১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


বিশ্ব বাঘ দিবসের প্রাক্কালে

লেখক ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। - ছবি : নয়া দিগন্ত

সুন্দরবনে সংবাদটি পৌঁছায় ভোর পৌনে ৫টায়। বিশ্বের সেরা গহিন গরান বনের বন্যপ্রাণী সমাজের সংগঠন ‘বাঘ, বানর, হরিণ ও কুমির’ (বাবাহকু) পর্ষদের প্রেসিডিয়াম প্রধান সুন্দর মিয়া তখন কচিখালীতে বর্ষাকালীন অবকাশ যাপন করছিলেন। বাবাহকুর গৃহপালিত সংবাদ সংস্থা ‘উড়ো বিভ্রান্তকর সংশয় ও সন্দেহ’ (উবিসস) বাতাস বার্তার মাধ্যমে জানতে পারে যে লোকালয়ের কেন্দ্রস্থলে (খোদ রাজধানী ঢাকার পান্থপথের মাথায়, সার্ক ফোয়ারার সন্নিকটে এবং সোনারগাঁ হোটেলের অদূরে) বাঘের চাপায় সেখানকার এক ভ্যানচালক মারা গেছেন কিছুক্ষণ আগে। উবিসস সংবাদটি সরাসরি সুন্দর মিয়াকে না জানিয়ে প্রথমে তথ্য ও প্রচার প্রধান হরিণা হাপানকে জানান। কয়েক সপ্তাহে সুন্দরবন ও সুন্দরবনের বনেদি বাসিন্দা বাঘ সম্প্রদায় সম্পর্কে বেশ কিছু বিব্রতকর খবরাখবর এদিক-সেদিক থেকে আসছিল। ‘এক বাঘে মেলে কোটি টাকা’জাতীয় পিলে চমকানো খবর চাউরের পর থেকে বনের বাঘ সম্প্রদায়ের বর্ষীয়ান নেতা সুন্দর মিয়া বেশ বিচলিত। বিধান ব্যবস্থা ‘বনে জঙ্গলে’র মুখ্য মাতরর শিয়ালেন্দু মামাইয়াকে একটি জরুরি অধিবেশন ডাকার কথাও ভাবতে বলেছেন তিনি। আগামীকাল শিয়ালেন্দু-সুন্দর মিয়ার মধ্যে বৈঠকের কথা রয়েছে।

কয়েক বছর ধরে ২৯ জুলাই ঘটা করে ‘বিশ্ব বাঘ দিবস’ উদযাপন করা হচ্ছে। সম্প্রতি সুন্দরবনের বাঘের শুমারও হয়েছে। বংশ গৌরবে গরিয়ান, ব্রিটিশ সরকার প্রদত্ত ‘রয়্যাল’ খেতাবপ্রাপ্ত বনের রাজা বাঘ সম্প্রদায়ের এ অকাল অপসৃয়মান পরিস্থিতিতে বনের অন্যান্য সম্প্রদায়ের প্রাণীকুল বেশ বিচলিত, উৎকণ্ঠিত। ইতোমধ্যে লোকালয়ের এক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ‘দস্যুতার পাশাপাশি এখন বাঘ শিকারে ঝুঁকছে সুন্দরবনের বনদস্যুরা। বাঘের চামড়া ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাচার লাভজনক হওয়ায় এ কাজে জড়িয়ে পড়ছে তারা। তাদের প্রধান টার্গেট এখন বাঘ শিকার। বনদস্যুরা হরিণ বা অন্য কোনো বন্যপ্রাণী শিকার করে তার পেটে এক ধরনের বিদেশী চেতনানাশক ওষুধ রেখে দেয়। এসব প্রাণী খেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে তারা গলায় ফাঁস দিয়ে বাঘ হত্যা করে চামড়া ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাচার করে থাকে। এক বাঘে মিলে যায় কোটি টাকা। বিভিন্ন সময় গ্রেফতার হওয়া বনদস্যুদের স্বীকারোক্তিতে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।’

বাঘ সম্প্রদায়ের জন্য এই দুঃসংবাদে উদ্বেগাকুল বানর গ্রুপের নেতা বানারান বানারা গত পরশু দুবলার চরে এক ঘরোয়া বৈঠকে বলেছেন, ‘এভাবে বাদার একটি প্রধান পক্ষ নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার কর্মসূচি কোনো অবস্থাতে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কর্তারা না থাকলে বনে আমরা তো ছাই, কিচ্ছুই থাকবেনা নে।’ পাখি সম্প্রদায়ের মুখপাত্র পঙ্খী পুখারা কটকায় এক বিবৃতিতে বলেছেন,’ আমাদের দেখাশোনা যত্ন আর্তির কোনো খবর নেই অথচ ক্ষতি করবার বেলায় ষোলোআনা- তাইলে আমরা বাঁচি কেমনে! তবে বলে দিই আমরা না বাঁচলি এই বন বাঁচবে না’। পুখারার এই বিবৃতির মধ্যে প্রতিশোধ গ্রহণের কোনো প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত ছিল কি না এ নিয়ে ‘হরিণ ঘাটা ইনস্টিটিউট অব ওয়াইল্ড লাইফ’ একটি গবেষণা চালায়। সেখানকার মুখ্য প্রদায়ক শালিখা শাখালান পাথরঘাটা গবেষণা কেন্দ্র থেকে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘পুখারার বিবৃতিতে প্রতিশোধ নেয়া কিংবা প্রতিরোধ গড়ে তোলার সম্ভাবনা তিনি উড়িয়ে দিচ্ছেন না’। তবে পুখারা ঠিক যে সন্ধ্যায় এ মন্তব্য করেন সে রাতের শেষভাগে ঢাকার পান্থপথে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। লোকালয়ে সুন্দর মিয়াদের প্রতি সম্মান ও সমিহ এখনো বেশ উচ্চ মাত্রায়। সে কারণে প্রায় দুই টন মালমশলা দিয়ে যত শক্ত করা যায় এমনভাবে দুটি (মা ও মেয়ে) বাঘ মূর্তি বানান হয়, আজকাল একে ভাস্কর্য বলার ফ্যাশন চালু হয়েছে। এটি বসানো হয় সেবার ক্রিকেটে সাফল্যের ধারা আরো আবেগঘন ও তেজোদীপ্ত করতে। লোকালয়ের নগর কর্তৃপক্ষের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ভেবেছিলেন বাঘটিকে যত ভারী করা যাবে তত এর ভিত্তি ও ভাবমূর্তি শক্ত হবে। কিন্তু এটা উপলব্ধির আওতায় আসেনি যে, শুধু ওজনে বা প্রচার বাড়লে আবেগ বাড়ে না বা কারো সম্মান ভারী বা স্থায়ী হয় না। সুন্দর মিয়াদের সার্বিক উন্নয়ন, তাদের নিরাপদ সাফল্য কামনার ক্ষেত্রে বরাবর অমনযোগিতা ও উদাসীনতা বহাল রেখে শুধু প্রখ্যাত স্থানে মূর্তি বানিয়ে বিখ্যাতকরণের উদ্যোগ নেয়া কিংবা বিশেষ দিবসের অনুষ্ঠানে ‘সুন্দরবনের সব প্রজাতিকে সুরক্ষার সবরকম ব্যবস্থা নেয়া হবে’ মর্মে ঘোষণা যে প্রকান্তরে নিজেদের আত্মপ্রচারে, প্রসঙ্গ পলায়নী প্রবণতায় এবং আত্মগ্লানি ঘুচাবার এক ধরনের ফাঁকা আয়োজন তা তো বোঝাই যায়। উদ্দেশ্য বিধেয়ের এ বিপুল বৈপরীত্য চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে নিষ্প্রাণ বাঘটিকে প্রাণঘাতকে পরিণত হতে হয়েছে বলে মনে করেন সুন্দরবনের অন্যতম চিন্তা চৌবাচ্চা ‘চতুরঙ্গ চত্বর’।

ভ্যানচালক বাঘটিকেই ঝড় বাদল থেকে নিরাপদ আশ্রয়দাতা ভেবেছিল- ভেবেছিল প্রাকৃতিক এই দুর্যোগকালে এখানে ঘুমানোটা বেশ নিরপত্তাপ্রদ হবে। কিন্তু নির্মাণত্রুটি ও ভঙ্গুর ব্যবস্থাপনার বদৌলতে নিষ্প্রাণ বাঘটি বৃষ্টি ও প্রতিকূলতা মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে ভ্যানচালকের নিরাপদ ভাবনায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতি নিরাপত্তাবোধ ও নিরাপদ ভাবনায় ছন্দ পতনে এ করুণ পরিণতি। সুন্দর মিয়া মর্মস্পর্শী এ ঘটনার কথা শুনে আরো ভেঙে পড়েন। তার স্বজাতির এ ধরনের হন্তাকারক পরিণতি তাদের সুনামে, সুখ্যাতিকে, শৌর্য বীর্যের পরিচয়কে নানাভাবে বিনষ্ট করতে এ ঘটনা ঘটেছে। এর পিছনে নিকট কিংবা দূরের কোনো ষড়যন্ত্রের সুতা টানা হয়েছে কি না তা অনুসন্ধানে সুন্দর মিয়া সর্বাগ্রে তার গোপন বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন। সুন্দর মিয়া নিরাপত্তা উপদেষ্টা উখারান উখাইয়াকে সাথে সাথে তলব করেন এবং এ বিষয়ে একটা তাৎক্ষণিক সুরতহাল রিপোর্ট প্রত্যাশা করেন। উখারান উখাইয়া সুন্দর মিয়াকে জানিয়েছেন, বাঘের ভাস্কর্যটি যেখানে তার কাছে কিছু দিন আগে একটি নির্মীয়মান ভবন ধসে বিরাট গর্তের সৃষ্টি হয়। ভাস্কর্যটি ভেঙে পড়ার পিছনে ওই ঘটনার যোগসূত্র থাকতে পারে। যা হোক এ ব্যাপারে বাবাহকুর তরফ থেকে একটি উপযুক্ত প্রতিক্রিয়াপত্র জারি হওয়ার আবশ্যকতা অনুভব করে প্রধান বিবৃতি মোসাবিদাকারককে মালমসলা তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়।

বেলা দেড়টায় কচিখালিতে সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে সুন্দর মিয়া যে বিবৃতি দেন বাবাহকুর নিজস্ব বার্তা সংস্থা উবিসস তা সরাসরি সম্প্রচার করে। বিবৃতি পাঠের পর সুন্দর মিয়া স্পর্শকাতর এ বিষয়ে কোনো মৌখিক মন্তব্য কিংবা প্রশ্নের জবাব দেবেন না বলে বাবাহকুর তথ্য ও প্রচার বিভাগ থেকে আগেই জানানো হয়। বিবৃতিতে সুন্দর মিয়া বলেন, ‘আজ ভোরে লোকালয়ের কেন্দ্রস্থলে আমাদের স্বজাতির একটি নির্মিত ভাস্কর্য ভেঙে পড়ায় তার চাপে আমাদের একজন প্রিয় প্রতিবেশী মারা গেছেন; এ সংবাদে আমি ব্যক্তিগতভাবে, বাবাহকু পর্ষদ এবং এর সব সাধারণ সদস্য মর্মাহত। আমরা এতে গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করছি। নিঃসন্দেহে ঘটনাটি দুঃখজনক। আমরা এর সুবিচারের স্বার্থে সঠিক ও কার্যকর তদন্তের আহ্বান জানাই। এ সুবাদে আমরা স্পষ্ট করতে চাই, ভাস্কর্যটি আমাদের একটি প্রতীকী প্রকাশ ছিল এবং সেটি নির্মাণকালে আমাদের কোনো অনুমতি, পরামর্শ এমনকি কোনো কারিগরি সহায়তাও চাওয়া হয়নি। আমাদের সম্মানিত করা হয়েছে, বিবেচনায় আমরা এর কোনো প্রতিবাদও জানাইনি। তবে ইদানীং আমাদের ভিন্ন অবয়বে অপব্যবহার বা অনাকাক্সিক্ষত প্রদর্শনহেতু ভাস্কর্য আকারে নির্মাণে আমরা ইতোপূর্বে প্রতিবাদ জানিয়েছি। যেমন খুলনার জাহানাবাদে একটি ফটকে আমাদের ভারী গেট উঁচুতে ধরে দাঁড়ানো দেখানো হয়েছে, যেমন সাতক্ষীরায় সুন্দরবনসংলগ্ন একটি পর্যটন মোটেলের প্রবেশপথে আমাদের দু’জন প্রতিনিধিকে ঝগড়ারত অবস্থায় মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে।

মর্মস্পর্শী এ ঘটনার সূত্র ধরে আমরা আমাদের আরেকটি উপলব্ধির কথা সবিনয়ে জানাতে চাই- ভাবনায়, পরিকল্পনায়, সিদ্ধান্তে এবং নির্মাণে- বাস্তবায়নে যারা অন্যায়-অনিয়ম-ভুল করেন কিংবা অস্বচ্ছতায় আকীর্ণ হন তার খেসারত ভোগের বেলায় কিন্তু তাদের পাওয়া যায় না, ধরা যায় না। নিরীহ সাধারণরাই সব সময় প্রতিফল ভোগ করেন। আবার সর্বসাধারণের ত্যাগ শিকারে যে সাফল্য অর্জিত হয় তার কৃতিত্বের দাবিদার সাজেন অসাধারণরা, এমনকি সাফল্যের ভাগবাটোয়ারাতেও থাকেন তারা।’ সুন্দরবন সুরক্ষাকল্পে প্রাকৃতিক পরিবেশ বজায় রাখার প্রতি যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতির উপান্তে সুন্দর মিয়া কামনা করেন এ দুর্ঘটনা থেকে সবার আত্মোপলব্ধি জাগ্রত হোক, শাণিত হোক।’

সম্প্রতি সংবাদকর্মীরা জানতে পারেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গোলাখালির গাঙ পার হয়ে আসা মাঝ বয়সী এক বাঘ বড় বিপদে পড়ে। লোকালয় কেমন তা দেখতে গিয়েছিল বাঘটি। যেমন সুন্দরবন কেমন তা দেখতে আসে পর্যটকরা। কিন্তু দু’জনের প্রতি দুই রকম আচরণ। গোলাখালির বাঘটি তরফদারদের বড় হেঁসেলের চালে আশ্রয় নিয়েছে। ইতোমধ্যে সে বুঝেছে এভাবে হুট করে এ এলাকায় আসা তার ঠিক হয়নি। আসার সময় সুন্দরবনের বাবাহক পর্ষদের আন্তঃনিরাপত্তাবিষয়ক বিভাগে জানিয়ে আসা উচিত ছিল। তারা অন্তত বলতে পারত, লোকালয়ে এ সময়ে ভ্রমণ করা নিরাপদ হবে কি না। কেননা সেখানকার সবাই নিজেরাই নিজেদের শত্রু এখন, সুন্দরবনের পাখ-পাখির প্রতি তো বটেই। সুতরাং মাঝবয়সী বাঘকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে কোণঠাসা যে করবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তরফদারের ঘরের চালে উঠে মাঝ বয়সী বাঘটি এসব কথা ভাবছে; তখন বাঘটির প্রতি স্থানীয় এক শিক্ষার্থী তার মমতায় বাঘটিকে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হবে কিনা এ নিয়ে তার উদ্বেগ প্রকাশ করে মেসেজ পাঠায় স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। গোলাখালির মন্টু মেম্বর বাঘটিকে সসম্মানে বনে ফেরার ব্যবস্থা করেন। বন বিভাগের কর্তা ব্যক্তিরা সবাইকে বোঝাতে সক্ষম হন, বাঘ আমাদের শত্রু নয়, বন্ধু। সবার প্রতি বন্ধুত্ব কারো প্রতি শত্রুতা নয়- এ নীতিতে সবার চলা উচিত। গ্রামে উগ্রপন্থী অনেক লোক থাকে তারা মাঝবয়সী বাঘটির প্রতি সদয় নাও হতে পারত।

এ দিকে সুবিদখালী থেকে সুন্দরবন বাঁচাও কর্মসূচির (সুবাক) সচিবালয় থেকে সংবাদকর্মীদের জানানো হয়েছে যে, সুদূর ডেনমার্কে অবস্থানরত সুন্দরবনের সুহৃদ মহোদয়ের কাছে গতকাল ৫ সদস্যবিশিষ্ট পক্ষী গ্রুপের একটি প্রতিনিধি দল সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য বাঁচানো সম্পর্কে যে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে, সেখানে বাঘ সম্প্রদায়ের সাম্প্রতিক দুর্দশার কথা তুলে ধরা হয়েছে। আসন্ন বিশ্ব বাঘ দিবসের সম্মেলনে যেন সুন্দরবনের রয়াল বেঙ্গল টাইগারদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক ষড়যন্ত্র বা দুরভিসন্ধি সম্পর্কে সোচ্চার বক্তব্য রাখা হয়।

লেখক : সরকারের সাবেক সচিব
এনবিআরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান


আরো সংবাদ



premium cement
শিগগিরই মাগুরায় রেললাইন চালু হবে : রেলমন্ত্রী সংসদ ভবনের সামনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগকর্মী নিহত জুজুৎসুর সম্পাদকের যৌন নিপীড়নের তথ্য দিলো র্যা ব পানচাষীদের পরিশ্রমের ফসল জিআই স্বীকৃতি : প্রতিমন্ত্রী বগুড়ায় অবৈধ মজুদকৃত ১ লাখ ডিম উদ্ধার তথ্যের জন্য সাংবাদিকরা শতবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যেতে পারেন : ডেপুটি গভর্নর ইসরাইলি হামলায় ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত আফগানিস্তানে গুলিতে ৩ স্প্যানিশ ও ৩ আফগান নিহত বিভিন্ন অপরাধে সাতজনের ফাঁসি কার্যকর করল ইরান কিরগিস্তানে আতঙ্কে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা ‘প্রাচীন হিব্রুদের সাথে ইসরাইলি ইহুদিদের জেনেটিক সংযোগ নেই’

সকল