নারী কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ : যা বললেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৩ মে ২০২৪, ১৭:৫৮
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতায় পৌঁছানোর দিনই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে রাজভবনের এক নারী কর্মীর তোলা শ্লীলতাহানির অভিযোগ। এটি ঘিরে তৃণমূল নেতাদের কটাক্ষ এবং সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে রাজ্যপালের পাল্টা অভিযোগকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত থেকে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি।
কলকাতার রাজভবনে কর্মরত ওই নারী বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। রাজভবনের একজন অস্থায়ী কর্মী।
পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, প্রথমবার ২৪ এপ্রিল তার শ্লীলতাহানি করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে তিনি পুলিশে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন।
অন্যদিকে, তার বিরুদ্ধে তোলা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে পুরো ঘটনাকেই ‘পরিকল্পিত’, ‘ভিত্তিহীন’ এবং তাকে ‘কালিমালিপ্ত করে নির্বাচনি ফায়দা তোলার চেষ্টা’ বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
শুক্রবার সকালে একটি অডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি জানি আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক শক্তি কাজ করছে। আমার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ মিথ্যে।’
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে রাজভবনের পক্ষ থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘সত্যের জয় হবেই। পরিকল্পনা মাফিক তৈরি ন্যারেটিভের বিষয়ে আমি মাথা ঘামাতে রাজি নই। আমার সম্মানহানি করে কেউ যদি নির্বাচনি ফায়দা পেতে চায় ঈশ্বর তাদের কল্যাণ করুন। বাংলার দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমার লড়াই কোনোভাবে থামতে পারবে না।’
রাজ্যপাল তার বিবৃতিতে ‘নির্বাচনি ফায়দা’ তোলার যে অভিযোগ জানিয়েছেন, তার নিশানায় রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস।
অতীতে একাধিকবার তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগের মতো একাধিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের সাথে বারবার রাজ্যপালের সংঘাত দেখা গিয়েছে। বিজেপির সাথে তার ‘নৈকট্যের’ অভিযোগ এনে রাজ্যপাল সাংবিধানিক এখতিয়ারের বাইয়ে গিয়ে কাজ করছেন বলেও দাবি করেছিল তৃণমূল।
লোকসভা ভোটেও বিভিন্ন বুথে অশান্তির অভিযোগের বিষয়ে তৃণমূলের সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজভবনে কর্মরত ওই নারীর অভিযোগ সামনে আসার পরই তার বিরুদ্ধে তৃণমূলের নেতানেত্রীদের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে আরো একবার বাহাস শুরু হয়েছে।
রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের মন্তব্যকে ঘিরে আবার সি ভি আনন্দ বোসের সাথে সংঘাতের সূত্রপাত হয়েছে। এর জেরে তাকে রাজভবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
একইসাথে রাজভবনে পুলিশ প্রবেশের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রাজ্যপালের অভিযোগ, পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজ্যের সাংবিধানিক রাজ্যপালের কিছু রক্ষাকবচ রয়েছে। যার জেরে তার বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্ত বা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডেকে পাঠানোর মতো একাধিক বিষয়ে আইনি বাধা আছে।
উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদি কলকাতায় আসার ঘণ্টা খানেক আগেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। শুক্রবার বর্ধমান-দুর্গাপুর, কৃষ্ণনগর এবং বোলপুরে প্রচার সভা তার। বৃহস্পতিবার রাজভবনে রাত্রিবাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
কী অভিযোগ
বৃহস্পতিবার রাতে হেয়ার স্ট্রিট থানায় রাজভবনের ওই নারী কর্মী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখার্জী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিকেল ৫টা নাগাদ রাজভবনের আউটপোস্টে একটা অভিযোগ আসে। এক নারী, যিনি রাজভবনের কর্মী, তিনি শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন। অভিযোগ রাজভবনের আউটপোস্টে জমা পড়ে। সেটাকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় ফরোয়ার্ড করা হয়।’
তিনি যোগ করেন, ‘অভিযোগটা রয়েছে মাননীয় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারিণী থানায় এসে সবিস্তারে অভিযোগ জানিয়েছেন।’
২০১৯ সাল থেকে রাজভবনে অস্থায়ী কর্মচারী হিসেবে কাজ করছেন এই নারী। পুলিশের কাছে করা লিখিত অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, গত ১৯ এপ্রিল রাজ্যপাল তাকে স্থায়ী চাকরির বিষয়ে আলোচনার জন্য দেখা করতে বলেন। সেই কারণেই তিনি ২৪ এপ্রিল রাজ্যপালের সাথে দেখা করতে যান।
তার অভিযোগ সেদিন প্রথমবার তার শ্লীলতাহানি করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে আরো একবার ডেকে পাঠান সি ভি আনন্দ বোস।
একা যাওয়ার বদলে তার সুপারভাইজারকে সাথে নিয়ে রাজ্যপালের সাথে দেখা করতে যান। অভিযোগকারীর দাবি, কিছুক্ষণ পরে সুপারভাইজারকে কনফারেন্স রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন রাজ্যপাল। এরপর তার শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ করেন ওই নারী। তাকে পদোন্নতির প্রলোভন দেখানো হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
এদিকে, এই সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন রাজ্যপাল। তার পাল্টা দাবি, নির্বাচনি ফায়দা লুঠতে তাকে ‘কালিমালিপ্ত’ করা হচ্ছে। রাজ্যের শাসকদলের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন তিনি।
‘আমি লড়াই করব’
শুক্রবার সকালে রাজভবনের কর্মীদের উদ্দেশে একটি বার্তা প্রকাশ করেন বোস।
তার পাল্টা অভিযোগ, ‘রাজভবন একটি গোপন সূত্রে জানতে পেরেছে, অশুভ উদ্দেশে রাজভবনে আর এক ব্যক্তিকে ঢোকানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে দিয়ে বিষয়টি যাচাই করা হচ্ছে। এগুলো নির্বাচনি ফয়দা তোলার কৌশল ছাড়া আর কিছু নয়।’
তবে এই পরিস্থিতিতেও দুর্নীতি এবং হিংসার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘কোনো কিছুই আমাকে দুর্নীতি বিরুদ্ধে লড়াই এবং হিংসা বন্ধ করার লক্ষ্য থেকে সরাতে পারবে না। আরো বড় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কুখ্যাত কলকাতা কিলিংয়ের জন্যও যদি আমাকে দায়ি করা হয় আমি অবাক হব না। আমি বাংলায় বিশ্রাম করতে আসিনি।’
যাদের বিরুদ্ধে তাকে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপাল, তাদের চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘আপনাদের সমস্ত অস্ত্র বার করুন। আমি প্রস্তুত। আপনারা অস্ত্র শানান, আমি প্রস্তুত।’
রক্ষাকবচ
এদিকে, সাংবিধানিক পদের অধিকারী রাজ্যপাল কিছু আইনি রক্ষাকবচের অধিকারী। এ বিষয়ে ত্রিপুরার সাবেক রাজ্যপাল তথাগত রায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৬১ অনুসারে, রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালদের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি পদক্ষেপ করা যায় না। সাংবিধানিক রক্ষাকবচ রয়েছে। তবে জমিজমা-সংক্রান্ত কোনো দেওয়ানি মামলা করা যেতেই পারে। তবে, আদালতে বিষয়টি গেলে কী হবে, তা আমার জানা নেই। সুপ্রিম কোর্ট একে কীভাবে ব্যাখ্যা করবে, সেটা বোঝা সম্ভব নয়।’
সিপিআইএম নেতা এবং প্রবীণ আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যও জানিয়েছেন, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের রক্ষাকবচ রয়েছে। সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ করা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, কলকাতা পুলিশের ডিসি ইন্দিরা মুখার্জী বলেন, ‘এটা একটা স্পর্শকাতর বিষয়। শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে এক নারী এসেছিলেন, তিনি বিস্তারিতভাবে কথা বলেছেন। আমরা বিষয়টা দেখছি। আমাদের যে আইনি বিভাগ ও সাংবিধান বিশেষজ্ঞ আছেন, তাদের সাথেও এই বিষয়ে আমরা কথা বলব।’
তৃণমূলের কটাক্ষ
রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘একটি মেয়ের শ্লীহতাহানি হয়েছে। এটা তো ক্ষমাযোগ্য নয়। এটার তো বিহিত হওয়া দরকার। এতে কোনো চেয়ার (পদ) অভিযুক্তকে রক্ষাকবচ দিতে পারে না।’
তিনি সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন, যেখানে তোলাবাজি, বেআইনিভাবে জমিদখলের পাশাপাশি নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের শাহজাহান শেখ এবং তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিরোধীদের সকলেই সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন। রাজ্যপালও নিন্দা করেছিলেন এই ঘটনার।
মন্ত্রী শশী পাঁজা সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, ‘সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে সবাই এত সরব ছিল। এখন সবাই কোথায়? আমরা তো কখনো বলিনি, সন্দেশখালিতে কিছু হয়নি। এখন যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়েও মানুষের মুখ খোলা দরকার। এ সবের জন্য বাংলার বদনাম হচ্ছে। বাইরে থেকে এসে বাংলাকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার রাতে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে এসে রাজভবনে রাত্রিবাস করবেন। তার আগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগপত্র জমা দিতে গিয়েছেন এক মহিলা। নারী নির্যাতনের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এ কী ধরনের ঘটনা ঘটছে!’
যে রাজ্যপাল বলেন, তিনি পিস রুম খুলে সকলের অভিযোগ শুনবেন এবং তার নিষ্পত্তি করবেন। সেই পিস রুম কি মূলত নারী সম্মানের ‘পিস হাভেন’ হয়ে গিয়েছে? যেখানে বার বার প্রধানমন্ত্রী নারীশক্তির কথা বলছেন, সেখানে রাজ্যপাল নারীর অপমান, অসম্মান করছেন। এ কী ঘটছে বাংলার মাটিতে! যে মাটি সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিকভাবে ঐতিহ্যশালী। ছিঃ!’
এরপর রাজভবনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। সেখানে জানানো হয়, তার মন্তব্য সংবিধান-বিরোধী। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রাজ্যপালের সম্মানহানি এবং তার বিরুদ্ধে অসাংবিধানিক বিবৃতি দেয়ার জন্য চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। কলকাতা, দার্জিলিং এবং ব্যারাকপুরের রাজভবনে তিনি ঢুকতে পারবেন না।’
তিনি কোনো অনুষ্ঠানে থাকলে সেখানেও যাবেন না রাজ্যপাল। বিবৃতি অনুযায়ী, ‘চন্দ্রিমার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কী পদক্ষেপ করা যায়, তা জানতে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে পরামর্শও চেয়েছেন রাজ্যপাল।’
পাল্টা অভিযোগ
রাজ্যপাল রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে থাকতে পারেন বলেও আশঙ্কা জানিয়েছেন বিজেপির তথাগত রায়, ‘রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে এই অভিযোগের পেছনে কোনো চক্রান্ত আছে বলেই মনে হয়। বিভিন্ন দুর্নীতি ও সন্দেশখালিকাণ্ড থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেও এ রকম অভিযোগ তোলা হয়ে থাকতে পারে।’
সিপিআইএম নেতা এবং প্রবীণ আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণভাবে তৃণমূলের একটা দুষ্কর্ম। তারা পরিকল্পনা করেই এটা করেছেন রাজ্যপালকে বিপর্যস্ত করার জন্য। আমি যতটুকু জানি তার ক্যারিয়ার গ্রাফ ভালো। এখানে এসে তিনি হয়তো সাংবিধানিক ক্ষমতার বাইরে গিয়ে পপুলিস্ট হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ নিয়ে ইতোমধ্যে বিতর্ক চলছে। হয়তো তৃণমূলের কাছে খবর ছিল রাজ্যপাল কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছেন। তাই পরিকল্পিতভাবে এটা করা হলো।’
তৃণমূলের সাথে রাজ্যপালের সংঘাত
রাজ্যপালের দায়িত্বভার গ্রহণের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সরকারের সাথে তার সুসম্পর্ক থাকলেও বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার (সি ভি আনন্দ বোসের) মন্তব্যের জেরে দু’পক্ষের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে।
রাজ্যপাল বিজেপি’র হয়ে কাজ করেন বলেও অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
তার প্রসঙ্গে তৃণমূলের শান্তনু সেন সাম্প্রতিককালে বলেছিলেন, ‘আমরা তো বারবার বলছি রাজ্যপাল আর রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান নেই। রাজ্যপাল বিজেপির মুখপাত্রে পরিণত হয়ে রাজভবনকে বিজেপির সদর দফতরে পরিণত করেছেন। বিজেপির তল্পিবাহক হয়ে প্রথা বহির্ভূত কাজ করছেন। বিজেপিকে খুশি করার জন্য একের পর এক যে সমস্ত কাজ করছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।’
অতীতে একাধিকবার রাজ্যের সাথে সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল। সাম্প্রতিককালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের সাথে তার সংঘাত হয়েছে। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দুর্নীতি ও হিংসার অভিযোগ তুলে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
লোকসভা নির্বাচনে ‘পিস রুম’ খুলে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আসা অভিযোগ নথিভুক্ত করে খতিয়ে দেখার কাজও করেছেন।
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকে ঘিরে তার তীব্র মন্তব্যে মমতা ব্যানার্জীর সরকারের সাথে তার সংঘাত তীব্রতর হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা