বিবিসির দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসে আয়কর দফতরের ‘সমীক্ষা’ এখনো চলছে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:৩৫

ভারতের দিল্লি ও মুম্বইয়ে ‘ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন’ (বিবিসি)-এর কার্যালয়ে আয়কর অভিযানের প্রায় ১৫ ঘণ্টাও অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ আয়কর দফতরের দল এসে পৌঁছয় দিল্লি এবং মুম্বইয়ে বিবিসি-র দফতরে। অফিসে ঢুকেই বিবিসির সমস্ত সাংবাদিক এবং সংবাদকর্মীকে মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ নিজেদের কাছে জমা রাখেন আয়কর কর্তারা। তার পর শুরু হয় ‘সমীক্ষা’। সূত্রের খবর এই ‘সমীক্ষা’ চলতে পারে বুধবার সকাল পর্যন্ত। আয়কর কর্মীরা ২০১২ সাল থেকে বিবিসির সমস্ত লেনদেনের তথ্য খতিয়ে দেখছেন। বিবিসি আগেই টুইট করে আয়কর দফতরের সাথে সব রকম সহযোগিতার বার্তা দিয়েছিল।
বিবিসি অফিসে আয়কর দফতরের অভিযান ঘিরে তোলপাড় দেখা দিয়েছে ভারতীয় রাজনীতির। ব্রিটেন সরকার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। পরিস্থিতি এমনই যে বিবৃতি দিয়েছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। পাল্টা তোপ দেগেছেন বিরোধীরা। উদ্বেগপ্রকাশ করে বিবৃতি জারি করেছে ‘এডিটরস গিল্ড’ও। আয়কর দফতরের ‘সমীক্ষার’ নিন্দা করে বিবৃতি প্রকাশ করেছে ‘প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া’।
ঘটনাচক্রে, মোদির তথ্যচিত্র ঘিরে বিতর্কের আবহেই বিবিসির দফতরে এই আয়কর ‘সমীক্ষা’ চলছে। কয়েক সপ্তাহ আগেই বিবিসির তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’-এর প্রদর্শন বন্ধের জন্য ‘তৎপরতা’ শুরু করেছিল মোদি সরকার। দু’দশক আগে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানায় গোধরাকেলেঙ্কারি এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রে।
‘দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল ভারত সরকার। একে ‘অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে দাবি করা হয়েছিল, উপনিবেশিক মানসিকতা থেকে তথ্যচিত্রটি তৈরি। যদিও বিবিসি দাবি করে, যথেষ্ট গবেষণা করে তথ্যচিত্রটি বানানো হয়েছে। কংগ্রেসসহ বিরোধী দলের নেতারা তখন থেকেই বিষয়টি ‘সেন্সরশিপ’ আখ্যা দিয়ে আসছেন।
সূত্র : বিবিসি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা