১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


অর্থপাচারে ইপিজেডগুলো যেন স্বর্গরাজ্য

অর্থপাচারে ইপিজেডগুলো যেন স্বর্গরাজ্যঅর্থপাচারে ইপিজেডগুলো যেন স্বর্গরাজ্য - নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ থেকে ব্যাপকভাবে অর্থপাচার হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার জরিপে দেশ থেকে টাকা পাচারের তথ্য উদ্ঘাটন হচ্ছে। এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই), সুইস ব্যাংক এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন আইসিআইজের পানামা ও প্যারাডাইস পেপারেও বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের ঘটনা উদ্ঘাটন হয়েছে।

অর্থপাচার বন্ধে দেশে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন রয়েছে। এই আইন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাণিজ্যিক ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও সিআইডি কাজ করছে। এরপরও দেশ থেকে অর্থপাচার কমছে না বরং বাড়ছে। অর্থপাচারের অনেক পদ্ধতির মধ্যে কয়েকটি হলো, অনলাইন ব্যাংকিং, হুন্ডি, স্বর্ণ চোরাচালান, নগদ অর্থপাচার ইত্যাদি। এর মধ্যে হুন্ডি ও চোরাচালানের মাধ্যমে অর্থপাচারে ঝুঁঁকির মাত্রা বেশি থাকে। ফলে গত কয়েক বছর ধরে ব্যাংকিং চ্যানেলে যাচ্ছে মোট পাচারের উল্লেখযোগ্য অংশ।

আইএলওর এক জরিপে দেখা গেছে, প্রবাসীরা প্রতি বছর যে পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠান তার ৪০ শতাংশ আসে ব্যাংকিং চ্যানেলে। বাকি ৬০ শতাংশের মধ্যে ৩০ শতাংশ নগদ আকারে এবং অবশিষ্ট ৩০ শতাংশ আসে হুন্ডির মাধ্যমে। এই অর্থ কার্ব মার্কেট হয়ে আবার বিদেশে চলে যাচ্ছে। তবে দেশের টাকা পাচারের অন্যতম নিরাপদ রুট হলো আমদানি-রফতানি। আর রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) তার স্বর্গরাজ্য। আজকের লেখা মূলত এই রুটে অর্থপাচার নিয়েই।

আমদানির মাধ্যমে অর্থপাচার
দেশ থেকে টাকা পাচারের অনেক পথের অন্যতম হলো আমদানি-রফতানি প্রক্রিয়ায় ওভার ভয়েসিং ও আন্ডার ভয়েসিং। আমদানি প্রক্রিয়ায় অর্থপাচারের বিভিন্ন ধাপ হলো- এলসি খুলে বিদেশে অর্থ পাঠানোর পরও পণ্য দেশে না আনা; আমদানি মূল্যের চেয়ে বেশি অর্থ বিদেশে পাঠানো, এলসিতে উল্লিখিত পরিমাণের চেয়ে কম পণ্য দেশে আনা, বেশি দামের পণ্যের এলসি খুলে কম দামের পণ্য দেশে আনা ইত্যাদি। মূলত, আমদানির চ্যানেল হলো- দেশী ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রাহক অর্থ বিদেশের ব্যাংকে পাঠায়; বিদেশী ব্যাংক থেকে ওইসব অর্থ স্থানান্তর করা হয় রফতানিকারকের ব্যাংক হিসাবে; রফতানিকারক ওই অর্থ আমদানিকারকের হিসাবে স্থানান্তর করে। এ প্রক্রিয়ায় আমদানিকারক ও রফতানিকারক এবং দেশী ব্যাংক, বিদেশী ব্যাংক, মিলে অর্থপাচার করছে। এ কাজে সহায়তা করে আমদানি তদারককারী সংস্থা কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ। এসব প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা পণ্য দেশে না আনলেও কাগজপত্রে দেখিয়ে দিচ্ছে পণ্য দেশে এসেছে। একই প্রক্রিয়ায় কম পণ্য দেশে আনার মাধ্যমে বা কম দামি পণ্য দেশে আনার মাধ্যমে অর্থপাচার হচ্ছে।

অর্থপাচারের আরো অনেক কায়দা রয়েছে। যেমন, শিল্পের যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানির নামে টাকা পাচার। শুল্ক গোয়েন্দাদের মতে, অর্থপাচারের অন্যতম অভিনব একটি উপায় হলো ক্রেতাদের কাছে নমুনা হিসেবে পণ্য পাঠানোর কথা বলে তার মাধ্যমে টন টন পণ্য পাঠানো, যার কোনো মূল্য দেশে আসে না। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত পরিদফতরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত সব মিলিয়ে পাচার করা অর্থের পরিমাণ ৮২১ কোটি টাকার বেশি।

একটি সংঘবদ্ধ চক্র চলতি বছরে সাতটি বিদেশী প্রতিষ্ঠানের নামে বেপজার আমদানির অনুমতিপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে উচ্চ শুল্কের মদ-সিগারেট আমদানির ঘটনাও জানা যায়। এ ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের মূল হোতারা অধরাই থাকছে। তারও আগে ঢাকা ইপিজেডের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান একই কায়দার পণ্য আমদানি করে। এ ধরনের ঘটনা ধরা পড়লে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নামে থানায় মামলা দিয়ে দায় সারছে কাস্টমস। মূলত কাস্টমসের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সফটওয়্যারের সাথে বেপজার ওয়েবসাইটের আন্তঃসংযোগ না থাকার সুযোগ নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। আর এতে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করছে কতিপয় দুর্নীতিবাজ কাস্টমস কর্মকর্তা, যা কাস্টমসের তদন্তেই উঠে এসেছে।

রফতানির মাধ্যমে অর্থপাচার
আমদানির মতো একইভাবে রফতানি প্রক্রিয়ায়ও অর্থপাচার হয়। এ ক্ষেত্রে রফতানির পণ্য পাঠানোর পরও রফতানি মূল্য দেশে না আনা; মোট রফতানির মূল্যের চেয়ে কম মূল্য দেশে আনা; বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে পণ্য রফতানি করা; বেশি পণ্য রফতানি করে এলসিতে কম দেখানো ইত্যাদির মাধ্যমে দেশ থেকে অর্থপাচার হয়। বিদেশের পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে গ্রাহক যে পরিমাণ পণ্য রফতানি করে তার পুরোটা দেশে আনে না। বাকি অর্থ বিদেশী ব্যাংক ওই দেশের আমদানিকারকের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে। আমদানিকারক তা দেশের রফতানিকারকের বিদেশের কোনো ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অর্থপাচারে সহায়তা করছে দেশের সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। কেননা, রফতানির মূল্য তিন থেকে চার মাসের মধ্যে দেশে আনার কথা। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে দেশে না আনলেই তা পাচার বলে ধরে নিতে হবে। ব্যাংকগুলো এসব এ বিষয়গুলো তদারকি করে না।

তৈরী পোশাক বাংলাদেশের প্রধান রফতানি খাত হওয়ায় এই খাতের পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে পণ্য দ্রুত ছাড় দেয়া হয় এবং কড়াকড়িও কম করা হয়। এরই সুযোগ নেয় অপরাধী চক্র। এ ক্ষেত্রে অর্থপাচারের প্রধান উপায় হলো আন্ডার ইনভয়েসিং। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই এ উপায় অবলম্বন করে। এনবিআর সার্ভার ও কাস্টমস কর্মকর্তারা রফতানির সময় সঠিকভাবে তদারকি বা যাচাই-বাছাই না করায় অনেক চালান কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই বন্দর ছেড়ে যেতে পারে। এ ধরনের পাচার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হলেও মাঝে মধ্যে দুয়েকটি ঘটনা শনাক্ত হয়। এই অর্থপাচারের সাথে একাধিক চক্র, যাদের মধ্যে অনেক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির যোগসূত্রও পেয়েছে গোয়েন্দা সূত্র।

অনেক বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট অসাধু কর্মকর্তা এই অর্থপাচার চক্রের সাথে জড়িত থাকে। অসাধু চক্রের অনেক ব্যাংকের কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করার প্রমাণ রয়েছে। বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, প্রশ্নবিদ্ধ রফতানিকারকরা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের গ্রাহক নন। প্রতারক চক্ররা কোনো ভিন্ন কোম্পানির রফতানি অনুমতিপত্রের (ইএক্সপি) বিপরীতে ঋণপত্র জারি করে যা এই কোম্পানিগুলোর নয়। রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মূলত বিল অব এক্সপোর্টে ন্যাচার অব ট্রানজেকশনের কোড ব্যবহার করে অর্থপাচার করে।

অর্থপাচারে ইপিজেড স্বর্গরাজ্য
আমদানি-রফতানির মাধ্যমে অর্থপাচারের স্বর্গরাজ্য যেন দেশের রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলগুলো (ইপিজেড)। ইপিজেডে রয়েছে শতভাগ বিদেশী বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান, দেশী-বিদেশী যৌথ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এবং সম্পূর্ণ দেশী অথচ শতভাগ রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পায়। যেখানে সাধারণ রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ব্যাংকে এলসি বা ব্যাক-টু-ব্যাক খোলার মাধ্যমে বন্ডের আওতায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় পণ্য আমদানি করতে হয়, সেখানে ইপিজেডের প্রতিষ্ঠান শুধু সেলস কন্ট্রাক্টের ভিত্তিতে এলসি ছাড়াই পণ্য আমদানির সুবিধা পেয়ে থাকে। তা ছাড়া ইপিজেডের প্রতিষ্ঠান অনচেসিস ডেলিভারি সুবিধা পায়। অর্থাৎ আমদানিকৃত পণ্যবোঝাই কনটেইনার কাস্টমস থেকে সরাসরি ট্রাক-লরিতে ডেলিভারির জন্য উঠিয়ে দেয়া হয়। আর এ কারণে চোরাকারবারিদের নজর এখন ইপিজেডের দিকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চ শুল্কের পণ্য আমদানির জন্য চোরাকারবারিরা ইপিজেডের প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেছে নেয়ায় বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে নেতিবাচক বার্তা যাচ্ছে। এ ছাড়াও ভুয়া সেলস কন্ট্রাক্ট বানিয়ে পণ্য আমদানি করায় ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে শতভাগ অর্থপাচার হচ্ছে।

ইপিজেডের মাধ্যমে অর্থপাচারের একটি নমুনা হলো- ২০২০ সালে ঢাকা ইপিজেডের একটি গার্মেন্টস বিদেশ থেকে আনা তৈরী পোশাকের এক্সেসরিজ খালাসের জন্য বিল অব এন্ট্রি জমা দেয়। পরীক্ষা করে কাস্টমস দেখতে পায়, এক্সেসরিজের পরিবর্তে ৮৫০ কার্টন বিদেশী সিগারেট আনা হয়েছে। এসব সিগারেটের আমদানি মূল্য সাড়ে তিন কোটি টাকা, যার শুল্ক-কর প্রায় ২১ কোটি টাকা। রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (বেপজা) আমদানি অনুমতিপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে এসব পণ্য আনা হয়েছে। বেপজা থেকে এনবিআরে চিঠি দিয়ে বলা হয়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র আমদানি অনুমতি জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে পণ্য আমদানির অপচেষ্টায় সক্রিয় রয়েছে। এ ধরনের জালিয়াতির সাথে ইপিজেডের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত না হওয়া সত্ত্বেও পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের বিআইএন লক করা, কোম্পানির বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের ও আমদানিকৃত পণ্য শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করার কারণে আমদানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে বিনিয়োগকারীরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এবং দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের মতে, বাংলাদেশ প্রতি বছর যে পরিমাণ অর্থ বৈদেশিক সাহায্য হিসেবে পায় সেটির প্রায় তিনগুণ টাকা পাচার হয়। অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাণিজ্যের নামে অর্থপাচারের অভিযোগ অনেক পুরোনো। গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির প্রতিবেদনেও এসেছে। ব্যবস্থা নেয়া হলে হয়তো এটি এত প্রকট হতে পারত না।’

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে মালয়েশিয়া, কানাডা, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে নানা কৌশলে অর্থপাচার করে সেখানে সেকেন্ড হোম গড়ে তুলছেন। এ ধরনের অভিযোগ ওঠার পরও জড়িত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- এমন উদাহরণ বিরল। টিআইবি বলেছে, ‘দেশে অনেক সময়ই অর্থপাচারের ঘটনা উন্মোচন হলেও জড়িত ব্যক্তিরা বিত্তশালী, রাজনৈতিক আনুকূল্য বা অন্যভাবে প্রভাবশালী হওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু অর্থপাচার নিয়ন্ত্রণ করা গেলে যেমন বাংলাদেশকে আইএমএফের দ্বারস্থ হতে হতো না, তেমনি দেশে রিজার্ভ সঙ্কটও তৈরি হতো না।’

মোট কথা, দেশ থেকে প্রতি বছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচারের পথ বন্ধ করতে হলে আগে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমদানি-রফতানি, হুন্ডি, ইপিজেড এসব খাতে নজরদারি বাড়াতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, করবে কে, সরিষায় যখন ভূত!

লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট
Mizan12bd@yahoo.com

 


আরো সংবাদ



premium cement
শিগগিরই মাগুরায় রেললাইন চালু হবে : রেলমন্ত্রী সংসদ ভবনের সামনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগকর্মী নিহত জুজুৎসুর সম্পাদকের যৌন নিপীড়নের তথ্য দিলো র্যা ব পানচাষীদের পরিশ্রমের ফসল জিআই স্বীকৃতি : প্রতিমন্ত্রী বগুড়ায় অবৈধ মজুদকৃত ১ লাখ ডিম উদ্ধার তথ্যের জন্য সাংবাদিকরা শতবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যেতে পারেন : ডেপুটি গভর্নর ইসরাইলি হামলায় ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত আফগানিস্তানে গুলিতে ৩ স্প্যানিশ ও ৩ আফগান নিহত বিভিন্ন অপরাধে সাতজনের ফাঁসি কার্যকর করল ইরান কিরগিস্তানে আতঙ্কে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা ‘প্রাচীন হিব্রুদের সাথে ইসরাইলি ইহুদিদের জেনেটিক সংযোগ নেই’

সকল