগে সভায় বক্তব্য পেশ করেন রেখাপাত্র।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের কাছে নতুন করে কিছু বলার নেই। আপনাদের এই বোনকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। এই বোন দু’হাজার টাকায় বিক্রি হয়নি, আর হবেও না। সব সময় আপনাদের পাশে থাকবে।’
রেখা পাত্র বলেন, ‘তৃণমূলের যারা মিথ্যা অভিযোগ করে আমার ভাই এবং বোনদের জেলে পাঠাচ্ছে আমরা তার জবাব দেব। সেই জন্য এই জনসভা। প্রস্তুতি নিন। তৃণমূলের ছেলেরা যাতে কারো বাড়িতে ঢুকতে না পারে, যেন কারো জমি দখল করতে না পারে সে জন্য আমাদের নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।’
সাম্প্রতিক ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাস এবং লোকসভা ভোটের প্রার্থী রেখা পাত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে সন্দেশখালির ‘সঠিক চিত্র’ তুলে ধরা বাইরে হয়নি। তৃণমূল দাবি করে, যা প্রকাশ্যে এসেছে তা ‘সাজানো’ ঘটনা।
তৃণমূল অভিযোগ করে, দুই হাজার টাকার বিনিময়ে সাদা কাগজে সই করানো হয়েছিল সন্দেশখালির নারীদের। পরে ওই কাগজে নারী নির্যাতনের অভিযোগ লেখা হয়।
ওই প্রসঙ্গ তুলে রেখা মঙ্গলবারের সভায় বলেন, ‘আমাদের দেখাদেখি ভবিষ্যতে আরো নারীরা সন্দেশখালি থেকে এগিয়ে আসবেন।’
তার উপরে আস্থা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। শুরু থেকেই রেখা পাত্রকে ‘নরেন্দ্র মোদীর বেছে নেয়া প্রার্থী’ হিসেবে প্রচার করে আসছিল বিজেপি।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী তার তারিফ করে বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, তিনি (রেখা পাত্র) নারীশক্তির হয়ে লড়াই করছেন। আমি ওঁর সাহসকে কুর্নিশ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘শাহজাহান শেখদের মতো নেতার সাহস যাতে না বাড়ে, তার জন্য রেখার জেতা অত্যন্ত প্রয়োজন।’
‘ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করে তৃণমূল’
ইন্ডিয়া জোট এবং তাদের শরিক তৃণমূলের বিরুদ্ধে আরো একবার তোষণের রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন নরেন্দ্র মোদী। তার অভিযোগ, ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই তোষণের রাজনীতি করছে তৃণমূল।
তিনি বলেন, ‘তৃণমূল এবং ‘ইন্ডিয়া’র আপনাদের উন্নয়নের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। এরা শুধু নিজেদের ভোটব্যাঙ্ককে তুষ্ট করতে চায়। এখানকার ওবিসিদের ধোঁকা দিয়েছে তৃণমূল। আদালতে তা প্রকাশ্যে এসেছে। কলকাতা হাই কোর্ট বলেছে, ৭৭টি মুসলিম সম্প্রদায়কে ওবিসি ঘোষণা করা অসাংবিধানিক। ভোট জিহাদে মদত জোগানোর জন্য ওবিসি যুবকদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল। আদালতের এই সিদ্ধান্তের পর মুখ্যমন্ত্রীর রূপ দেখে আমি স্তম্ভিত। বিচারকদের নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে!’
এর পাশাপাশি তার ভাষণে উঠে এসেছে নির্দিষ্ট কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠনের সন্ন্যাসীর বিষয়ে কড়া মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য। নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ‘টিএমসি খালি দুর্নীতি আর গালিগালাজ করতে ব্যস্ত। সাধু-সন্তদেরও নিস্তার দেয়া হয়নি।’
তিনি বলেছেন, ‘তৃণমূলের বিধায়ক হিন্দুদের ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেয়ার কথা বলেছে। এখানকার সন্তরা সেই ভুল শুধরে নেয়ার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তৃণমূল সেই সন্তদেরই গালিগালাজ করেছে। ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করতে এবং ভোট জিহাদদের এগিয়ে নিয়ে যেতে এমনটা করা হয়েছে।’
মমতা ব্যানার্জীর পাল্টা জবাব
ঘূর্ণিঝড়ের সময় রাজ্যের দিকে কেন্দ্রের নজর ছিল, প্রধানমন্ত্রীর এই দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মমতা ব্যানার্জী।
তিনি বলেন, ‘যিনি বলেন, দিল্লি থেকে বসে সাইক্লোন সামলেছেন, (তাকে) বলব প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যা বলা সাংবিধানিক অধিকার নয়। কাজও নয়। কাকে নিয়ে করিয়েছিলেন? টাকাও দেব না, আবার বড় বড় কথা বলবেন!’
২০১০-এর পর থেকে জারি হওয়া ওবিসি শংসাপত্র খারিজের রায় এবং রাজ্যে কর্মসংস্থান নিয়ে মি মোদীর কটাক্ষের বিষয়েও জবাব দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
তিনি বলেন, ‘২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি খেল! আমি বর্ধমানে প্রচার করছিলাম। বলেছিলাম, হতে দেব না। করেছি। করে স্টে করে রেখে দিয়েছি। ক’দিন আগে এক জনকে দিয়ে ওবিসি শংসাপত্র খেয়েছে। বিচারপতিকে নিয়ে বলা যাবে না, তার রায়কে বলা যাবে। আমিও আইনজীবী। একটা শংসাপত্র বানাতে কত সময় লাগে! এখন নিজেই অথরাইজ করা যায়। মোদীবাবুর কল হল খুড়োর কল।’
সন্দেশখালি ইস্যুও বাদ যায়নি মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মা-বোনদের অসম্মান করে বিজেপি নির্বাচনী ইস্যু করেছে। বাংলার বদনাম করার চেষ্টা করেছে সন্দেশখালিতে। এই অসম্মান বাংলার মা-বোনরা মেনে নেবেন না। আজ থেকে পাকিস্তান বলতে শুরু করেছেন। আবার পুলওয়ামা হবে বোধ হয়।’
‘দেবতা হলে তাঁর রাজনীতি করা শোভা পায় না’
নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রতিক মন্তব্য যে তাকে ‘ঈশ্বর পাঠিয়েছেন, জৈবিক ভাবে তার জন্ম হয়নি’, সে নিয়ে বিস্তর আলোচনাও হয়েছে। তার দলের একাধিক নেতা তাকে ঈশ্বরের সাথে তুলনা করেছেন।
সেটা নিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়েননি মমতা ব্যানার্জী।
তার কথায়, ‘নাড্ডা (বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা) বলেছেন, উনি সব দেবতার রাজা। আমি বলি, হতেই পারে। কেউ বলেন, জগন্নাথদেব ওর ভক্ত। সকলে ওর ভক্ত হলে, তার রাজনীতি, দাঙ্গা করা শোভা পায় না। মন্দির করছি, বসুন, নকুলদানা, ফুল, বেলপাতা দেব।’
এদিনের জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যতালিকার কথাও উঠে এসেছে।
তার অভিযোগ, ‘তেজস্বী (যাদব) খাটাখাটনি করে লাঞ্চ করছিল। সেই ভিডিয়ো করেছে। রুটি, ডাল আর দুটো মাছ খাচ্ছিল। সেই নিয়ে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেন, মাছ খায়! তিনি একটা ব্যাঙের ছাতা (মাশরুম) খান, চার লাখ টাকা দাম। তাইওয়ানের ব্যাঙের ছাতা। আমি এসবে যেতাম না, যদি না এসব বলে বাংলার মানুষকে অপদস্থ করতেন।’
মমতা ব্যানার্জী বলেন, ‘সমাজমাধ্যমে দেখেছি একটা ছাতার দাম ৮০ হাজার। লাঞ্চে খরচ চার লাখ টাকা। এটা খাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু তিনি যখন বলেন, মাছ খাবে না তখন মেনে নেয়া যায় না।’
এই সমস্ত কিছুর মাঝে ধর্মের বিষয়টিও তিনি টেনে এনেছেন। ব্যানার্জী বলেছেন, ‘আগে বলত, মমতাজি বাংলায় দূর্গাপূজো করতে দেন না। সরস্বতী পূজো করতে দেন না। সেই বাংলা ইউনেস্কোর তকমা পেয়েছে!’
রাজ্যে উন্নয়নের খতিয়ান দিয়ে পরের বার পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে আরো ওয়াকিবহাল হয়ে আসার কথাও বলেছেন।
তার কথায়, ‘বাংলা কী ছিল আর কী হয়েছে সেটা পরেরবার একটু পড়ে আসবেন।’
সূত্র : বিবিসি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা