১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


দেশকে অন্ধকারে ফেলে ভবিষ্যতের সন্ধানে দেশ ছাড়ছে তরুণরা

দেশকে অন্ধকারে ফেলে ভবিষ্যতের সন্ধানে দেশ ছাড়ছে তরুণরা - নয়া দিগন্ত

আন্তর্জাতিক অভিবাসনের মূল চালিকাশক্তি হলো উন্নয়নের বৈষম্য। দারিদ্র্য, সীমিত চাকরির সুযোগ, ক্রমবর্ধমান খাদ্য ও জ্বালানির দাম এবং তার পাশাপাশি বিদেশে উচ্চ মজুরি ও উন্নত ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা অভিবাসনের জন্য উদ্বুদ্ধ করে। প্রাথমিকভাবে অভিবাসনসংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মধ্যে হয়ে থাকত, যেমন- মধ্য এশিয়া থেকে রাশিয়ান ফেডারেশন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে অস্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে মাইগ্রেশন করে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে তেলসমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে অস্থায়ী শ্রম অভিবাসনও তাৎপর্যপূর্ণ, যেখানে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও ফিলিপাইন প্রধান দেশ। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের লাখ লাখ তরুণ-তরুণীও বিদেশে পড়াশোনা করতেও পাড়ি জমায় এবং একসময় স্থায়ী হয়ে যায়। বর্তমানে অবশ্য ধারা পরিবর্তিত হয়ে উন্নত বিশ্ব যেমন- ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছে যাদের বেশির ভাগ তরুণ।

যুদ্ধ ও সঙ্ঘাতের কারণে অনেক দেশের অনেক লোক বাধ্য হয়েই দেশ ছেড়ে পালায়। ২০২২ সালে ইউএনএইচসিআরের আদেশের অধীনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে ৩১.৬ মিলিয়ন উদ্বাস্তু ছিল। এ ছাড়াও পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক মানুষ স্থানান্তরিত হয় তাদের ভবিষ্যৎ বাস ও জীবিকা ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা থেকে। অভিবাসনের জন্য অনেক সময় অভিবাসীদের অনেক মূল্যও দিতে হয়। যেমন- ২০১৪ সাল থেকে, প্রতি বছর, অভিবাসন রুটে বিশ্বব্যাপী আনুমানিক চার হাজার মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যাচ্ছে পথেই। অবৈধ পথে যারা ইউরোপ, আমেরিকায় গিয়ে সেখানে আশ্রয় প্রার্থনা করছেন তাদের অনেককেই রাজনৈতিক কারণে হয়রানি, ধর্মীয় বা মতপ্রকাশের কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অনেক নারী-পুরুষ পাচারকারী ও চোরাকারবারিদের শিকার হয়; জোরপূর্বক শ্রম ও যৌন শোষণের শিকার হতে হয়। গন্তব্য দেশগুলোতে সামাজিক পরিষেবা ও সুরক্ষার পাশাপাশি সুযোগ বা অধিকার অত্যন্ত সীমিত থাকে।

অভিবাসীরা সাধারণত তাদের মূল দেশে তাদের পরিবারকে সহায়তার জন্য রেমিট্যান্স পাঠায় যা অভিবাসীদের বাবা-মা ও সন্তানদের উন্নত আবাসন, পুষ্টি ও শিক্ষা অর্জনে ভূমিকা রেখেছে। একটা সময় অনেক কম শিক্ষিত ও কারিগরি দক্ষতাবিহীন প্রবাসী কর্মীদের বড় গন্তব্য ছিল মধ্যপ্রাচ্য। এখনো মধ্যপ্রাচ্যই বাংলাদেশীদের জন্য সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। এই শ্রমিকরা প্রবাসে যান কর্মের সন্ধানে এবং এরা প্রবাস থেকে অর্থ আয় করে দেশে পরিবারের জন্য রেমিট্যান্স পাঠান। একটা সময় পরে এরা দেশে ফিরে সঞ্চিত অর্থ দিয়ে দেশে নিজের কর্মের ব্যবস্থা করেন। আজকের আলোচনা প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে নয়; বরং বর্তমান সময়ের তরুণ অভিবাসীদের নিয়ে।

অভিবাসী হিসেবে মেধাবী তরুণরা
একসময় দেশের বাইরে স্থায়ী হওয়ার স্বপ্নটি একমাত্র উচ্চবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্তের মধ্যে কেন্দ্রীভূত ছিল। এখন তা মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে। অন্ধকার ও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশঙ্কায়, এমনকি জীবনের ভয়েও রাজনৈতিকভাবে ভিন্নমতের অনুসারীদের বাবা-মা তাদের সন্তানদের বাইরে পাঠানোর জন্য সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করছেন। তরুণদের মধ্যে মেধা, যোগ্যতা ও অর্থনৈতিকভাবে সক্ষমরা বিশ্বের নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছেন। অনেকে আবার দরিদ্র মা-বাবার শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ ছাড়ছেন শুধু রুটি-রুজির নিশ্চয়তার জন্য। এভাবে তরুণরা যে যেভাবে পারছেন দেশ ছাড়ছেন। এই তরুণদের বেশির ভাগই প্রবাসে স্থায়ী হওয়ার চিন্তা নিয়ে যাচ্ছেন। তরুণদের আড্ডায় এখন আলোচনার বিষয় বিদেশ যাওয়া। প্রতি বছরই এমন বিদেশমুখী তরুণের সংখ্যা বাড়ছে। উচ্চশিক্ষা শেষ করেও চাকরি না পাওয়া, যোগ্যতা অনুযায়ী কাজের অভাব, আর্থিক নিরাপত্তাহীনতা, সুচিকিৎসা নিয়ে অনিশ্চয়তা, দুর্নীতি ছাড়া সেবা না পাওয়া, ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা, দূষিত পরিবেশ, সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগের মতো বিষয়গুলো তাদের দেশ ছাড়তে উৎসাহিত করছে।

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ২০১৮ সালের জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার ৮২ শতাংশ তরুণ দেশ ছেড়ে চলে যেতে চান। ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন প্রায় ২১ হাজার বাংলাদেশী। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলামের (ইইউএএ) ২০২৩ সালের তথ্য মতে, বিভিন্ন দেশ থেকে আশ্রয়প্রার্থীর মোট সংখ্যা পাঁচ লাখ ১৯ হাজার। এই সংখ্যা ২০২১ সালের তুলনায় ৫৩ শতাংশ বেশি ছিল। এ বছর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি।

ইউনেস্কোর ইনস্টিটিউট ফর স্ট্যাটিসটিক্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি বছর ৪০ হাজারের বেশি বাংলাদেশী শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। গত দুই বছরে কেবল যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৭ হাজার শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমিয়েছেন। এ ছাড়া ইউরোপ, মালয়েশিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রচুর শিক্ষার্থী যাচ্ছেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে দেখা গেছে, ২০২১ সালে প্রতি হাজারে তিনজন দেশ ছেড়ে বিদেশে অভিবাসী হয়েছিলেন। গত বছর অভিবাসী হয়েছে হাজারে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। মানসম্মত ও সহজলভ্য চিকিৎসা, ক্যারিয়ার এগিয়ে নেয়া, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি সুন্দর ও উন্নত জীবন দেয়ার আশাও এর পেছনে জড়িত।

বিদেশ পাড়ি জমানোর এসব তরুণের অনেকেই বেকারত্বের আশঙ্কায় দেশ ছাড়ছেন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা প্রকাশিত ‘দ্য গ্লোবাল এমপ্লয়মেন্ট ট্রেন্ডস ফর ইয়ুথ-২০২২’ এর প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার ১০ দশমিক ৬ শতাংশ। লন্ডনের ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্যমতে, বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জন স্নাতক ডিগ্রিধারীর মধ্যে ৪৭ জনই বেকার। অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ ও সানেমের জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে যুবগোষ্ঠীর বড় অংশ আর্থসামাজিক ঝুঁকির মধ্যে আছে। বৈষম্য আর গুণগত শিক্ষার অভাবে ৭৮ শতাংশ তরুণ মনে করেন, পড়াশোনা করে তারা চাকরি পাবেন না। গরিব শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এ হার ৯০ শতাংশ। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জরিপ মতে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলো থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের ৬৬ শতাংশই বেকার থাকছেন। তুলনামূলক মেধাবী শিক্ষার্থীরাই বিদেশে গিয়ে বেশির ভাগ সেখানে গিয়ে পড়াশোনা ছেড়ে নেমে পড়েন উপার্জনে। কারণ বিদেশে যেতে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হয় এবং বিদেশে বাসস্থান ও খাওয়ার খরচও নিজেকে বহন করতে হয়।

শুধু শিক্ষা বা চাকরির জন্য নয়; বরং অনেকে উন্নত জীবনের আশায়ও যাচ্ছেন বিদেশে। দেশে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, প্রশাসনের কর্মকর্তা, প্রকৌশলী, শিল্পী এমনকি যারা দেশে চাকরি করে সম্মানজনক জীবিকা উপার্জন করতে পারতেন তারাও যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকও উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ গিয়ে সেখানে স্থায়ী হচ্ছেন। শিক্ষাজীবন শেষে থেকে যাচ্ছেন ওই দেশেই। নিয়ে যাচ্ছেন পরিবার। দেশে শুধু পেশার নিশ্চয়তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে চান না। তারা ব্যক্তিগত ও সামাজিক নিরাপত্তা, নাগরিক অধিকার, পরিবেশসহ আরো অনেক বিষয়ে নিশ্চয়তা চান। এসব বিষয়ে ঘাটতি অনুভব করার কারণেই তারা দেশ ছেড়ে বিদেশে নিজেদের ঠিকানা খুঁজে নেন।

অভিবাসন মূলত ব্যক্তি, পরিবার ও দেশ সবার জন্য ভালো। সে রেমিট্যান্স পাঠাবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, প্রবাসীর সংখ্যা দিনে দিনে বাড়লেও সেই তুলনায় রেমিট্যান্স বাড়ছে না। তাহলে প্রশ্ন হলো, এভাবে সব মেধাবীই যদি বিদেশে পাড়ি দেয়, তাহলে দেশের কী হবে? দেশটাকে কারা এগিয়ে নেবে? কারা দেশের উন্নয়নে নেতৃত্ব দেবে? দেশকে এগিয়ে নিতে উদ্ভাবন দরকার। ভবিষ্যতে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে যে সক্ষমতা দরকার হবে তা অর্জন হবে কিভাবে? এ ছাড়া জনগোষ্ঠীর বিদেশগামিতার সাথে শুধু অর্থ আয়েরই যে সংশ্লেষ আছে তা কিন্তু নয়; বরং জনগোষ্ঠীর একটি অংশ বাইরে যাচ্ছে সাথে দেশের অর্থ নিয়ে। উচ্চশিক্ষার জন্য যাওয়া শিক্ষার্থীদের অনেকে দেশের অর্থে তাদের শিক্ষার খরচ জোগান। আবার অনেক ব্যবসায়ী, শিল্পপতি দেশের টাকা পাচার করে বিদেশে তাদের সেকেন্ড হোম গড়ছেন। শিল্প, ব্যবসার পরিধি বাড়াচ্ছেন। এরকম বিভিন্নভাবে দেশের টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে।

আলোচনা থেকে বুঝা যায়, তথাকথিত উন্নয়নের রোলমডেল খ্যাত এই দেশটি থেকে তরুণ প্রজন্ম বৈধ-অবৈধ যেকোনোভাবে দেশ ছাড়ছে কেবলই উন্নত জীবনের মোহে নয়; বরং দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি তাদের বাধ্য করছে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে। দেশের স্বার্থে এই মেধাবীদের ফিরতে হবে, ফেরাতে হবে। এ জন্য তারা ফিরলে যেন যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ ও সম্মান পান সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের ডিগ্রি নিয়ে অনেক দেশে গিয়ে ভালো চাকরি মেলে না। জনশক্তি রফতানির জন্য সরকারের একটি পরিকল্পনা থাকা দরকার। যারা দেশে কাজ পাচ্ছেন না তারা বিদেশে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় গিয়ে কাজ করে দেশে অর্থ পাঠাবেন। কিন্তু বর্তমানে তরুণ জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ বিদেশমুখী হচ্ছে কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই। এর কারণ তরুণদের আমরা এমন কোনো শিক্ষা দিতে পারছি না, যে শিক্ষা গ্রহণ শেষে সে চাকরি পাবে অথবা চাকরি না করেও নিজে কিছু করতে পারে। এই অনিশ্চয়তার কারণে অভিভাবকরা যেকোনোভাবে সন্তানকে বিদেশে পাঠাতে ব্যস্ত থাকেন। তাদের মধ্যে এমন ধারণা রয়েছে যে, বিদেশে অন্তত জীবন চালানোর একটা কাজ মিলবে।

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ করা, পড়াশুনার পরিবেশ তৈরি করা, সঠিক মানের শিক্ষা দেয়া ও সঠিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার নিশ্চয়তা দেয়া গেলে দেশ থেকে শিক্ষার্থী পড়াশুনার জন্য বিদেশে যেত না। কষ্টার্জিত বিদেশী অর্থও সাশ্রয় হতো। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সরকার বলছে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। আসলেই এমন অবস্থা তৈরি হলে তরুণরা দলে দলে দেশ ছাড়ার কথা নয়। সুতরাং দেশের তরুণ প্রজন্মকে দেশের মাটিতে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করে তাদের বিদেশ যাওয়ার স্রোত কমাতে হবে। তাদের মেধা, বুদ্ধি আর কর্মশক্তি দেশের জন্য কাজে লাগাতে হবে। উন্নয়ন অগ্রগতির চাকায় গতি আরো বাড়াতে হবে। এখনই তরুণদের নিয়ে পরিকল্পনা না সাজালে ভবিষ্যৎ হয়তো দেশের জন্য আরো খারাপ কোনো বার্তা বয়ে নিয়ে আসতে পারে। দেশের চেয়েও ভয়ঙ্কর হলো এই তরুণরা দেশে তাদের বৃদ্ধ বাবা-মাকে অসহায় রেখে চলে যান। আরো ভয়ঙ্কর হলো, এই বিদেশ পাড়ি দেয়া তরুণরা একসময় তার নিজস্ব ধর্মচর্চা ভুলে যান; অনেক প্রবাসীদের এক-দুই প্রজন্ম পরের সন্তানরা নিজেদের ধর্মই ভুলে যান। সুতরাং তরুণদের রক্ষায় বলিষ্ঠ পদক্ষেপ জরুরি প্রয়োজন।

লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট
Mizan12bd@yahoo.com

 


আরো সংবাদ



premium cement
ধনবাড়ীতে পুলিশ পিটিয়ে হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়েছে আসামি যে কারণে ডিবিতে গিয়েছিলেন মাওলানা মামুনুল হক? ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডুসেন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ সাফল্য পেয়েছে : আইজিপি বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় রেলস্টেশন নির্মাণ করা হবে : রেলপথমন্ত্রী বাংলাদেশের আসছেন ‘ওসমান বে’ ধর্ষণ মামলা থেকে মুক্তি মেলার পর বিশ্বকাপে খেলার অনুমতি পেলেন লামিচানে গাজীপুরে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু নারায়ণগঞ্জে ৫৭টি চোরাই মোবাইলসহ ৭ জন গ্রেফতার আশুলিয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন ফায়ার সার্ভিস ও আবহাওয়া অধিদফতরকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ

সকল