০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


জাপান-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব

জাপান-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব - নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ জাপানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি বড় অনুষঙ্গ হলো বিগত পাঁচ দশকে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বাণিজ্যিক আদান-প্রদানের প্রসারতা। এ কথা প্রণিধানযোগ্য যে, আধুনিক পর্যায়ে দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতা এবং গতি-প্রকৃতিতে অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ-জাপান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের উত্থান পতন বিশেষ নির্দেশক হিসেবে কাজ করেছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পরে জাপান সরকার বাংলাদেশের যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতি পুনর্গঠনে এগিয়ে আসে। বাংলাদেশে জাপানি বাণিজ্য ও সে সুবাদে বিনিয়োগে জাপানিরা বরাবর আগ্রহ দেখিয়ে এসেছেন। জাপান হচ্ছে এশিয়ায় বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্যের অন্যতম গন্তব্যস্থল। আবার জাপানি পণ্য বাংলাদেশের আমদানি বাণিজ্যের বেশির ভাগ দখল করে আছে।

জাপানের সাথে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক কোনো বাণিজ্য চুক্তি না থাকলেও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চলে মুক্তবাজার নীতিতে এবং গ্যাট ও অধুনা ডব্লিউটি ও নিয়ন্ত্রিত অনুশাসন অনুসারে। বাংলাদেশের পণ্য জাপানের বাজারে প্রবেশে ৩৮টি স্বল্পোন্নত দেশের মতো জিএসপি সুবিধা পেয়ে থাকে। জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) জাপানে বাংলাদেশী পণ্যের বাজার সৃষ্টিতে নানা টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের হিমায়িত চিংড়ি জাপানের বাজারে বেশ জনপ্রিয়তা পেলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের তুলনায় মূল্যকাঠামো ভিন্নতর হওয়ায় বাংলাদেশী চিংড়ির জাপানে সরবরাহ কমছে। জাপানিরা এখন প্রক্রিয়াজাত চিংড়ির দিকে ঝুঁকছে। বাংলাদেশ থেকে রেডিমেড গার্মেন্টসের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ সময় বেশি লাগার কারণে জাপানে তৈরী পোশাকের প্রবেশ আশানুরূপ হচ্ছে না। জাপানের বাজারে বাংলাদেশ অন্যতম চামড়া সরবরাহকারী দেশ। বিশেষ করে বাংলাদেশের ছাগলের চামড়ার বেশ কদর জাপানের বাজারে। বাংলাদেশের চা ‘দ্য স্টার অব বেঙ্গল’ ব্রান্ড নামে জাপানের বাজারে ঠাঁই পেয়েছে। জাপান-বাংলাদেশ বাণিজ্য প্রসারের ক্ষেত্রে জাপান চেম্বার অব কমার্স, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স (এফবিসিসিআই) এবং সাম্প্রতিককালে সংগঠিত বাংলাদেশ জাপান চেম্বার অব কমার্সের ভূমিকা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশের ইপিজেডগুলোতে জাপানি বিনিয়োগ বাড়ছে আর সে সুবাদে জাপানে বাংলাদেশের রফতানি বাড়ছে। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ-জাপান যৌথ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা কমিটি আত্মপ্রকাশের পর দুই দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ব্যবসায়-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ যোগাযোগের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়।

১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানে মূলত জাপানি বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক যোগাযোগ প্রসার লাভ করে। ঢাকা শহরের কেন্দ্রস্থলে শান্তিনগরে জাপানি কনস্যুলার অফিস ছিল পূর্বপাকিস্তানে জাপানি ব্যবসায়-বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক ভাব বিনিময়ে নিবেদিত। এ অফিসের উদ্যোগে ঢাকায় ষাটের দশকে জাপানি ফুল সাজানোর উৎসব ‘ইকেবানা’সহ নানা অনুষ্ঠানে আয়োজিত হতো। ঢাকার রাস্তায় টয়োটা গাড়ির চল শুরু হয় সে সময়। ষাটের দশকে শাহবাগে জাপানি রেস্তোরাঁ ‘সাকুরা’ স্থাপিত হয় এবং সেখানে খাবার হিসেবে টেম্পুরা ও শুশি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। বাওয়ানিদের ইস্টার্ন কেমিক্যালসে জাপানি ইঞ্জিনিয়ারদের উপস্থিতি, ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা ও চট্টগ্রাম ইস্পাত কারখানায় জাপানি বিনিয়োগ ও অংশগ্রহণ ছিল সে সময়কার বড় ঘটনা। জাপানে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির ফলে এবং শ্রম শক্তির অপ্রতুলতার পেক্ষাপটে জাপানিরা আশির দশকে তাদের উৎপাদন ব্যবস্থাপনাকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্থানান্তর করে। এ প্রবণতা ডলারের সাথে ইয়েনের মূল্যমান নির্ধারণসংক্রান্ত ১৯৮৫ সালের প্লাজা চুক্তি স্বাক্ষরের পর আরো বেড়ে যায়। ১৯৮৬ সালে জাপান সরকার বিশ্বায়নের তাগিদে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে আমদানি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় এবং এর ফলে যেসব দেশ থেকে জাপানে রফতানি বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে সেসব দেশে জাপানি বিনিয়োগ উৎসাহিত হয়। এসব বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষাপটে জাপানি কোম্পানিগুলো বিদেশে, বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উদীয়মান শিল্প সম্ভাবনাময় দেশগুলোতে নিজেদের উৎপাদন ব্যবস্থাপনাকে ব্যাপকভাবে স্থানান্তরে উদ্যোগী হয়। কিন্তু আশির দশকের শেষ ভাগের আগে বাংলাদেশ জাপানিদের কাছে বিনিয়োগ স্থল হিসেবে সম্যক পরিচিত ছিল না। তখন পর্যন্ত বাংলাদেশ তাদের কাছে জনসংখ্যার ভারে ন্যুব্জ, দারিদ্র্য, রোগশোক, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকে বৈদেশিক বিনিয়োগের আকর্ষণে সরকারি উদ্যোগ বেশ জোরেশোরে গৃহীত হওয়ায় ১৯৯১ সাল থেকে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগপ্রবাহ বাড়তে থাকে। জাপানি অর্থনীতির মন্দাভাবের প্রেক্ষাপটেও বর্তমানে সে প্রবাহ অব্যাহত আছে।

বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগের বেশির ভাগ এসেছে রাসায়নিক সেক্টরে (৫৭ শতাংশ)। এর পরে টেক্সটাইল সেক্টরের (১৬ শতাংশ) স্থান, তারপর মেটাল প্রডাক্টস (১৩ শতাংশ), ইলেকট্রনিক্স (১১ শতাংশ) এবং অন্যান্য (৩ শতাংশ)। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাস তুলনামূলকভাবে কম দামে পাওয়ায় রাসায়নিক সার প্রস্তুতিতে এর সহজ জোগান সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের প্রাগ্রসরমান গার্মেন্ট শিল্পের পশ্চাৎসংযোগ হিসেবে টেক্সটাইল সেক্টরে জাপানি বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার প্রেক্ষাপটে জাপানের নিশিমেন, টয়োবো করপোরেশন ও বাংলাদেশের এ কে খান গ্রুপ ইন্টারন্যাশনাল মিলস প্রজেক্ট স্থাপনের একটি উদ্যোগ এবং ১৫০ মিলিয়নের মারুবেনি-এসারের আরেকটি বড় প্রকল্প (কোল্ড রোল স্টিলমিলস লিমিটেড) দীর্ঘদিন ধরে বাস্তবায়নের অপেক্ষায় ছিল।

১৯৯৫ সালে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) দ্য স্টাডি অন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অন চিটাগাং রিজিওন ইন দ্য পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ নামে একটি বিশেষ সমীক্ষা বাংলাদেশ সরকারের কাছে পেশ করে। এ প্রতিবেদনে বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে স্পেশাল ইকোনমিক জোনসমূহ গঠনের পরামর্শ দেয়া হয়। সমীক্ষায় ২৫ বছর মেয়াদি একটি বিনিয়োগ মহাপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। যার মধ্যে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে জাপানিদের জন্য একটি বিশেষ রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল, গভীর সমুদ্রে আধুনিক কনটেইনার সুবিধাসংবলিত সমুদ্রবন্দর ও চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করা হয়। চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম সংলগ্ন এলাকা ঘিরে শিল্প বেষ্টনী গড়ে তুলতে পারলে সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক ও চট্টগ্রামকে নিয়ে একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রায়াঙ্গেল গঠিত হতে পারে বলে প্রতিবেদনে অভিমত প্রকাশ করা হয়। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে শুধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাপানি সহায়তায়। জাপানিদের জন্য ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠায় জাপানিদের আগ্রহ আয়োজনে টানাপড়েন সৃষ্টি হয় চট্টগ্রামের অদূরে কোরীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ ইপিজেড প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের বিতর্কিত ভূমিকার কারণে। সম্প্রতি ঢাকার অদূরে আড়াই হাজারে জাপানিদের জন্য বিশেষ শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছে। মাতারবাড়ি সোনাদিয়া অঞ্চলে জাপানি বিনিয়োগ হাব গড়ে উঠছে বিগ-বি মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে।

জাপানি শিল্পদ্যোক্তারা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ও ধীরেসুস্থে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পক্ষপাতী। বিশেষ করে বিদেশে পুঁজি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তারা বরাবর খুঁতখুঁতে স্বভাবের। সে কারণে যে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, যোগাযোগব্যবস্থা ও সার্বিক পরিবেশ পরিস্থিতি নাজুক সেসব দেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে তারা বেশ স্পর্শকাতর। শুধু স্বল্প মজুরিতে অঢেল অদক্ষ শ্রমিক পাওয়া এবং তুলনামূলকভাবে কিছু সুযোগ-সুবিধা থাকা তাদের কাছে বড় কিছু নয়। তারা তাদের বিনিয়োগের সুদূরপ্রসারী প্রাপ্তিকে বিশেষ বিবেচনায় এনে থাকেন। আঞ্চলিক, ভৌগোলিক ও নৃতাত্ত্বিক সংযোগের কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শিল্প সম্ভাবনাময় উদীয়মান দেশগুলো তাদের প্রধান আকর্ষণস্থল। এমনকি সামরিক সরকারের অধীনে থাকলেও মিয়ানমারের প্রতি তাদের আগ্রহ কোনো অংশে কম নয়। ভিয়েতনামের সাথে জাপানের অন্যতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর সে দেশটির প্রতিও জাপানিদের আগ্রহ বেড়ে চলেছে। এসব কারণে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নশীল একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি জাপানিদের আগ্রহ তুলনামূলকভাবে তীব্র প্রতিযোগিতার সম্মুখীন।

জাপান বাংলাদেশের অন্যতম দ্বিপক্ষীয় দাতা দেশ। জাপান থেকে বাংলাদেশ বিগত পাঁচ দশকে (১৯৭২-২০২১) মোট মাত্র ১৬ হাজার ১৮৯ মিলিয়ন আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। এর মধ্যে খাদ্য সাহায্য ৪০৯ মিলিয়ন (২.৫২ শতাংশ ), পণ্য সাহায্য তিন হাজার ৬৪৬ মিলিয়ন (২২.৫২ শতাংশ) এবং প্রকল্প সাহায্য ১২ হাজার ১৩৫ মিলিয়ন (৭৫ শতাংশ)। মোট প্রাপ্ত সাহায্যের মধ্যে অনুদান ২১.৪৬ শতাংশ এবং ঋণ ৭৮.৫৪ শতাংশ। জাপানি প্রকল্প সাহায্য লোনের সুদের হার ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত্র ছিল বার্ষিক ১.২৫০ শতাংশ এবং ১৯৮৮ থেকে বর্তমান পর্যন্ত বার্ষিক ১ শতাংশ। ১০ বছর রেয়াতি সুবিধাসহ ৩০ বছরে তা পরিশোধযোগ্য। জাপান বাংলাদেশকে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে যা দিয়েছে তার মধ্যে যমুনা সেতুসহ যোগাযোগ সেক্টরে ২৭ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২৫ শতাংশ, কেমিক্যাল সেক্টরে ২৩ শতাংশ, টেলিযোগাযোগ খাতে ৯ শতাংশ, বিমান বন্দর উন্নয়নসহ পর্যটন খাতে ৭ শতাংশ, সোশ্যাল সেক্টরসহ অন্যান্য খাতে ৯ শতাংশ ব্যবহৃত হয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, জাপান বাংলাদেশের মেঘনা সেতু, গোমতী সেতু, সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ, সাধারণ শিক্ষা, পানি নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্প, পল্লী উন্নয়নসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত সুবিধা নির্মাণে অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়েছে। এ ছাড়া, জাপান প্রতি বছর প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা খাতে বৃত্তি বাবদ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ অনুদান হিসেবে দিয়ে থাকে।

কূটনৈতিক সম্পর্কের সর্বজনীন সংস্কৃতি অনুযায়ী বাংলাদেশ-জাপান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কও দুই দেশের জনগণের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের ভিত্তিতে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ঘিরে গড়ে উঠেছে। বাজার অর্থনীতি আর বিশ্বায়নের প্রভাবে অর্থনৈতিক স্বার্থ এখন সব সম্পর্কের নিয়ন্তা হিসেবে প্রাধান্য পাচ্ছে। বর্তমান বিশ্বে ব্যবসায়-বাণিজ্য বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সাহায্য-সহযোগিতার ক্ষেত্রে জাপান একটি শীর্ষস্থানীয় দেশ। এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সাথে জাপানের সম্পর্ক বর্র্তমান পর্যায়ে তাই সঙ্গত কারণে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের সূত্র ধরে বহমান। এ সম্পর্ক সূদৃঢ় ও সাবলীল রাখার ক্ষেত্রে দুই দেশের সরকার ও জনগণের মধ্যে ব্যবসায়-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সাহায্য-সহযোগিতা বৃদ্ধিতে পারস্পরিক সমঝোতা অনস্বীকার্য হয়ে উঠছে।

লেখক : উন্নয়ন অর্থনীতির বিশ্লেষক


আরো সংবাদ



premium cement