শিক্ষার্থীদের শাসনের ব্যাপারে শিক্ষকদের যে অনুমতি দিলো ভারতীয় হাইকোর্ট
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১২
একটা সময় ছিল যখন স্কুলের শিক্ষার্থীদের পড়া না পারলেই বা বিশৃঙ্খল আচরণ করলেই তাদের বেদম শাসন করতেন শিক্ষকরা। কিন্তু তার ফলেই যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হতো তেমনটা নয়। যে শিক্ষক বকতেন তিনিই আবার কাছে টেনে নিতেন। তবে সেই শাসনের ব্যাপারটা এখন অতীত। এখন শিক্ষক সামান্য কিছু বললেই তাতে আপত্তি তোলেন অভিভাবকরা। তবে কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ তা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে।
তবে এবার শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কড়াভাবে বকাঝকা করতে পারেন কি না তা নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিয়েছে ভারতের হাইকোর্ট। এক শিশু শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা থেকে এক শিক্ষককে রেহাই দিয়েছে হাইকোর্ট। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট জানিয়েছে, শিক্ষক কোনো শিক্ষার্থীদের বকুনি দেয়ার সময় কঠোর ভাষা প্রয়োগ করতেই পারেন।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কোনো শিক্ষার্থী পড়াশোনায় দুর্বল হলে তার উন্নতির জন্য বা কোনো শিক্ষার্থী বিশৃঙ্খল আচরণ করলে শিক্ষক কড়া ভাষা প্রয়োগ করতেই পারেন। অধিকাংশ শিক্ষার্থীর মনেই এনিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া হবে না। যদি কোনো অতিসংবেদনশীল শিক্ষার্থী এনিয়ে আত্মহত্যা করে তবে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হলে তা হবে বিচারের নামে প্রহসন। তবে সেইসাথেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, যদি কোনো শিক্ষক কোনো শিক্ষার্থীকে হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে তবে অন্য দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তার বিচার করতে হবে।
ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছিল?
পাঞ্জাবের জলন্ধরে এক শিশু স্কুল শিক্ষার্থীকে এক স্কুলশিক্ষক হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ছাত্রীর সুইসাইড নোটেও এ বিষয়ে উল্লেখ করা ছিল। জলন্ধরের অতিরিক্ত দায়রা আদালতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার্জও গঠন করা হয়। এরপর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি হাইকোর্টে যান। তবে আপাতত সেখানে তিনি কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন। কারণ তিনি যে ওই শিক্ষার্থীকে হেনস্থা করেছেন তার কোনো প্রমাণ আপাতত পাওয়া যায়নি। এমনকি শিশুর অধিকার রক্ষা আইন অনুসারে স্কুলের তিন সদস্যের কমিটিও ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগের কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। সেক্ষেত্রে আপাতত রেহাই পেয়েছেন ওই শিক্ষক।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস