একটি বিড়ালকে বাঁচাতে প্রাণ গেল একই পরিবারের ৫ জনের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১০ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৮
একটি বিড়ালকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হলো একই পরিবারের পাঁচজনের। এমনই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরে।
বিড়ালকে বাঁচানোর জন্য একটি পরিত্যক্ত কুয়ায় একের পর এক ঝাঁপ দিয়েছিলেন ওই পাঁচজন। তাতেই তাদের করুণ পরিণতি হয়।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বিষাক্ত গ্যাসে দম বন্ধ হয়ে পাঁচজন মারা গেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে ওই কুয়ায় বিড়ালকে পড়ে থাকতে দেখে ভিড় করেন স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন ধরেই পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল কুয়াটি। সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছিল। যার কারণে তাতে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেবিষয়ে কোনো ধারণাও ছিল না ওই পরিবারের। তারা বিড়ালকে বাঁচানোর জন্য কুয়ায় নামার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে একজন সেখানে নামেন। কিন্তু তিনি আর উঠে আসেননি। তখন অন্য একজন কুয়ায় নামেন। তিনিও উঠে না আসায় চিন্তিত হয়ে পড়েন বাকিরা। এরপর এভাবেই আরো তিনজন কুয়ায় নামেন। কিন্তু কেউই কুয়া থেকে উঠে আসেননি।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পাশাপাশি উদ্ধারকারী দলও সেখানে যায়। এরপর একে একে কুয়া থেকে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, মোট ছয়জন কুয়ায় নেমেছিলেন। তারমধ্যে একজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। তার কোমরে দড়ি বেঁধে কুয়ায় নেমেছিলেন। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মৃতরা হলেন- মানিক গোবিন্দ কালে, সন্দীপ মানিক কালে, বাবলু অনিল কালে, অনিল বাপুরাও কালে এবং বাবাসাহেব গায়কওয়াড়।
নেভাসা থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর ধনঞ্জয় যাদব বলেন, ‘পরপর পাঁচজন কুয়ায় নেমেছিলেন। কিন্তু কেউই জীবিত অবস্থায় উঠে আসেননি।’
তিনি আরো জানান, যে ব্যক্তি কোমরে দড়ি বেঁধে কুয়ায় প্রবেশ করেছিলেন তার চিকিৎসা চলছে। ওই ব্যক্তির নাম বিজয় মানিক। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল।
এদিকে, উদ্ধারকারী দলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। সকলকে কুয়া থেকে উদ্ধার করতে পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগেছে। সেক্ষেত্রে স্থানীয়দের অভিযোগ, উদ্ধারকাজ শেষ হতে অনেকে বেশি সময় নিয়েছে উদ্ধারকারী দল।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা