ভারতের‘উস্কানিমূলক মন্তব্যের’ কড়া নিন্দা পাকিস্তানের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪৫
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের ‘উস্কানিমূলক মন্তব্যের’ কড়া নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তান।
শনিবার (৬ এপ্রিল) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয় এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সাল থেকে ভারত সরকার পাকিস্তানে প্রায় ২০ জনকে হত্যা করেছে। বিদেশের মাটিতে বাস করা সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এমন অভিযান চালিয়েছে নয়াদিল্লি।
শুক্রবার স্থানীয় সম্প্রচারকারী সিএনএন নিউজ18 দেয়া সাক্ষাত্কারে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে গার্ডিয়ানের এই প্রতিবেদন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। জবাবে তিনি বলেন,‘যদি তারা পাকিস্তানে পালিয়ে যায়, আমরা তাদের পাকিস্তানে ঢুকে হত্যা করব।’
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আরো বলেন, ভারত সর্বদা তার প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, কিন্তু কেউ যদি ভারতকে বারবার রাগান্বিত চোখ দেখায়, ভারতে এসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রচার করার চেষ্টা করে,তাহলে আমরা তাদের কোনোভাবেই রেহাই দেব না।’
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয় শনিবার বিবৃতিতে বলা হয়,‘পাকিস্তানের অভ্যন্তরে নির্বিচারে ‘সন্ত্রাসী’ হিসাবে আখ্যা দিয়ে বেসামরিক নাগরিকদের বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা ভারতের প্রস্তুতির কথা স্পষ্টভাবে নিন্দনীয়।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এই ধরনের‘মায়োপিক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ’ শুধুমাত্র আঞ্চলিক শান্তিকেই নষ্ট করে না বরং দীর্ঘমেয়াদে গঠনমূলক সম্পৃক্ততার সম্ভাবনাকেও বাধা দেয়।
বিবৃতিতে এও বলা হয়, পাকিস্তান তার অভিপ্রায় এবং আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার ক্ষমতায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা, নাম প্রকাশ না করার শর্তে আল জাজিরার সাথে কথা বলেন। তারা স্বীকার করেন যে ২০২৩ সালে কমপক্ষে ছয়টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে এবং তার আগের বছরে দু’টি।
চলতি ছরের শুরুতে পাকিস্তান অভিযোগ করেছিল, দেশের মাটিতে তার দুই নাগরিককে হত্যার সাথে ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। ওই সময় ভারত একে ‘মিথ্যা ও বিদ্বেষপূর্ণ’ প্রচারণা বলে আখ্যা দিয়েছিল।
কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র গত বছর অভিযোগ করেছিল যে, তাদের দেশের মাটিতে ভারত মানুষ হত্যা বা হত্যার চেষ্টা করছে।
কানাডা সেপ্টেম্বরে দাবি করেছিল, তারা গুলিতে মারা যাওয়া শিখ নেতার মৃত্যুর সাথে ভারতের যুক্ত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে।
কানাডার একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানুয়ারিতে বলেছিলেন, এই শিখ নেতার মৃত্যুর সাথে ভারত জরিত।
ওই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ভারত এ বিষয়ে যেকোনো তথ্য পেলে তদন্ত করবে।
সূত্র : আলজাজিরা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা