৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সন্দেশখালির নারীদের কেন নির্বাচনের প্রচারে নিচ্ছে বিজেপি!

সন্দেশখালির নারীদের কেন নির্বাচনের প্রচারে নিচ্ছে বিজেপি! - ছবি : সংগৃহীত

প্রবীণ নারী বেলপতি এবার নির্বাচনে নিশ্চিন্তে ভোটটা দিতে পারবেন বলে বেশ খুশি।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালির প্রবীণ বাসিন্দা এই আদিবাসী নারী। তিনি বলেন, ‘শিবু হাজরা মারি-পিটি আমাদেরকে ভোট লিইছে। ভোট দিতে যাইছি, হেই... কোথায় ভোট দিবি? উয়াদের সামনেই আমি মারি দিলাম। এইটা কি কোনো আইনের কথা? আমাদের যেভাবে ভয় দেখাইছে, সেইভাবে ভোট লিইছে।’

পাশেই দাঁড়ানো আরেক নারী ঝর্ণা সর্দার বলছিলেন, গত বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তার অভিজ্ঞতার কথা। ওই ভোট নেয়া হয় কাগজের ব্যালটে।

তিনি বলেন, ‘ছাপ মেরে ব্যালট বাক্সে ফেলার আগে ওদের দেখাতে হতো যে কোথায় ভোট দিলাম।’

সন্দেশখালি এলাকাটা বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। সেখানে লোকসভা নির্বাচনের একদম শেষ পর্যায়ে, ১ জুন ভোটগ্রহণ হবে।

আর সেই ভোটে লড়তে নেমেছেন রেখা পাত্র নামে নারী। বিজেপি তাকে প্রার্থী করেছে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে। তার বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস দাঁড় করিয়েছে সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য নুরুল ইসলামকে।

এই কেন্দ্রে সিপিআইএম প্রার্থী করেছে নিরাপদ সর্দারকে আর আইএসএফের হয়ে লড়বেন আক্তার আলি বিশ্বাস।

তবে সন্দেশখালির নারীদের শুধু বসিরহাটে সীমাবদ্ধ রাখেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অন্যান্য কেন্দ্রেও প্রচার করতে।

কেন সুন্দরবনের ছোট্ট একটা দ্বীপ সন্দেশখালির নারীদের বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রচার করতে নিয়ে যাচ্ছে, সে প্রসঙ্গে একটু পরে আসছি। তার আগে ফিরে যাই বেলপতির কথায়।

তিনি নিজের মতো করে যেটা বলতে চাইছিলেন, তা হলো এত দিন তাদের ভয় দেখানো হতো ভোটের আগে, কোথায় ভোট দিচ্ছেন তিনি, সেটাও দেখাতে হতো।

তাদের অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।

আবার তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক বলে নিজের পরিচয় দিয়ে এসমৎ গাজি স্বীকার করছিলেন, অনেককেই বলে দিত তার দলীয় সহকর্মীরা যে ‘ভোট দেয়া হয়ে গেছে, বাড়ি চলে যান’।

তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোটে অনিয়মের অভিযোগ রাজ্যের অনেক জায়গা থেকেই পাওয়া যায়। তবে সন্দেশখালিতে দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে উঠেছে আরো একাধিক অতি গুরুতর অভিযোগ।

এ কারণেই কি সন্দেশখালিকে পুরো পশ্চিমবঙ্গে একটা নির্বাচনের ইস্যু করে রাজ্য জুড়ে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি?

কাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?
প্রথমে যে আদিবাসী নারীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেই বেলপতি যে শিবু হাজরার কথা বলছিলেন, তিনি তৃণমূল কংগ্রেস দলের স্থানীয় নেতা শিবপ্রসাদ হাজরা। এখন জেলে আছেন।

আবার তিনি যে দোর্দণ্ডপ্রতাপ, স্থানীয় এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ছায়া সঙ্গী ছিলেন, সেই শেখ শাহজাহানও রয়েছেন কেন্দ্রীয় অ্যাজেন্সির হেফাজতে।

আর এদের মতো আরো কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে সন্দেশখালির নারীদের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভই সুন্দরবনের ছোট্ট দ্বীপ সন্দেশখালিকে নিয়ে কয়েক মাস আগে নিয়ে এসেছিল জাতীয় সংবাদ শিরোনামে।

তবে তার আগে এ বছর জানুয়ারি মাসের শেষ থেকেই সংবাদ শিরোনামে চলে আসেন শেখ শাহজাহান।

পশ্চিমবঙ্গের রেশন ব্যবস্থায় দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত অ্যাজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

নিজের বাড়িতে না ঢুকতে দিয়ে স্থানীয় মানুষকে জড়ো করে তিনি ইডি কর্মকর্তাদের ওপরে হামলা চালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনার পরে দীর্ঘ দিন পলাতক ছিলেন শাহজাহান।

আর এর মধ্যেই শেখ শাহজাহানের গড় বলে পরিচিত সন্দেশখালির নারীরা একজোট হয়ে রাস্তায় নামে।

কেন নারীদের প্রতিবাদ?
লাঠি-ঝাঁটা হাতে দলবদ্ধভাবে নারীদের রাস্তায় নামতে দেখে কিছুটা অবাকই হয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গের মানুষ।

এমনভাবে সবশেষে নারীদের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে বোধ হয় দেখা গিয়েছিল সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে। সেটা ছিল ২০০৬-২০০৭ সাল।

সেখানে শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল।

আর সন্দেশখালির নারীরা প্রতিবাদ করছিল তাদের ওপরে শেখ শাহজাহান আর তার সঙ্গীদের লাগাতার নির্যাতনের, চাষের জমি দখল করে মাছের ভেড়ি বানানোর বিরুদ্ধে।

সন্দেশখালির অনেক নারীই সেই প্রতিবাদ চলাকালীনই বিবিসিকে জানায়, সময়-অসময়ে পরিবারের নারীদের ডেকে নিয়ে যাওয়া হতো শেখ শাহজাহানের দফতরে। সেখানে প্রাথমিকভাবে দলীয় বৈঠক হতো, আর তারপরে গ্রামবাসীদের কথায়, ‘সুন্দরী’, ‘যুবতী’দের ভেতরের কোনো একটা ঘরে নিয়ে যাওয়া হতো পিঠে-পুলি বানানোর নাম করে।

সেখানেই নির্যাতন চলত বলে অভিযোগ উঠেছে।

নারী নির্যাতন, জমি জবরদখল আর জুলুমবাজির ঘটনাগুলোর তদন্তের দায়িত্ব কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো বা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে।

নির্যাতনের অভিযোগকারীই বিজেপির প্রার্থী
সন্দেশখালির নারীরা যখন প্রথম প্রতিবাদে নেমেছিলেন, তখন সকলেই বলছিলেন যে তার ওপর নির্যাতন হয়নি। কিন্তু তারা শুনেছে যে অনেকের ওপরেই এমন নির্যাতন চলেছে।

এরই মধ্যে রেখা পাত্র নামে সন্দেশখালির পাত্রপাড়া এলাকার এক গৃহবধূ পুলিশের কাছে নারী নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে এফআইআর দায়ের করেন।

তিনি অভিযোগ জানান, তিনি নিজেই নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

বিজেপি সেই রেখা পাত্রকেই বসিরহাট কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে।

ছোট একটা দ্বীপের গৃহবধূ থেকে তিনি এখন প্রচারের আলোয়। তাকে ঘিরে থাকেন বিজেপি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কর্মকর্তা এবং বিজেপির সাধারণ কর্মী সমর্থকরা।

একটা কর্মী সভার শেষে রেখা পাত্র বলেন, ‘মোদিজির আশীর্বাদ ছিল বলে আজকে আমাদের মা-বোনেদের সম্মানের জন্য হয়তো উনি আমাকে বেছে নিয়েছেন। আমাকে হয়তো প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন, কিন্তু আমার সন্দেশখালির মা-বোনেরাই আসল প্রার্থী। তাদের মুখ হয়ে আজীবন উনাদের পাশে থাকতে চাই আমি।’

‘পাড়ার মেয়ে’ ভোটে দাঁড়িয়েছে
‘পাড়ার মেয়ে’ ভোটে দাঁড়িয়েছে, তাও আবার তাদের সাথে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যে পাশে ছিল, এমন এক প্রার্থী, তাই বেজায় খুশি সন্দেশখালির অনেক নারী-পুরুষই।

ওই আন্দোলন চলার সময়ে, যখনও শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হননি, তখন এলাকার নারী-পুরুষ সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময়ে পরিচয় গোপন করে, মুখ ঢেকে কথা বলতেন। সবার মনেই একটা ভয় ছিল।

সন্দেশখালির এক বাসিন্দা অঞ্জলি সর্দার বলেন, ‘এখন তো ভয় নেই বলেই আর মুখ ঢাকছি না। তখন তো টার্গেট হয়ে যেতাম যে বাড়িতে এসে হামলা করবে। এখনো যে ভয় নেই তা না, তবে এখন তো চারদিক থেকে সব মেয়েরা এগিয়ে এসেছি, লড়াইয়ে নেমেছি। এটা তো লড়াই বলা যায়।’

মাস কয়েক আগে অঞ্জলি সর্দারের সাথেই বিবিসি যখন কথা বলেছিল, তখন তিনি পরিচয় গোপন করে, মুখ ঢেকে কথা বলেছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছিলেন, কয়েক মাসে সন্দেশখালিতে বদল এসেছে আরো।

বিগত বেশ কয়েকটি নির্বাচনের সময়ে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া অন্য কোনো দলের দেয়াল লিখন বা পতাকা চোখেই পড়ত না। তবে এবারে সন্দেশখালির দেয়ালে দেয়ালে বিজেপির প্রচার, তাদের পতাকায় ভরে গেছে সন্দেশখালি।

তৃণমূল কংগ্রেসও রয়েছে, আছে সিপিআইএমের দেয়াল লিখনও।

কিন্তু বিজেপির প্রচারটাই বেশি করে চোখে পড়ছে। এমনকি সন্দেশখালির মতো একটা এলাকায় হিন্দি দেয়াল লিখনও চোখে পড়ল।

আর সব দেয়াল লিখনেই নারী নির্যাতনের বিষয়টিই তারা সামনে নিয়ে এসেছে।

তবে শেখ শাহজাহান বা শিবু হাজরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে থাকায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

রেখা পাত্র কি আদৌ আন্দোনের ’মুখ’?
সন্দেশখালির নারী নির্যাতন নিয়ে প্রচার যে শুধু ওই এলাকায় বা বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে চালাচ্ছে বিজেপি, তা নয়।

রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রে সন্দেশখালির নারীদের নিয়ে গিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে।

যেমন উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে সন্দেশখালির কয়েকজন নারীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেখানকার দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে আয়োজিত এক জনসভায়।

এমনটা যে হতে চলেছে তার একটা ধারণা পাওয়া যায় যখন বসিরহাটের পাশের কেন্দ্র বারাসাতে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক জনসভায় সন্দেশখালির আন্দোলনকারী নারীদের হাজির করানোর মধ্যে দিয়ে।

তারপরেই রেখা পাত্রকে বসিরহাটের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।

কিন্তু রেখা পাত্র আদৌ সন্দেশখালির আন্দোলনকারীদের ‘মুখ’ ছিলেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা।

বসিরহাটের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নুরুল ইসলামের সমর্থনে সন্দেশখালির এক জনসভায় কথা হচ্ছিল তৃণমূল কংগ্রেসেরই কয়েকজন নারী সমর্থকের সাথে।

অসীমা সর্দার নামে এক নারী তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বলেন, ‘নারী নির্যাতন তো সেভাবে হয়নি। হ্যাঁ, জমি-জমা নিয়ে নেয়ার ব্যাপারটা হয়েছে। সে জন্যই ওই তিনজনের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। সেখানে কিন্তু ইনি ছিলেন না।’

‘ইনি’ অর্থাৎ বিজেপির প্রার্থী রেখা পাত্র।

আরেক তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক ভক্ত দাস বলেন, ‘আপনাদের সংবাদমাধ্যমের কাছে তো আন্দোলনের প্রথম দিন থেকে সব ভিডিও আছে। দেখান তো রেখা পাত্র ওই আন্দোলনে কোথায় ছিল? আমার ছবি কিন্তু দেখতে পাবেন, কালো টিশার্ট পড়েছিলাম আমি।’

তার কথায়, ‘ভোট পাওয়ার আশায় বিজেপির এটা রাজনৈতিক চাল।‘

‘সাজানো’ ঘটনা
বিজেপি যেখানে সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের বিষয়টিকে নির্বাচনের ইস্যু করে তুলতে চাইছে, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম থেকেই এটা অস্বীকার করে আসছে।

তারা বলছে, জোর করে জমি নিয়ে মাছের ভেড়ি বানানো, জমি মালিকদের লিজের অর্থ না দেয়া এসব অভিযোগ আছে, সরকারিভাবে তার প্রতিকারও করা হচ্ছে।

কিন্তু নারী নির্যাতনের ব্যাপারটা পুরোটাই সাজানো বলে তাদের বক্তব্য।

বসিরহাট কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘সন্দেশখালিতে কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা পুরোটাই ক্রিয়েট করা হয়েছে, সাজানো হয়েছে। এটা কারা করেছে, সবাই জানে। আর যদি কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তার জন্য আমরা দুঃখিত।’

কোনো দলের নাম করতে চাইলেন না নুরুল ইসলাম।

নারীদের ভোট পেতে চায় বিজেপি
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন এবারের নির্বাচনে নারীদের ভোট যাতে আরো বেশি করে তারা পায়, সেই লক্ষ্য রেখেই কৌশল তৈরি করছে বিজেপি।

তাদের কথায়, গত বছরের শেষ দিকে ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ আর রাজস্থানের নির্বাচনে তারা যে জয় পেয়েছে, তার পেছনে ছিল কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলোতে নারীদের ভোট তাদের পক্ষে যাওয়া।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক শিখা মুখার্জির কথায়, ‘ওই নির্বাচনগুলোর ফলাফল বিশ্লেষণ করে বিজেপি এটা বুঝেছে যে নারীদের ভোট তাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ওই তিন রাজ্যে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে প্রাপ্ত ভোটের পার্থক্য খুব বেশি নয়। কিন্তু বিজেপিকে বড় জয় এনে দিয়েছে নারীদের ভোট।’

তিনি বলেন, ‘এ জন্য এবার তারা সন্দেশখালি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ঘটনায় নারী-শক্তি শব্দটা ব্যবহার করছে। অথচ হরিয়ানার কুস্তিগিররা যখন রাস্তায় বসে ধর্না দিচ্ছিলেন, কাঁদতে কাঁদতে অলিম্পিকসের মেডেল ফেলে দিচ্ছিলেন, তখন কিন্তু মোদি একটা শব্দও ব্যবহার করেননি। বা মনিপুরে যখন দুজন নারীকে উলঙ্গ করে হাঁটানো হলো, গণধর্ষণ করা হলো, তখন বিজেপি বা প্রধানমন্ত্রী একটা শব্দও খরচ করেননি।’

তার কথায়, ‘এবারের নির্বাচনে নারীদের সম্মান, ইজ্জত, বিরোধী দলগুলো কিভাবে নারীদের অসম্মান করছে এটাই হচ্ছে বিজেপির পুরো ন্যারেটিভ।’

এ কারণে সন্দেশখালীর ইস্যুটিকে বিজেপি বেশ বড় করে নির্বাচনে তুলে ধরতে চাইছে বলে তিনি মনে করেন।
সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
কালবৈশাখীর তাণ্ডবের ২৪ ঘণ্টা পরেও মৌলভীবাজারে মিলছে না বিদ্যুৎ দেশে ৭০ শতাংশ মৃত্যু ঘটছে অসংক্রামক রোগে টিপু-প্রীতি হত্যা মামলায় ৩৩ আসামির বিচার শুরু খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জন্মদিন ও পতাকা অবমাননা মামলার শুনানি ২১ জুলাই মুন্সীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিক নিহত বেনাপোলে সাড়ে ৪ লাখ টাকার ফেনসিডিল উদ্ধার চট্টগ্রামে হুমায়ূন হত্যার প্রধান আসামি হাসান গ্রেফতার ঢাবি ভিসির সাথে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কাউন্সিলরের সাক্ষাৎ চকরিয়ায় জমির বিরোধ কেন্দ্র করে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ জেলের ছদ্মবেশে পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হলো সাড়ে ১২ লাখ ইয়াবা

সকল