০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ব্রিকস নিয়ে আশাবাদের জায়গা কতটা

ব্রিকস নিয়ে আশাবাদের জায়গা কতটা। - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ আগামী আগস্টে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসে যোগ দেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এককভাবে কারো ওপর যেন নির্ভরশীল থাকতে না হয়, সেজন্যেই ব্রিকসে যোগ দেয়া।

ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীনের অর্থনৈতিক জোট ব্রিক-এর প্রথম আনুষ্ঠানিক সম্মেলন হয় ২০০৯ সালে। পরের বছর দক্ষিণ আফ্রিকার অন্তর্ভুক্তিতে জোটের নাম হয় ব্রিকস। এই জোটের উদ্যোগে ২০১৫ সালের ২১ জুলাই যাত্রা করে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-এনডিবি। ২০২১ সালে এনডিবিতে যোগ দেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশই এই ব্যাংকের সদস্যপদ পাওয়া প্রথম দেশ যেটি ব্রিকস জোটের সদস্য নয়। এবার মূল জোটে যোগ দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী অক্টোবরে এনডিবি মার্কিন ডলার ও ইউরোর মতো একটি বিকল্প মুদ্রা চালু করবে। তখন বাংলাদেশও এর সুবিধা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্রিকস দেশগুলোর অবস্থান অনেক জোরালো। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ বাস করে এই পাঁচ দেশে। বৈশ্বিক জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) সাড়ে ৩১ শতাংশ ব্রিকসের দখলে। যেখানে বিশ্বের সাত ধনী দেশের ফোরাম জি-সেভেনের জিডিপি ৩০ শতাংশ।

ব্রিকসে যোগ দিলে বাংলাদেশ কী ধরনের সুবিধা পাবে বা সম্ভাবনার দুয়ার কতটা উন্মোচিত হবে সে বিষয়ে গত দুই তিন সপ্তাহে দেশে অনেক আলোচনা হচ্ছে। নিরপেক্ষ বিশ্লেষকদের কেউই খুব বেশি আশাবাদের কথা শোনাননি। কারণ, এই মুহূর্তে দেশের অর্থনীতির যে নাজুক অবস্থা তাতে একটি জোটে যোগ দেয়ার যে আর্থিক সংশ্লিষ্টতা সেটুকু পূরণ করাই কঠিন হতে পারে। আবার যেকোনো অর্থনীতির জন্য বিদেশী ঋণ গ্রহণের একটি সীমারেখাও আছে। সেই সীমা বাংলাদেশ এরই মধ্যে ছুঁয়ে ফেলেছে বলে মনে করেন অনেকে। ফলে নতুন ঋণ গ্রহণ হবে ঝুঁকিপূর্ণ। আগামী এক বছরের মধ্যে বিদ্যমান ঋণের অর্থ পরিশোধের পরিমাণ এমন পর্যায়ে পৌঁছবে যা কাগুজে নোট ছেপে দৈনন্দিন ব্যয় মেটানো আমাদের অর্থনীতির জন্য দুঃসাধ্য হয়ে উঠতে পারে। বাংলাদেশের সীমিত আর্থিক সংস্থান ব্রিকস সদস্যপদের সাথে সম্পর্কিত আর্থিক প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা কঠিন করে তুলতে পারে। সদস্যপদ বকেয়া, যৌথ উদ্যোগে অবদান এবং উন্নয়ন প্রকল্পে অংশগ্রহণ দেশের আর্থিক অবস্থাকে চাপে ফেলতে পারে এবং ঋণের বোঝা বাড়াতে পারে। ফলে এনডিবি থেকে উপকৃত হবার সুযোগ কতটা থাকবে সন্দেহ।

ব্রিকস জোটে যোগ দিলে বাংলাদেশ বিরাট এক রফতানি বাজার পেয়ে যাবে এমনও না। অনেকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, ব্রিকস বাংলাদেশের পণ্য রফতানির বাজার হবে না, মূলত আমদানির উৎস হয়েই থাকবে। ব্রিকসের দেশগুলো থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের আমদানি ৩৫ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর রফতানি মাত্র ৩ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির প্রায় চার ভাগের এক ভাগমাত্র। ইউরোপের সাত ভাগের এক ভাগ। ২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) বাংলাদেশ শুধু পোশাক রফতানি করেছে ২২ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের।

এ ছাড়া বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই), যাবতীয় আর্থিক কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা, উন্নয়ন এবং অবকাঠামো ঋণের বেশির ভাগ এবং সর্বোপরি রফতানি ও রেমিট্যান্সের প্রায় সব উৎসই ব্রিকসবহির্ভূত দেশে। বাংলাদেশ মূলত ব্রিকসের দুই দেশ-ভারত ও চীনের বড় রফতানি বাজার। তাই ব্রিকসে যোগ দিয়ে ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার আশা নিষ্ফল হতে পারে।

যা হোক, ব্রিকসে যোগ দেয়া যে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দিগন্ত প্রসারিত করে তোলার চেষ্টা, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা মোটেও সত্য নয়। বরং এটি হলো বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে যে ঠাণ্ডাযুদ্ধ চলছে তারই অনিবার্য প্রতিক্রিয়া। বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা যে চাপ দিয়ে যাচ্ছে এবং একের পর এক স্যাংশন ও ভিসানীতির মতো অস্ত্র শানিয়ে যাচ্ছে তার কোপ ঠেকানোর ঢাল হিসাবেই বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনরা ব্রিকসকে বেছে নিয়েছেন বলা যায়। ব্রিকস একটি অর্থনৈতিক জোট হলেও এটি পশ্চিমা বা মার্কিনবিরোধী জোট বলে চিহ্নিত। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই প্রতিদ্ব›দ্বী রাশিয়া ও চীন এর সক্রিয় সদস্য। চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধ শুধু নয় বরং বৈশ্বিক শক্তি হয়ে ওঠা ও ধরে রাখার প্রতিযোগিতা আছে। আবার বাংলাদেশেও বিদ্যমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির বাস্তবতায় উভয়ের দ্বন্দ্বের আছে ভিন্ন মাত্রা। নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি চালু করেছে। অন্য দিকে, চীন প্রকাশ্যে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক আশা-আকাক্সক্ষার সম্পূর্ণ বিপরীতে গিয়ে কর্তৃত্ববাদী ক্ষমতাসীনদের সমর্থনকারী প্রতিবেশী ভারতও ব্রিকসের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।

আমরা এই নিবন্ধে বাংলাদেশের ব্রিকসে যোগ দেয়ার সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আর বেশি কিছু বলার দরকার মনে করছি না। বরং খোদ ব্রিকস জোটটির সম্ভাবনা নিয়েই আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যেসব সংশয় সন্দেহের ধোঁয়াশা বিদ্যমান সে বিষয়ে সামান্য আলোকপাত করতে চাই।

ব্রিকসকে অনেক বিশ্লেষক কর্তৃত্ববাদীদের জোট বলে অভিহিত করেন। চীন, রাশিয়া তো আছেই। সাংবিধানিকভাবে গণতান্ত্রিক ভারত যে, কতটা কর্তৃত্বপরায়ণ ও আধিপত্যবাদী (এবং সাম্প্রদায়িক) তা বাংলাদেশের জনগণের অজ্ঞাত নয়। বলা হয়েছে, ব্রিকস নিয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় এই যে, এটি একনায়ক, কর্তৃত্ববাদী শাসন কিংবা হাইব্রিড সরকারগুলোর বলয় হয়ে উঠছে। ব্রিকস বলয়ে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সংকোচন এবং দুর্নীতিতে সরকারি উৎসাহের অভিযোগ প্রকট। ফলে ব্রিকসের কাজে কতটা আন্তর্জাতিক মান নিয়ন্ত্রণ করা হবে, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি থাকবে, সংশয় থেকে যাচ্ছে।

ব্রিকসে চীনের খবরদারি নিয়ে ভারত যেমন অসহিষ্ণু, তেমনই ব্রাজিলের বর্তমান জনপ্রিয় নেতা লুলা ডি সিলভার সাথেও রয়েছে দেশটির অনেকটা শীতল সম্পর্ক। চীনের বিষয়টি প্রথমে দেখে নিতে পারি। একটি দীর্ঘ উদ্ধৃতি দিচ্ছি।

‘ভারতের নীতিনির্ধারকরা প্রাথমিকভাবে ভেবেছিলেন, ব্রিকস এমন একটা মঞ্চ হবে, যেখানে ভারত তার আন্তর্জাতিক প্রভাব বাড়ানোর সুযোগ পাবে। উন্নয়নশীল বিশ্বের নেতা হিসেবে ঐতিহ্যগত যে ভূমিকা ভারত পালন করে আসছিল, সেটা ব্রিকসেও রক্ষা করা সম্ভব হবে। কিন্তু ব্রিকসকে যখন রাশিয়া ও চীনের স্বার্থে ভূরাজনৈতিক জোট করার এবং সম্প্রসারণের নামে ‘সমমনা’ দেশ ইরানকে যুক্ত প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে, তখন সেটা ভারতের জন্য মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়।... ব্রিকসকে আরো চীনকেন্দ্রিক করা হোক, সেটা ভারত চায় না। ভারতের উদ্বেগের আরেকটি বিষয় হলো, চীনের পৃষ্ঠপোষকতায় পাকিস্তান ব্রিকসে যুক্ত হওয়ার পরবর্তী দলে রয়েছে কিনা। ব্রিকসের যে গতিমুখ, তাতে জোট থেকে ভারতের বের হয়ে আসা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। ভারত বেরিয়ে এলে ব্রিকস আর টেকসই থাকবে না।’ কথাগুলো লিখেছেন এক ভারতীয় বিশ্লেষক শশী থারুর, যিনি জাতিসঙ্ঘে আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

ইরান ব্রিকসের সদস্য হতে যাচ্ছে। অদূরভবিষ্যতে পাকিস্তানও হয়তো আসবে। তখন জোটের মধ্যে নতুন মেরুকরণ শুরু হবে। ভারত অস্বস্তি বোধ করছে এরই মধ্যে। এক পাকিস্তানকে সহ্য করতে না পেরে ভারত যেমন সম্ভাবনাময় আঞ্চলিক জোট সার্কের অপমৃত্যুর কারণ হয়েছে, ব্রিকসের ক্ষেত্রেও তেমন ঘটা অসম্ভব না।

এরপর আসুন, ব্রাজিলের নতুন নেতৃত্বের সাথে কেন শীতল সম্পর্ক সে বিষয়ে কিছুটা জেনে নিই। লুলা ডি সিলভার আগে ব্রাজিলে ক্ষমতায় ছিলেন স্বৈরাচারী মানসিকতার প্রেসিডেন্ট বলসোনারো। লোকটি কেবল স্বৈরাচারী না, তিনি ছিলেন চরম অভব্য এক মানুষ। একটু উদাহরণ দেবার লোভ সংবরণ করতে পারছি না।

এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা একসাথে হচ্ছেন এমন খবরের প্রতিক্রিয়ায় তখনকার উপ-প্রধানমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম বলেছিলেন, ‘দুই মহিলার মিলনে কিছুই উৎপন্ন হয় না।’ কথাটা অশালীন বলে ব্যাপক সমালোচনা হয়। কিন্তু বলসোনারোর মুখের কুৎসিত ভাষা শুনলে ভিরমি খাবেন বাংলাদেশের রুচিবান মানুষ। একবার পার্লামেন্টে বিতর্কের সময় একজন বিরোধী নেত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে ধর্ষণ করব না; কারণ আপনি এটির যোগ্য নন।’ ওই নেত্রী তেমন সুশ্রী ছিলেন না। এমনই অসংখ্য ইতরসুলভ নোংরা কথাবার্তা তিনি হরদম বলতেন।

এই হীন রুচির মানুষটি ভারতের নেতা নরেন্দ্র মোদির এতটাই পছন্দের ছিলেন যে, ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে তাকেই প্রধান অতিথি করে আনেন। দেশটির একজন সাবেক কূটনীতিক এম কে ভদ্রকুমার এক নিবন্ধে লেখেন, প্রকৃতপক্ষে, এটি একটি রহস্য হয়েই থেকে গেছে যে, কোন্ বিশেষ গুণটি ভারতীয় শাসকগোষ্ঠীকে প্রাক্তন সামরিক অফিসার বলসোনারোর প্রতি আকৃষ্ট করেছিল। হতে পারে, তার ‘শক্তমানব’ ইমেজ এবং ফ্যাসিবাদী আদর্শ।

যা হোক, একটি উন্নয়নশীল দেশের সবচেয়ে ক্যারিশম্যাটিক রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে স্বীকৃত লুলা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন। গত জানুয়ারিতে তার অভিষেক অনুষ্ঠানে সারা পৃথিবীর সরকারপ্রধান, ভাইস-প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিশেষ দূত এবং আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল ভারত। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর সেদিন সাইপ্রাসে ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগ করছিলেন। এম কে ভদ্রকুমার বলেছেন, একজন গণতান্ত্রিক নেতার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন এভাবে উপেক্ষা করার কারণ বোধগম্য নয়।

লুলার প্রত্যাবর্তন এমন এক সন্ধিক্ষণে ঘটল যখন ব্রিকস অন্তর্মুখী থেকে ক্রমশ বহির্মুখী হতে যাচ্ছে। আর এর বৃহত্তর বৈশ্বিক উচ্চাকাক্সক্ষা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বাস্তব পরিবর্তনের সম্ভাবনা বিশাল বিস্তৃত গ্লোবাল সাউথজুড়ে আশা জাগিয়েছে যখন ইউক্রেন ইস্যুতে পাশ্চাত্য এবং বাকিদের মধ্যে চলমান মেরুকরণ প্রবণতা আরো বেড়েছে এবং ব্রিকসের দেশগুলোর রাজনৈতিক শক্তিমত্তার প্রতিফলন ঘটেছে। দেশগুলো পাশ্চাত্যের রাশিয়াবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের স্বতন্ত্র অবস্থান অনেকটাই ধরে রাখতে পেরেছে।

এনডিবির বিকল্প মুদ্রা বিশ্বে মার্কিন ডলারের বা ইউরোর সত্যিকারের প্রতিদ্ব›দ্বী হয়ে উঠতে পারে কিনা সেটি দেখার অপেক্ষা। কিন্তু তার চেয়েও বড় যা দেখার সেটি হলো, সংশ্লিষ্ট কর্তৃত্ববাদী দেশগুলোর নেতৃত্বে পাশ্চাত্যের কথিত ‘নিয়মভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থার’ (rules-based order) বিপরীতে অপেক্ষাকৃত উত্তম একটি বিশ^ব্যবস্থার অবয়ব তুলে ধরতে পারে কিনা। আমরা বাংলাদেশীরা নিজেদের নেতা নিজের ভোটে বেছে নিতে চাই, মনের কথা খুলে বলার এবং মন্দ লোককে প্রাণভরে গালি দেবার স্বাধীনতা চাই, পরিপূর্ণ মানবাধিকার চাই এবং সর্বোপরি আল্লাহবিল্লাহ করার ও হালাল রুটিরুজির স্বাধীনতা চাই।

নতুন বিশ্বব্যবস্থার স্বরূপ যে যেভাবেই নির্ধারণ করুন না কেন, তাতে আমাদের ওইসব চাওয়া পূরণের অঙ্গীকার থাকতে হবে। হাসিনা, মোদি, শি’রা যে তথাকথিত গণতন্ত্রের চর্চা করেন, তাতে আমাদের আস্থা নেই, কোনো আগ্রহও নেই।

ই-মেল : mujta42@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement