১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

‘মুসলিমদের সম্পদ পুনর্বণ্টন’ অভিযোগ মোদির, এফআইআর সিপিএমের

মুসলিমদের নিয়ে মন্তব্যের জেরে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিপিএম - ছবি : হিন্দুস্তান টাইমস

রাজস্থানের জনসভা থেকে বিরোধীদের আক্রমণ করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছিলেন, ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস এবং বিরোধীরা সাধারণ মানুষের সম্পত্তি নিয়ে তা মুসলিমদের মধ্যে পুনর্বণ্টন করবে।

তার সেই মন্তব্যকে ‘ঘৃণা ভাষণ’ বলে আখ্যা দিয়ে এবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করল কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসবাদী) বা সিপিএম। সোমবার তারা এ এফআইআর দাখিল করে।

দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এ বিষয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য ভয়াবহ। তবে তার থেকেও খারাপ বিষয় হলো, নির্বাচন কমিশন এই নিয়ে নীরব রয়েছে।’

এদিকে মোদির এই মন্তব্যকে ‘দেশ বিরোধী’ আখ্যা দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।

উল্লেখ্য, রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় এক নির্বাচনী জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছিলেন, কংগ্রেস তাদের ইশতেহারে দাবি করেছে যে দেশের সম্পদ মুসলিমদের মধ্যে পুনর্বণ্টন করবে। তিনি মনমোহন সিংয়ের ২০০৬ সালের এক মন্তব্যকেও হাতিয়ার করেন কংগ্রেসে আক্রমণ করতে।

কিন্তু মোদির কোন মন্তব্য ঘিরে এত বিতর্ক? কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মোদি দাবি করেছিলেন, ‘ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস সাধারণ মানুষের সম্পদ ছিনিয়ে নিয়ে তা মুসলিমদের মধ্যে বণ্টন করবে।’

মোদি বলেন, ‘এই শহুরে নকশাল মানসিকতায় মা-বোনদের মঙ্গলসূত্রকেও ছাড়বে না ওরা। কংগ্রেস যেকোনো পর্যায়ে নিচে নামতে পারে। কংগ্রেসের ইস্তাহারে বলা হয়েছে, তারা মা-বোনদের সোনার গয়নার পরিমাণ খতিয়ে দেখে সেই সম্পদ পুনর্বণ্টন করবে। আর তারা কাকে সেই সম্পদ দেবে? মনমোহন সিংয়ের সরকারই বলেছিল, দেশের সম্পদের ওপর প্রথম অধিকার আছে মুসলিমদের। তাহলে ওরা এই সম্পদ অনুপ্রবেশকারীদের দেবে? আপনাদের কষ্টার্জিত টাকা কি অনুপ্রবেশারীদের দেয়া উচিত? আপনারা কি এটাই চান? কারো সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অধিকার কি সরকারের আছে? আমাদের মা-বোনেদের কাছে যে সোনার গয়না আছে, সেটা আত্মসম্মানের প্রতীক। মঙ্গলসূত্রের দাম এর সোনার ওজনে নির্ধারণ করা যাবে না। এটা একজন স্ত্রীর স্বপ্নের সাথে জড়িয়ে।’

কিন্তু আসলে কী বলেছিলেন মনমোহন সিং? ২০০৬ সালের ৯ ডিসেম্বর মনমোহন সিং জাতীয় উন্নয়ন কাউন্সিলের সভায় বলেছিলেন, ‘তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনাগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। সংখ্যালঘুরা, বিশেষ করে মুসলিম সংখ্যালঘুরা যাতে উন্নয়নের ফল সুষমভাবে ভাগ করে নিতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের উদ্ভাবনী পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। সম্পদের ওপর তাদের প্রথম অধিকার থাকা উচিত। কেন্দ্রের অগণিত অন্যান্য দায়িত্ব রয়েছে। এসব আমাদের কছে সামগ্রিকভাবে যে সম্পদ আছে, তার মধ্যে থেকেই এসব চাহিদা মেটাতে হবে।’

২০০৬ সালে মনমোহনের সেই ভাষণের পরও রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছিল। সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছিল, মনমোহন সিং বলেছেন, তফসিলি জাতি এবং উপজাতি, ওবিসি, নারী, শিশু, সংখ্যালঘুদের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস


আরো সংবাদ



premium cement
সিরিয়া যাচ্ছেন কাতারের প্রতিনিধিদল ভারত কখনো চায়নি বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক : মিয়া গোলাম পরওয়ার ‘উৎপাদনের জন্য কৃষি পণ্য ও উপকরণ সহজলভ্য এবং সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে’ পলিথিনে মোড়ানো নবজাতকের লাশ! আপনাকে ধরে এনে বিচার করা হবে : মোবারক হোসেন কালীগঞ্জে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উলামা পরিষদের বিক্ষোভ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরে যাবো : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতকে দেয়া ‘বিশেষ সুবিধা’ বাতিল করল সুইজারল্যান্ড বুদ্ধিজীবী দিবসে ঢাবি ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের শ্রদ্ধা কবি হেলাল হাফিজের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত মাইকেল জ্যাকসনের অপ্রকাশিত গানগুলো শুধু একজনই শুনতে পারবেন!

সকল