বিজেপির প্রার্থী তালিকায় অভিনেত্রী কঙ্গনাসহ যেসব চমক
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৫ মার্চ ২০২৪, ২১:১৭
প্রকাশ্যে ভারতীয় জনতা পার্টিকে সমর্থনের পর এবার সরাসরি নির্বাচনী ময়দানে নামতে চলেছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। ভারতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে হিমাচল প্রদেশে প্রার্থী হিসাবে এই অভিনেত্রীকে বেছে নিয়েছে দেশের শাসক দল বিজেপি। হিমাচলের বাসিন্দা কঙ্গনা রানাওয়াত মাণ্ডি আসন থেকে দাঁড়াচ্ছেন।
বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত তিনি।
সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,‘মানুষের সেবায় আমি নিজেকে নিয়োজিত করব। আমাকে পথপ্রদর্শন করার জন্য দলের অভিজ্ঞরা সব সময় পাশে আছেন।’
রোববার পঞ্চম প্রার্থী তালিকায় ১১১ জনের নাম প্রকাশ করেছে করেছে বিজেপি। অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশসহ একাধিক রাজ্যের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি।
সেই তালিকায় শুধু বলিউড তারকা কঙ্গনা রানাওয়াতই নন, রয়েছে একাধিক চমক।
তালিকায় রয়েছেন ছোট পর্দার পরিচিত মুখ ও‘রামায়ণ’ টেলিভিশন সিরিয়ালে রাম চরিত্রের অভিনেতা অরুণ গোভিল, কংগ্রেস ছেড়ে সদ্য দলে যোগ দেয়া শিল্পপতি নবীন জিন্দল এবং তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেয়া ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতা অর্জুন সিং সমেত আরো অনেকে।
রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালির এক প্রতিবাদী মুখও, যিনি সেখানকার পরিস্থিতির বিষয়ে সরব হয়েছিলেন।
অন্যদিকে, বরুণ গান্ধীর মতো অনেকের নামই নেই এই তালিকায়।
কঙ্গনা রানাওয়াত যেভাবে ভোটের আসরে
ভারতের জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত যে এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী হতে পারেন সে বিষয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা ছিল। নির্বাচনী প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করার একদিন আগে তিনি নিজেও সে বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
হিমাচল প্রদেশের কাংড়ায় বগলামুখী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন,‘মা খুশি হলে আমি অবশ্যই মাণ্ডির সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।’
হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডির অন্তর্গত ভামলার বাসিন্দা কঙ্গনা রানাওয়াত।
চলচ্চিত্র জগতের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী সক্রিয় রাজনীতিতে এই প্রথম পা রাখলেও তার পরিবারের সাথেরাজনৈতিক মহলের যোগাযোগ নতুন নয়। তার প্রপিতামহ সরযূ সিং রানাওয়াত হিমাচলের গোপালপুরের কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন।
কঙ্গনা রানাওয়াত, যাকে একটি হিন্দি ছয়ায়াছবিতে ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল, অবশ্য বেছে নিয়েছেন বিজেপিকে।
বিগত কয়েক বছর যাবত তাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তার দলের সমর্থনেই কথা বলতে দেখা গিয়েছে। মূলত সমাজমাধ্যম বা সংবাদমাধ্যমের সামনে তার সেই সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তার মন্তব্যকে ঘিরে একাধিকবার বিতর্কও সৃষ্টি হয়েছে।
মহারাষ্ট্রে বছর তিনেক আগে তৎকালীন মহা বিকাশ আঘাড়ি সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি।
তার সেই মন্তব্যের পর অনেকেই অনুমান করেন সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিতে পারেন এই অভিনেত্রী।
এরপর বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলায় তৎকালীন মহা বিকাশ আঘাড়ি সরকারের বিরুদ্ধে তার কড়া অবস্থান তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করে।
এ ঘটনার পর তার সুরক্ষার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে ওয়াই-প্লাস নিরাপত্তা দেয়া হয়েছিল। এরপরই একাধিকবার জাতীয় পুরস্কার জেতা এই অভিনেত্রীর বিজেপিতে যোগ দেয়া নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে।
বিভিন্ন সময় কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে তাকে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। দেখা গিয়েছে তাদের কর্মসূচির প্রকাশ্যে প্রশংসা করতেও। গত জানুয়ারি মাসে রাম মন্দিরের ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠার’ দিনও অযোধ্যায় উপস্থিত ছিলেন তিনি।
রোববার পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত এই অভিনেত্রীর নাম বিজেপির প্রার্থী তালিকায় আসার পর সমাজমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটারে) তিনি লেখেন,‘আমি সবসময় আমার প্রিয় ভারত এবং ভারতীয় জনগণের নিজস্ব ভারতীয় জনতা পার্টিকে সমর্থন করেছি। আজ বিজেপির জাতীয় নেতৃত্ব আমাকে আমার জন্মস্থান হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে লোকসভা প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে।’
প্রার্থী হিসাবে এর আগেও হেমা মালিনীর মতো জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে বেছে নিয়েছে বিজেপি। এবারও তিনি মথুরা কেন্দ্র থেকে লোকসভা ভোটে লড়বেন।
বিজেপির প্রার্থী তালিকায় রয়েছে রবি কিষণ এবং মনোজ তিওয়ারির মতো একাধিক জনপ্রিয় অভিনেতা যাদের নাম আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল।
কঙ্গনা রানাওয়াতের পাশাপাশি পঞ্চম তালিকায় হিমাচলের কাংড়া থেকে ড. রাজীব ভরদ্বাজকে প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করেছে বিজেপি। দলের তরফে সাংসদ কিষাণ কাপুরের পরিবর্তে রাজীব ভরদ্বাজকে বেছে নেয়া হয়েছে।
এর আগে, হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এবং সিমলা থেকে সুরেশ কাশ্যপকে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেছিল ওই দল।
তবে আসন্ন লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় তারকার চমক এখানেই শেষ নয়। ছোট পর্দার অভিনেতা অরুণ গোভিলের নামও রয়েছে সেখানে।
ভারতীয় টেলিভিশনে‘রামায়ণ’-এর ওপর আধারিত ধারাবাহিকে রামচন্দ্রের ভূমিকায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি।
সদ্য যোগ দিয়েই প্রার্থী হলেন যারা
সদ্য প্রকাশিত প্রার্থী তালিকায় একাধিক উল্লেখযোগ্য নাম রয়েছে। অন্য দল থেকে সদ্য বিজেপিতে আসা একাধিক নেতা যেমন সেখানে রয়েছেন।
এর মধ্যে অন্যতম নাম নবীন জিন্দল। জিন্দল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান তথা ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর তিনি।
রোববার তাকে হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র আসন থেকে বিজেপি মনোনীত করে।
উল্লেখ্য, কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাবেক সাংসদ নবীন জিন্দল বিজেপিতে যোগ দেন রোববার রাত ৮টা নাগাদ, তালিকা ঘোষণার ঘণ্টাখানেক আগে।
বিজেপির সদর দফতরে দলের সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ের উপস্থিতিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেন। সে সময় বিনোদ তাওড়ে বলেছিলেন বিজেপিতে তার উপস্থিতি দেশের অর্থনীতি ও সমৃদ্ধির জন্য লাভদায়ক হবে।
দলে সদ্য যোগ দেয়া সীতা সোরেন লড়বেন ঝারখণ্ডের দুমকা থেকে। তিনি জেএমএম দলের প্রতিষ্ঠাতা, প্রয়াত শিবু সোরেনের পুত্রবধূ এবং প্রয়াত দুর্গা সোরেনের স্ত্রী।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের ১৯টি আসনে ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে একাধিক এমন নাম রয়েছে যারা সাম্প্রতিকালে দলে যোগ দিয়েছেন, কিংবা আবার ফেরত এসেছেন।
এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম হল সাবেক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দিন কয়েক আগে রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন তিনি বিজেপির হাত ধরে।
ওই সময় থেকেই তমলুক কেন্দ্র থেকে তার প্রার্থী হওয়া নিয়ে তীব্র জল্পনা ছিল। দিন কয়েক আগে থেকেই তাকে নিয়ে প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছিল ওই কেন্দ্রে। অবশেষে তার নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে তমলুক কেন্দ্র থেকে।
তৃণমূল থেকে লোকসভা নির্বাচনে টিকিট না পাওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে বিজেপিতে যোগ দেয়া তাপস রায় এবং দলে ফেরত আসা অর্জুন সিংকে নিরাশ হতে হয়নি।
কলকাতা উত্তর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের নির্বাচিত প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে বেছে নেয়া হয়েছে তাপস রায়কে। ওই কেন্দ্র থেকেই লড়তে ছেয়েছিলেন তাপস রায়।
তৃণমূলের সাথেতার বেশ কিছুদিন ধরেই দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে এবং দলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে সাম্প্রতিককালে সরবও হয়েছিলেন তিনি।
অন্য দিকে ব্যারাকপুরে ফের প্রার্থী হয়েছেন অর্জুন সিং। ওই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসাবে মনোনীত না হওয়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে আবারও বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য নাম
সদ্য প্রকাশিত তালিকায় অন্যতম উল্লেখযোগ্য নাম হল কেরালার কে সুরেন্দ্রন। কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর বিপরীতে ওয়েনাড় কেন্দ্র থেকে তাকে মনোনীত করা হয়েছে।
শ্রীশঙ্কর সংস্কৃত ইউনিভার্সিটির সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর কে এস রাধাকৃষ্ণণ এবং অভিনেতা জি কৃষ্ণকুমারকে যথাক্রমে এরনাকুলাম এবং কোল্লাম থেকে মনোনীত করেছে বিজেপি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ওড়িশার সম্বলপুর থেকে এবং দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র পুরী থেকে লোকসভা ভোটে দাঁড়াচ্ছেন।
উত্তরপ্রদেশের পিলিভিট থেকে বরুণ গান্ধীর পরিবর্তে প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে জিতিন প্রসাদকে।
মানেকা গান্ধী এবারো উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর থেকেই প্রার্থী হচ্ছেন। তার ছেলে বরুণ গান্ধীর নাম অবশ্য তালিকায় নেই।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রার্থী কারা?
বিজেপির প্রকাশিত পঞ্চম তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের আরো ১৯টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এই তালিকায় একাধিক উল্লেখযোগ্য বিষয়ে রয়েছে।
বসিরহাট কেন্দ্রে বিজেপি বেছে নিয়েছে সন্দেশখালির প্রতিবাদী নির্যাতিত নারীদের মধ্যে একজন রেখা পাত্রকে।
তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও তার অনুগতদের বিরুদ্ধে জোরজুলুম এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিককালে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। তীব্র নিন্দা করে এই ঘটনার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
দিন কয়েক আগে পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসে সন্দেশখালির কয়েকজন নির্যাতিত নারীর সাথে কথাও বলেন তিনি। রেখা পাত্রও তাদের মধ্যে ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।
বিজেপির প্রার্থী তালিকায় নতুন নামের পাশাপাশি অন্য একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল পরিবর্তিত কেন্দ্র। রাজনৈতিক সমীকরণই এই সিদ্ধান্তের পেছনে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
যেমন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুরের পরিবর্তে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন। তার পরিবর্তে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব মেদিনীপুরে বেছে নিয়েছে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলকে।
এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অগ্নিমিত্রা পল বলেন,‘দিলীপদার হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। আমাকে পার্টির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী করেছিলেন তিনি। তার কেন্দ্র থেকেই লোকসভা ভোটে লড়তে যাওয়াকে ভগবানের আশীর্বাদ বলেই মনে করি।’
ওই কেন্দ্রে এক নারী প্রার্থীকেই দাঁড় করাতে চেয়ে এই সিদ্ধান্ত, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। কারণ তৃণমূলের হয়ে জুল মালিয়া মেদিনীপুরে লড়ছেন।
অন্যদিকে কীর্তি আজাদের বিপরীতে লড়বেন দিলীপ ঘোষ। নিজের কেন্দ্রে লড়তে ছেয়েছিলেন তিনি এমনটা বিজেপির অন্দরমহলের খবর হলেও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,‘আমি গোটা রাজ্যটাকেই চিনি। কোনো কেন্দ্রই আমার কাছে কঠিন নয়। আমি এর আগে অনেক রথী মহারথীকে হারিয়েছি। কীর্তি আজাদ সেই তুলনায় কিছুই না।’
কেন্দ্র বদল হয়েছে রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীরও। তিনি এবার তৃণমূলের মালা রায়ের বিপরীতে কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে লড়বেন।
অন্যদিকে জলপাইগুড়িতে জয়ন্ত রায়কে বেছে নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। দার্জিলিঙয়ে রাজু বিস্তাকেই প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেছে বিজেপি।
এদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগণার তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি। একই সাথেঝাড়গ্রাম, এবং বীরভূমেও প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।
এর আগে আসানসোলে পবন সিংকে প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করা হয়েছিল। পরে অবশ্য তিনি জানিয়ে দেন আসানসোল থেকে তিনি লড়বেন না। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে এখনো ৪টি সিটে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি বিজেপির তরফে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপিকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।
দলীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়ান সাংবাদিকদের বলেন,‘বিজেপি জোড়াতালি দিয়ে একটা তালিকা ঘোষণা করেছে। এখনো ৪টি আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলার মানুষ বিজেপিকে উপযুক্ত জবাব দেবে।’
তালিকায় যাদের নাম নেই
যে প্রার্থীদের নাম বিজেপির পঞ্চম প্রার্থী তালিকাতেও নেই তার মধ্যে অন্যতম হল বরুণ গান্ধী। পিলিভিটে তার পরিবর্তে বেছে নেয়া হয়েছে জিতিন প্রসাদকে।
দলের বিরুদ্ধে একাধিক বিষয়ে কথা বলেছিলেন বরুণ গান্ধী। কৃষক আন্দোলনের সময় দলের নীতি, বেকারত্ব, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাসহ একাধিক ক্ষেত্রে তার সাম্প্রতিক মন্তব্য তার বিষয়ে বিজেপির নেয়া সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বরুণ গান্ধী পিলিভিট থেকেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়তে পারেন বলে আপাতত জল্পনা রয়েছে। পরবর্তী সময়ে তার সিদ্ধান্ত কী হয় সেটাই দেখার।
প্রাক্তন সেনাপ্রধান ভি কে সিংয়ের পরিবর্তে গাজিয়াবাদ কেন্দ্র থেকে বিজেপি অতুল গর্গকে বেছে নিয়েছে।
উপভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও জনবন্টন এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবের নামও ওই তালিকায় নেই।
সূত্র : বিবিসি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা