০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মূল্যবোধের অবক্ষয় থেকে উত্তরণ

মূল্যবোধের অবক্ষয় থেকে উত্তরণ। - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ঘুষবাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, খাদ্যে ভেজাল, ব্যাংক লুট, অর্থ পাচার, বিদেশে বাড়ি নির্মাণ, মাদক ব্যবসা, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্বৃত্তপনা, সিন্ডিকেট করে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা দায়ের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার বললে কম হবে। বলতে গেলে অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সততা, সাধুতা, পরোপকার, জনকল্যাণ, মানবিকতা, নৈতিকতা, মূল্যবাধ, দেশসেবার মহৎ গুণাবলি ধীরে ধীরে লোপ পেতে চলেছে। যে যেখানে আছে সেখান থেকে যেনতেন প্রকারে টাকা বানানোর ধান্ধা, লুটেপুটে খাওয়ার মানসিকতা স্থায়ী রূপ নিচ্ছে। সুযোগ পেলেই অবৈধ অর্থ-সম্পদের পাহাড় গড়া এখন আর অপরাধ মনে করছে না কেউ। শুরু হয়েছে দুর্নীতির অসুস্থ প্রতিযোগিতা। ঘুষের নতুন নাম এখন ‘স্পিডমানি’। একটা স্বাধীন জাতির জন্য এটা কত বড় দুর্ভাগ্য ভাবতে গা শিউরে ওঠে। যারা জনগণের সম্পদ লুট করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তারা কোনোক্রমে দেশপ্রেমিক হতে পারে না। তারা দেশ ও জাতির শত্রু। তাদের অবশ্য একদিন আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

বাংলাদেশে দুর্নীতি একটি ক্রমাগত সমস্যা। বাংলাদেশ নিয়মিতভাবে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে নিজেকে খুঁজে পায়। সরকারি খাতগুলো দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত। ২০২২ সালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতি উপলব্ধি সূচকে, যা ১৮০টি দেশের পাবলিক সেক্টরকে ০ থেকে স্কোর করেছে (অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত)। স্কোর দ্বারা র‌্যাংকিং করা হলে, সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৭তম, যেখানে দেশটি সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি খাত হিসেবে বিবেচিত হয়। তুলনা করার জন্য, সেরা স্কোর ছিল ৯০ (র‌্যাংক ১), সবচেয়ে খারাপ স্কোর ছিল ১২ (র‌্যাংক করা হয়েছে ১৮০) এবং গড় স্কোর ছিল ৪৩। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ডক্টর ইফতেখারুজ্জামান ২০২০ সালে দুর্নীতি উপলব্ধি সূচক উপস্থাপন করে মন্তব্য করেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে, বাংলাদেশ স্কোর এবং র‌্যাংক উভয় ক্ষেত্রেই দ্বিতীয় সর্বনিম্ন- শুধুমাত্র আফগানিস্তানের চেয়ে ভালো।’ (Dhaka Tribune. 28 January 2021. Retrieved 30 November 2021.)

সমীক্ষায় মন্তব্য করা হয়েছে, বাংলাদেশের সরকারি অফিসগুলোতে দুর্নীতির ব্যাপকতা রয়েছে। অনেক কর্মকর্তা কোনো প্রকৃত কাজ না করেই বেতন পান। ঘুষ চাওয়া সাধারণ ব্যাপার। ২০১৩ সালের একটি সমীক্ষায়, ৭৬% উত্তরদাতা বলেছেন যে, দুর্নীতি সরকারি ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা এবং ৩৯% বলেছেন, তারা আগের ১২ মাসে ঘুষ দিয়েছেন। পুলিশ (৭২%), বিচার বিভাগ (৬৩%), ভূমি পরিষেবা (৪৪%) এবং রেজিস্ট্রি এবং পারমিট পরিষেবাগুলো (৩৩%) নিয়ে কাজ করার সময় ঘুষ বিশেষত সাধারণ ছিল। একটি পরিষেবা (৫৮%), পরিষেবার গতি বাড়ানোর জন্য (৩৩%), ধন্যবাদ জানাতে (৭%) বা সস্তা পরিষেবা পেতে (৩%) ঘুষ দেয়া হয়েছিল। এই সংখ্যাগুলো, যদিও অপ্রীতিকর, ২০১০ এর তুলনায় একটি উল্লেখযোগ্য উন্নতি চিহ্নিত করে (Transperancy International, Bangladesh Chapter)। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের জরিপে দেখা গেছে, গত বছর প্রায় ৭১ শতাংশ বাড়িকে সেবা পেতে দুর্নীতি মেনে নিতে হয়েছে, যা চার বছর আগের তুলনায় ৪.৩ শতাংশ বেশি।

দেশব্যাপী ১৫,৪৫৪টি বাড়িতে ‘পরিষেবা খাতে দুর্নীতি : জাতীয় গৃহস্থালি জরিপ ২০২১’ উন্মোচন করে, টিআইবি বলেছে, সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত সেবা খাত ছিল পুলিশ এবং এর বিভিন্ন শাখা, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ। গত বছর পরিবারগুলোকে আনুমানিক ১০,৮৩০ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়েছিল, যা দেশের জিডিপির ০.৪ শতাংশ এবং ২০২০-২০২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের ৫.৯ শতাংশ। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর সেবা পেতে প্রতিটি বাড়িতে গড়ে ৬ হাজার ৬৩৬ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। এ প্রতিবেদন দেশের সামগ্রিক দুর্নীতির একটি পার্শ্বচিত্র মাত্র। দুর্নীতি দমন কমিশন বা র‌্যাব বা পুলিশ অপরাধীদের ধরে ন্যায়বিচারের জন্য আদালতে সোপর্দ করে আসছে তার সংখ্যা অতিমাত্রায় ক্ষুদ্র। মূল অপরাধী হাজারগুণ বেশি। অনেক অপরাধী এত প্রভাবশালী যে, তাদের টিকিটি স্পর্শ করার ক্ষমতা ও সাধ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নেই।

নৈতিক মূল্যবোধগুলো একজন ব্যক্তিকে ঠিক এবং ভুলের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশিকা হিসাবে সহায়তা করে। দৈনন্দিন জীবনে সৎ, বিশ্বাসযোগ্য এবং ন্যায্যবিচার এবং সম্পর্ক তৈরি করার জন্য, একজনের নৈতিকতার সচেতনতা- সাথে আত্ম-সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ একটি প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া যা শৈশব থেকেই শুরু হয়ে থাকে। শিশু-কিশোরদের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ তাদের সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে, তাদের একটি শক্তিশালী চরিত্রের সাথে মিলিত একটি মনোরম ব্যক্তিত্ব গঠনে সহায়তা করে। শিশুর পরিবার ছাড়াও, স্কুলগুলো নৈতিক মূল্যবোধের ল্যান্ডস্কেপ নেভিগেট করার সময় তাদের নির্দেশনা, সমর্থন এবং তাদের হাত ধরে রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ছোটবেলা থেকেই, প্রতিটি শিশু বা শিক্ষার্থীর মধ্যে ভালো নৈতিক মূল্যবোধ এবং একটি ন্যায়পরায়ণ নৈতিক কম্পাস গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ। ভালো আচরণ করতে উৎসাহিত করা এবং কিভাবে সঠিক বিষয়টি বেছে নেয়া এবং ভুল বা অন্যায্যকে পরিহার করা যায় সেই শিক্ষা সন্তানদের দিতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, বিশ্ব এবং যে সমাজে বাস করি তাকে বাসযোগ্য করে তৈরি করার মূল চাবিকাঠি সততা ও নৈতিক মূল্যবোধের লালন ও চর্চা। বাচ্চাদের মধ্যে ইতিবাচক আচরণ জাগিয়ে তুলতে হবে।

সম্মান হলো একটি অত্যাবশ্যক নৈতিক মূল্য যা শিশুদের প্রথম থেকেই শিখতে হবে : একটি ছোট শিশুকে অবশ্যই তাদের বয়স, ধর্ম, জাতীয়তা, বিশ্বাস বা দৃষ্টিভঙ্গি নির্বিশেষে সব মানুষকে সম্মান করতে শিখতে হবে। আপনি অন্যদের প্রতি সম্মানের সাথে কথা বলে আপনার সন্তানের জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করতে পারেন। আপনার সন্তানকে দেখান যে আপনি তাদের বয়স, জাতি, ধর্ম, মর্যাদা ইত্যাদি নির্বিশেষে সবাইকে সম্মান করেন। আরেকটি বিষয় শিশুদের অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে যে আমাদের অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক এবং কখনো কখনো ক্ষমাহীন সমাজে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক লোক অন্যদের ওপর চাপ দেয়। এই কারণেই প্রতিটি ছাত্রকে ছোটবেলা থেকেই প্রতিটি ধর্ম, জাতি, সংস্কৃতি এবং জীবনধারাকে সম্মান করতে শেখানো উচিত। এটা অপরিহার্য যে শিশুদের শিখতে হবে যে জীবনে তাদের সাফল্য অন্যের ব্যর্থতার ওপর ভিত্তি করে করা উচিত নয়।

সততা হলো সর্বোত্তম নীতি, শিশুদের বইয়ে শেখানো হয়। তবে এর প্রকৃত তাৎপর্য উপলব্ধি করার জন্য তাদের অবশ্যই নিয়মিত এটি অনুশীলন করতে হবে। নিজের পিতা-মাতা, শিক্ষক এবং অন্যদের প্রতি সত্য হওয়া একটি শিশুকে ব্যক্তিত্ব হিসাবে সততা বিকাশে সহায়তা করবে। শিশুদের শেখাতে হবে যে তাদের ভুল লুকানোর জন্য মিথ্যা বলার চেয়ে সততার সাথে তাদের ভুল স্বীকার করা সর্বদা ভালো। একটি উপায় হলো তারা তাদের শিক্ষক এবং সহপাঠীদের সাথে সৎ থাকার মাধ্যমে কিভাবে শুরু করতে পারে তা প্রদর্শন করা। অসততা এবং প্রতারণা এগুলো যে খারাপ সেটি অবশ্যই স্কুলে শেখানো উচিত। এমনকি যদি অসততা স্বল্পমেয়াদে উপকারী হয় (যেমন, পরীক্ষায় অসৎ পথ অবলম্বন), এটি শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীর কাছে ধরা দেবে এবং এর ফলে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে। যেমন, প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারা। নৈতিক মূল্যবোধের মধ্যে রয়েছে : গ্রহণযোগ্যতা, দানশীলতা, সহানুভূতি, সহযোগিতা, সাহস নির্ভরযোগ্যতা অন্যদের অনুভূতি, অধিকার, ঐতিহ্য এবং ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধাশীল, সহমর্মিতা, সমতা, ন্যায়পরায়ণতা, বিশ্বস্ততা, ক্ষমা, উদারতা, আনন্দ দেয়া, ভালো খেলাধুলা, কৃতজ্ঞতা এসব বিষয়গুলো ক্লাসে শিশু ও কিশোরদের হাতে-কলমে শিক্ষা দেয়া কঠিন কাজ নয়। সততা, সাহস এবং সম্মানকে নৈতিক মূল্যবোধ হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে তবে শুধু তখনই যখন সেগুলো জীবনের সুরক্ষা বা সবার জন্য জীবন উন্নত করার উদ্দেশ্যে হয়।

এটা ঠিকই বলা হয় যে, পরিবারই যেকোনো শিশুর প্রথম শিক্ষালয়। এটি এমন একটি বাড়ি যেখানে শিশুটি পৃথিবীতে আগমন করে, যেখানে সে বসতে, হাঁটতে, কথা বলতে এবং আরও অনেক কিছু শিখে। বাড়ি হলো যেখানে শিশুর প্রাথমিক বিকাশ ঘটে, তার স্কুলে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট বয়স হওয়া পর্যন্ত। পিতা-মাতাই সন্তানের প্রথম শিক্ষক! আমরা আমাদের সন্তানের সাথে ভাগ করে নেয়া প্রতিদিনের মুহূর্তগুলোতে শেখার উপাদান রয়েছে। মা-বাবা সন্তানের বিকাশ এবং শেখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন! আমরা এবং আমাদের সন্তান একসাথে যা কিছু করি তা গুরুত্বপূর্ণ পাঠ শেখাবে যা তাদের বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে। তাদের একজন পিতা-মাতা হিসেবে, আমরা এই পৃথিবীতে নিয়ে এসেছি। এই জীবনের ভবিষ্যতের জন্য আমাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। শুধু শারীরিক নয়, সন্তানের সামাজিক এবং মানসিক অবস্থার প্রতিটি দিকই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে তারা ভালো নাগরিক হিসেবে বেড়ে উঠবে যারা সম্প্রদায়ে ইতিবাচকভাবে অবদান রাখে। পারিবারিক মূল্যবোধ বা নৈতিক মূল্যবোধের গুরুত্ব শেখা শুরু করতে হবে শিশুকাল থেকে, যা জীবনের পরবর্তী পর্যায়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাস্তবে, শিশুদের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় জীবনদক্ষতা শেখানো যৌবনে রূপান্তরকে অনেক বেশি স্বাভাবিক এবং মসৃণ করে তুলবে। অনাগত বছরগুলোতে আমরা আমাদের অভিজ্ঞতার ছাপ রেখে যেতে পারি যা সারা জীবন থাকবে। এ ধরনের শিক্ষণীয় মুহূর্তগুলো শিশুদের জন্য নৈতিক মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলার একটি চমৎকার সুযোগ।

সরকারের সর্বোচ্চ নির্বাহী কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা ও কর্মপ্রয়াস বেগবান থাকলে সমাজে নৈতিক মূল্যবোধ জেগে উঠবে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেসব দুর্বৃত্ত জেঁকে বসেছে তাদের লাগাম টেনে ধরতে হবে। কারা দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করেছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা কোনো ব্যাপার নয়। এজেন্সির মাধ্যমে তথ্য-উপাত্ত জোগাড় করা সহজ। লুটেরা ও ঘুষখোর যেই হোক আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে পারলে দেশের চেহারা পাল্টে যাবে। জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে উঠবে। সরকারি কর্মকর্তারা হবে জনগণের সেবক। এ ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। সন্ত্রাসী, অপরাধী ও দুর্নীতিবাজদের কোনো ছাড় দেয়া যাবে না। র্দ্নুীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে সুশাসন, জবাবদিহি, স্বচ্ছতা ও র্দ্নুীতি দমনের ব্যবস্থাগুলোকে ঢেলে সাজাতে হবে। সুশাসন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রভাবিত করে নিরাপত্তার হুমকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। এই কারণেই করপোরেট সংস্থার অপ্রয়োজনীয় খরচ হ্রাস করা যাবে। লাখো শহীদের নগদ রক্তে কেনা এ স্বাধীন দেশকে দুর্নীতিবাজদের অভয়ারণ্য হতে দেয়া যাবে না। অব্যাহত দুর্নীতির কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। সমাজের সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক, সচেতন ও বিবেকবান মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

লেখক : অধ্যাপক ও গবেষক
drkhalid09@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement