১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


ইমরান খান বনাম পাকিস্তানের এস্টাবলিশমেন্ট

ইমরান খান - ছবি : সংগৃহীত

প্রতিটি রাষ্ট্রের একটা সেনাবাহিনী দরকার। কিন্তু পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর জন্য দরকার একটা রাষ্ট্র। তারা শাসকদের ক্ষমতায় বসায় এবং নামায়। দেশটিকে তারা বানিয়েছে জমিদারি সম্পত্তি। তারাই দেশটির প্রকৃত শাসকগোষ্ঠী। দেশটির অর্থনীতি, মিডিয়া, অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতির আসল নির্ধারক তারাই। মাথা ও হৃদয়ের চেয়ে পেশি ব্যবহারে বেশি অভ্যস্ত এই বাহিনীর আসল চেহারা দেখেছে বাংলাদেশ, ১৯৭১ সালে। বাহিনীটি এখন পাকিস্তানের প্রতিবাদী জনগণের বিরুদ্ধে নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ। নারী, শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা যখন তাদের আক্রোশের শিকার হচ্ছেন, তখন সে দেশের জনগণ স্মরণ করছেন বাংলাদেশকে। তারা বুঝতে পারছেন বাহিনীটি কী নিষ্ঠুরতা নিয়ে আপতিত হয়েছিল এ দেশে!

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকে দেশটি সেনাবাহিনীর ছায়ার ভেতর থেকে বের হতে পারেনি। ১৯৭১ এর পর বাহিনীটি রাষ্ট্র ও সরকার নিয়ে খেলা কিছু সময় সীমিত করেছিল। তারপর আবারো নির্বিঘ্নে চালিয়ে গেছে উর্দি-রাজনীতি। প্রশ্ন ও আপত্তি আসেনি কখনো তেমন। এখন কিন্তু আসছে। এখন সেনাবাহিনীর জমিদারি জনগণের প্রশ্নের কবলে পড়ছে। একে প্রণোদিত ও সংগঠিত করছেন ইমরান খান।

ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ইমরান সেনাবাহিনীর সহায়তায় ক্ষমতায় এসেছিলেন ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট। যখন তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন, মনে হচ্ছিল সব কিছু যেন তার পক্ষেই কাজ করছে। দীর্ঘ সংগ্রাম করে তিনি পরস্পর বিরোধী দুই পরিবারের বাইরে নতুন সরকার গঠনে সক্ষম হন। কিন্তু পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি তার সরকার। ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল (৯ এপ্রিল দিবাগত রাতে) অনাস্থা প্রস্তাবে পতন হয় তার সরকারের। ৩ বছর ৭ মাস ২৩ দিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইমরান। পাকিস্তানের প্রতিটি সরকারকে মেয়াদ পূরণের আগেই ক্ষমতা ত্যাগ করতে হয়েছে। সেনাবাহিনীর ইচ্ছায় সব কিছু চলবে, এ অবস্থার অবসান চাচ্ছিলেন ইমরান। সরকার যেন নিজের পায়ে দাঁড়ায় এবং রাজনীতি যেন নিজেই নিজের পথ নির্ধারণ করে, যেখানে চালকের ভূমিকায় থাকবে জনগণ। তার সে ইচ্ছা এস্টাবলিশমেন্টের চোখে অপরাধ!

একটি শক্তিশালী নেতৃত্ব ও প্রশাসন তাদের জন্য অস্বস্তির ব্যাপার। কিন্তু ইমরান খান সরকার সব ক্ষেত্রে ভালো করছিলেন তা নয়। জেনারেল বাজওয়া এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফায়েজ হামিদের মধ্যকার বিরোধের মাঝখানে তিনি পড়ে যান। তিনি ফায়েজের অনুকূলে অবস্থান নেন এবং শেষ অবধি হাল ছাড়তে বাধ্য হন। বিতর্কিত পররাষ্ট্রনীতিও ইমরানকে বেকায়দায় ফেলে। যদিও সেনাবাহিনীর সম্মতিতেই পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছিল। রুশ সেনা যে দিন ইউক্রেনের সীমান্ত অতিক্রম করে সে দিন মস্কো সফর করেন ইমরান খান। পশ্চিমা কর্তারা চেয়েছিলেন ইমরান যেন পুতিনের নিন্দা জানান। কিন্তু তিনি তা করেননি। অপর দিকে, জেনারেল বাজওয়া বিবৃতি দেন, রাশিয়াকে এই হামলা অবশ্যই অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এর পাশাপাশি বাজওয়া চেয়েছিলেন ভারতের সাথে সম্পর্কের পুনরুদ্ধার। ইমরান খান এই উদ্যোগ প্রতিহত করেন। তিনি তালেবানদের অব্যাহতভাবে সহায়তা করেন, যা বাজওয়ার পছন্দ হয়নি কখনো। পছন্দ হয়নি পশ্চিমাদেরও।

পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি নিয়োগ দেন উসমান বুজদারের মতো একজন অপরিণত নেতাকে। ব্যাপক সমালোচনা সত্ত্বেও উসমান বুজদারকে তিনি সরিয়ে দিতে রাজি হননি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে একজন কাদিয়ানী অর্থনীতিবিদকে নিয়োগের ঘোষণা দিয়ে সরে এলেও প্রভাবশালী জমিয়ত এফ এর নেতা মাওলানা ফজলুর রহমান প্রধানত এই ইস্যুর ওপর দাঁড়িয়ে ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে ইমরানের বিরুদ্ধে সংগঠিত করেন। যদিও পিপলস পার্টির সরকারের অংশীদার হিসেবে পাঞ্জাব গভর্নর সালমান তাইসির কাদিয়ানীকে কবুল করেছিলেন মাওলানা। পাকিস্তানের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার জাফরুল্লাহ খান ছিলেন কাদিয়ানী। তারা সে দেশে একটি অমুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। হিন্দু বা খ্রিষ্টানদের মতো রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে তাদের অংশগ্রহণ সে দেশে সাংবিধানিক ও নিয়মিত ঘটনা। ইমরান খান মূলত ঐক্য করেছিলেন জমিয়তের অপর অংশের নেতা মাওলানা সামি উল-হক এর সাথে। তিনি শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্বের জেরে শহীদ হন। ইমরান খানের শাসনামলে ঘটনাটি ঘটে। সামিউল হকের পুত্র হামিদুল হক হক্কানী এই হত্যার জন্য ইমরান সরকারকে কোনোভাবেই দায়ী মনে করেন না। তিনি এখন দলটির প্রধান। এখনো সমর্থন করে যাচ্ছেন পিটিআইকে।

ইমরানকে সবচেয়ে বড় আঘাত করে আইন প্রণেতাদের দলত্যাগ। যাকে প্রণোদিত ও সংগঠিত করেছিল সেনাবাহিনী।

বিচিত্রমুখী সঙ্কট ও সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ইমরান খানের সরকার পাকিস্তানের উন্নয়নে রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ঋণজর্জরিত পাকিস্তানের অর্থনীতি উদ্ধারের চেষ্টায় সক্রিয় ছিল সেই সরকার। ২২ মাসে বিদেশী ঋণ পরিশোধ করা হয় ৫০০০ বিলিয়ন টাকা। গোটা শাসনামলে স্টেট ব্যাংক থেকে কোনো ধার করেনি পিটিআই সরকার। কার্যকর কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানকে ১.২ বিলিয়ন টাকা জরিমানা থেকে রক্ষা করে, চলতি হিসাবের ঘাটতি ২২ মাসের মধ্যে ২০ বিলিয়ন টাকা থেকে ৩ বিলিয়ন টাকা কমে আসে, স্টেট ব্যাংকের রিজার্ভ ৯.৭ বিলিয়ন টাকা থেকে ১২.৩ বিলিয়ন টাকায় উন্নীত হয়।

২০১৯-২০২০ আর্থিক বছরের প্রথম ৯ মাসে ২.১ বিলিয়ন ডলারের সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ (FDI) সুরক্ষিত করে দেশটি, যা ছিল প্রায় এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ, ইমরান খানের সরকার বাণিজ্য ঘাটতি $ ৩৭ বিলিয়ন থেকে ২১ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনে, ব্যবসার সহজীকরণ হয় এবং এ খাতে আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ে পাকিস্তানের উল্লম্ফন ঘটে। অর্থনীতির পুনর্গঠনের পথে সচেষ্ট সরকার পড়ে যায় কোভিড-১৯ এর কবলে। কোভিড-১৯ আসার আগে কর সংগ্রহ ১৭% হারে বেড়েছিল। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্ষমতা দেখায় পিটিআই সরকার। এ ক্ষেত্রে তার দক্ষতা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়। করোনা পরিস্থিতিতে জনগণের কিছু খরচ বহন করার প্রয়াসে সরকার ছোট ব্যবসার জন্য ইউটিলিটি বিল প্রদান করে। বিশ্বজুড়ে প্রতি মিলিয়নে কোভিডে আক্রান্ত হন ১২৭৫ জন, কিন্তু পাকিস্তানে সেই সংখ্যা ছিল ৯০১, প্রতি মিলিয়নে বৈশ্বিক মৃত্যুর হার ছিল ৬৮.৩, কিন্তু পাকিস্তানে সেই হার ছিল ১৮%। করোনা পরিস্থিতিতে ইমরান খান ঋণমুক্তির জন্য আওয়াজ তুলেছিলেন। তাকে উপহাস করা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পরে, পাকিস্তান ২.৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ ত্রাণ নিশ্চিত করে। পিটিআই সরকার জনবান্ধব কিছু প্রকল্পও হাতে নেয়। Sehat Sahulat প্রোগ্রাম হলো এর অন্যতম। এটি মূলত একটি ফ্ল্যাগশিপ সামাজিক স্বাস্থ্য বীমা উদ্যোগ, যা ২০১৯ সালে দেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য চালু করেন ইমরান। আরেকটি উদ্যোগ হলো এহসাস ইমার্জেন্সি ক্যাশ প্রোগ্রাম। এর মাধ্যমে ১৫০ বিলিয়ন + টাকা দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। সিহহত সহুলত কার্ড বা সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা কার্ড দেয়া হয় আজাদ কাশ্মিরের ১.২ মিলিয়ন পরিবারকে। এর মাধ্যমে পরিবারপ্রতি বার্ষিক লক্ষাধিক টাকা সমমূল্যের বীমা কভারেজ পাবে। বন্যা পরিস্থিতিতে গণসুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য শত শত আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি করা হয়, বেশ কিছু ড্যাম প্রকল্পের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা হয়। বিশ্ব উষ্ণায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় খাইবার পাখতুনখোয়া সরকার পরিবেশ সুরক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৫০,০০০ হেক্টর বন এবং ক্ষয়প্রাপ্ত জমি পুনরুদ্ধার করে। সাশ্রয়ী অর্থনীতির জন্য ইমরান খানের সরকার প্রশংসিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর বাড়িকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে ২ বিলিয়ন টাকা বরাদ্দ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মীদের সংখ্যা ৫৫২ থেকে কমিয়ে ২৯৮ এ আনা হয়, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালনা ব্যয় ৫০৯ মিলিয়ন থেকে কমিয়ে ৩৩৯ মিলিয়নে নামানো হয়। যার ফলে ব্যয় হ্রাস হয় ৩৩%। ইমরান খান নিজের বাড়ির খরচ নিজেই বহন করতেন। যদিও তোষাখানা মামলায় সরকারি উপহার স্বল্পমূল্যে কিনে বেশি মূল্যে বিক্রি করার অভিযোগের সাথে তাকে লড়তে হচ্ছে এখন।

কূটনীতির প্রশ্নে তাকে ব্যর্থ বলে চিত্রিত করা হলেও তার কূটনীতি বিদেশের কারাগারে বন্দী হাজার হাজার দরিদ্র পাকিস্তানিকে পাকিস্তানে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়। তিনি বিশ্বমঞ্চে কাশ্মির ইস্যুকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলেন নতুন করে। হিন্দুত্ববাদের ধ্বংসাত্মক স্বরূপ উন্মোচন করেন প্রথমবার। বহুকেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থায় মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের সুবিধাজনক অবস্থানের সন্ধানে প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও মাহাথির মুহাম্মদের সাথে তার মৈত্রী আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে আলোচিত হচ্ছিল।

ইমরান খানের সরকারকে এক কথায় সফল বা ব্যর্থ বলার সুযোগ নেই। তবে বিধ্বস্ত অর্থনীতি নিয়ে সীমাবদ্ধতার প্রাচীরে আবদ্ধ তার সরকার ডুবতে থাকা পাকিস্তানের অর্থনীতি ও রাজনীতিতে পুনর্গঠন ও জনকল্যাণের একটি উদ্যম সঞ্চারিত করতে সচেষ্ট ছিল।

কিন্তু দিন শেষে পাকিস্তানে সরকার টিকিয়ে রাখতে না পারার ধারাবাহিকতা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খানকে পরিণত হতে দেয়নি। এখন সেনাবাহিনীর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। পিডিএম সরকারকে তিনি আমেরিকার ষড়যন্ত্রের ফসল হিসেবে অভিযুক্ত করে আসছেন প্রথম থেকেই। দেশের সেনাবাহিনী, অপরাপর রাজনৈতিক জোট এবং আমেরিকার সমালোচনায় সমান সোচ্চার ইমরান খান কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ পথই বেছে নিয়েছেন। তিনি এখন ১৫০ এর অধিক মামলায় অভিযুক্ত। ৯ মে আলোচিত আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। লাহোরে ক্যান্টনমেন্টের বিভিন্ন ভবন হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। পাঞ্জাবে ১৪টি সরকারি স্থাপনা বা ভবন এবং পুলিশের ২১টি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়। সেনাবাহিনী ঘটনাগুলো ঘটতে দিয়েছে, প্রতিরোধ করেনি। ইমরান খানের অভিযোগ, এটি সেনাবাহিনীর পাতানো খেলা। যার ওপর ভর করে পিটিআইর নেতাদের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে, হাজার হাজার নেতাকর্মী আছেন কারাগারে, সিভিলিয়ানদের সেনা আইনে বিচারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে, নেতাদের প্রচণ্ড চাপ ও প্রলোভন দিয়ে দল ত্যাগে এবং নতুন দল গঠনে প্রস্তুত করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর ভাষা ও কর্মকাণ্ডে পরিষ্কার, ইমরান খানকে চূড়ান্তভাবে শেষ করার জেদ থেকে তারা সরে আসবে না। কিন্তু কী হতে পারে ইমরানের পরিণতি?

পাকিস্তানের জনপ্রিয় আরেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো তার নিযুক্ত সেনাপ্রধান মুহাম্মদ জিয়াউল হক কর্তৃক একটি সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন এবং ১৯৭৯ সালে একজন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মুহাম্মদ আহমদকে হত্যার অনুমোদন দেয়ার অভিযোগে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বিতর্কিত বিচারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হন। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ইমরান খানেরও একই পরিণতির ক্ষেত্র তৈরি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এক আইনজীবী হত্যার মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। সামরিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি হলে ইমরানের মৃত্যুর ঝুঁকি প্রবল।

কিন্তু বাস্তবতা হলো পাকিস্তানের পরিস্থিতি বদলেছে। জনগণ সেনাবাহিনী ও এস্টাবলিশমেন্টের প্রতি বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ। তারা বিপুল ও প্রবলভাবে ইমরান খানকে সমর্থন করেন। তাদের উত্তাল ও সুদূরপ্রসারী প্রতিক্রিয়া দেশের ভবিষ্যৎ কোন দিকে নেবে, তার ভয়াবহতা বিবেচনা না করে ইমরান খানকে শেষ করে দেয়ার অবস্থানে নেই পাকিস্তানের সরকার বা সেনাবাহিনী।

লেখক : কবি, গবেষক
71.alhafij@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement

সকল