ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় : তছনছ হতে পারে করাচি, প্রভাব পড়বে ভারতেও

ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাব পড়বে ভারতীয় উপকূলে। ক্রমেই উত্তর মুখে অগ্রসর হচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ভারতের উপকূলের আরো কাছে চলে আসবে এই ঘূর্ণিঝড়। ইতোমধ্যেই শক্তি বাড়িয়ে এ ঘূর্ণিঝড় ‘অতি শক্তিশালী’ ঝড়ে পরিণত হয়েছে। এ আবহে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের সময় ও স্থানের আপডেট দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)।

ইতোমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’-এর প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। করাচি বন্দরের তরফে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে কেরলের তিরুঅনন্তপুরম, কোল্লাম, পাথানামথিট্টা, আলাপ্পুজহা, কোট্টায়াম, ইদ্দুকি ও কোঝিকোড়ে হলুদ সতর্কতা জারি ছিল। কর্ণাটক, গোয়া, মহারাষ্ট্রের উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এ ঘূর্ণিঝড়ের জেরে। আরব সাগরের উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় ইতোমধ্যেই অতি শক্তিশালী ঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি নয় কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আগামী ১৫ জুন, বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড়টির ল্যান্ডফল ঘটবে। একই সময় ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৯৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হতে পারে।

আইএমডি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় ১৫ জুন দুপুরের দিকে সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছের ওপর দিয়ে যাবে। গুজরাটের মান্ডভি ও পাকিস্তানের করাচির মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানি উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বিপর্যয়। বর্তমানে এ ঘূর্ণিঝড় মুম্বইয়ের ৫৮০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, পোরবন্দরের ৪৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং করাচির ৭২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে।

ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড়ো হাওয়া বইছে। দমকা হাওয়ার বেগ ১৯৫ কিলোমিটার ছুঁয়ে ফেলছে মাঝে মাঝে। ঘূর্ণিঝড় তাউটের পর এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হতে চলেছে আরব সাগরের ইতিহাসে।

আইএমডি জানিয়েছে, নিম্নচাপ থেকে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিপর্যয় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর গতিবেগ ৫৫ কিলোমিটার থেকে ১২১ কিমিতে পৌঁছে যায়। আর এখন এটি অতিশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। যেখানে দমকা হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ছুঁয়ে ফেলছে।
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস