০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বিকল্প চিন্তা ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা

-

বাংলাদেশে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে যে সংসদ নির্বাচন হয়েছে, তা নিয়ে কম বিশ্লেষণ ও আলোচনা হয়নি। জীবনের এই গোধূলিলগ্নে এসে ভেবেছিলাম- এ নিয়ে কোনো কথা বলব না, এর সাথে নিজেকে জড়াব না। কিন্তু বিবেকেরও দংশন রয়েছে। আমার মনে হচ্ছে, আমাদের এই জাতি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। অনেক রাজনীতিবিদ আছেন, কিন্তু রাষ্ট্রনায়ক বা স্টেটসম্যান দেখা যাচ্ছে না। রাতের অন্ধকারে ব্যালটবাক্স ভরে ফেলা, তবুও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নীরব দর্শকের ভূমিকা পালনের যে অভিযোগ উঠেছে, ভোট ডাকাতির যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো এত দিনেও পুরোপুরি বিশ্বাস করে উঠতে পারিনি। এটা কী করে সম্ভব?

ছাত্রাবস্থায় সিরাজগঞ্জ কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলাম। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আমাকে কাগমারি সম্মেলনে নমিনেশনও দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যাইনি; কারণ ছাত্রদের এভাবে পুরোপুরি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া ঠিক মনে করিনি। আমার স্বপ্ন ছিল, লেখাপড়া করে উপযুক্ত হতে হবে। পড়ালেখা করেই রাজনীতিতে আসা উচিত। গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর আমার যে অনুভূতি হয়েছে তা হলো, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়তো ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। তাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। আমার মনে হয় না, তিনি ভোট ডাকাতি অনুমোদন করেছেন। তার উচিত হবে, এই অভিযোগ তদন্তের জন্য সর্বদলীয় বিশেষ কমিশন গঠন করা। যদি অভিযোগ সত্য প্রমাণ হয় তাহলে তাদের সংশোধন করার ব্যবস্থা নিতে হবে। আর এ জন্য আমাদের সরকারি প্রশাসনযন্ত্রে নৈতিক শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। আমি নিজে পুলিশ সার্ভিসে ট্রেনিং নিয়েছি। সেখানে কিন্তু নৈতিক মূল্যবোধের কথা বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘তুমি জনগণের সেবক। তুমি দেশের সেবা করছ। কোনো ব্যক্তি বা দলের সেবা করছ না।’

আমার মনে হয় জাতির এই সন্ধিক্ষণে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এক ঐতিহাসিক সুযোগ পেয়েছেন অমর হওয়ার জন্য। কত মন্ত্রী আসেন, কতজন চলেও যান। ইতিহাসের পাতায় তাদের নাম লেখা হয় না। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে নিজেকে তুলে ধরার সুযোগ এসেছে। তিনি নির্বাচনে সংঘটিত অনিয়মগুলোর তদন্ত করে অভিযোগগুলো নিষ্পত্তির মাধ্যমে ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকতে পারেন।

এ ব্যাপারে আমার সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব রয়েছে। প্রথম প্রস্তাবটি হলো, আমাদের সংবিধান জাতির সার্থেই পরিবর্তন করা দরকার। প্রধানমন্ত্রী এখন যে একচ্ছত্র প্রভাবের অধিকারী, তাতে শুধু কণ্ঠভোটেই সংবিধানের অনেক অনিয়ম দূর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। যেমন গণভোটের বিধান পুনঃস্থাপন করা। মূল ক্ষমতা হলো জনগণের। তাই গণভোট জনগণের একটি মৌলিক অধিকার। দ্বিতীয়ত, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ; অর্থাৎ নির্বাহী, বিচার বিভাগ ও পার্লামেন্টের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের সংবিধান কার্যত কর্তৃত্ববাদী হয়ে পড়েছে। এখানে যিনি-ই প্রধানমন্ত্রী হন না কেন তিনিই ‘কর্তৃত্ববাদী’ হয়ে পড়বেন। কারণ তার হাতেই সব ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। তবে এটা দুর্নীতির বিস্তার ঘটাতে পারে।

আমরা বিভিন্ন দেশের সংবিধানের দিকে তাকালে দেখব, সেখানে কিভাবে ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানেও এই ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো ইরানকে ‘শায়েস্তা’ করার জন্য পারস্য উপসাগরে বিমানবাহী রণতরী, বোমারু টাস্কফোর্স পাঠাতে পারেন। কিন্তু তিনি চাইলেই যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারবেন না। এ যুদ্ধের ব্যয় মেটানোর জন্য তাকে কংগ্রেসের অনুমোদন নিতে হবে। এখন কংগ্রেস তার বিরোধী ডেমোক্র্যাট দলের নিয়ন্ত্রণে। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তৈরি করবেন বলে ট্রাম্প অনেক হম্বিতম্বি করেও কিছু করতে পারেননি। কারণ কংগ্রেস তাকে সে জন্য অর্থ দেয়নি। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট চাইলেই কাউকে কোনো দেশে রাষ্ট্রদূত করতে পারেন না। এ জন্য সিনেটের অনুমোদন নিতে হয়। ট্রাম্প পারলে যেন উত্তর কোরিয়াকে উড়িয়ে দেবেন। তবে শেষ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সাথে তিনি হাত মিলিয়েছেন। এখন তিনি বলছেন, ‘আমি যুদ্ধ চাই না।’

তাই বাইরে থেকে দেখে মনে হচ্ছে, ট্রাম্প খুবই শক্তিশালী একজন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু তাদের সংবিধানে ক্ষমতার যে ভারসাম্য ও বণ্টন রয়েছে, ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ রয়েছে সে কারণেই তিনি কিছু করতে পারছেন না। এই ভারসাম্য কিন্তু আমাদের নেই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাব, যেন সংবিধানে এই ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর মাধ্যমে তিনি ইতিহাসে অমর হতে পারেন। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে কাউকে জিজ্ঞেস করলে সবার নাম বলতে পারবেন কি? মন্ত্রী, উপমন্ত্রীদের কথা না হয় বাদই দেয়া গেল। সবাই তো ইতিহাসের পাতায় অমর হবেন না। আব্রাহাম লিঙ্কন অমর হয়েছেন। নেলসন ম্যান্ডেলা কিংবা মার্টিন লুথার কিং অমর হয়ে আছেন। কেননা, তাদের নেতৃত্ব কোনো সময়ের বাঁধনে বাঁধা পড়েনি। শেখ হাসিনার সামনে সেই সুযোগ এসেছে। তিনি দেশকে ভালোবাসেন। তাই সংবিধানে আলোচ্য পরিবর্তনটি এনে তিনি ইতিহাসে নিজেকে অমর করে রাখবেন বলে আমরা আশা করছি।

আরেকটি বিষয় লক্ষ করেছি। তা হলো : রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো যেন ভেঙে পড়ছে। সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন, নির্বাচন কমিশন, জুডিশিয়ারি, জেলাপর্যায়ের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর দশা কার্যত করুণ। এগুলো মেরামতেরও যেন অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তাই একেবারে বিকল্পরূপে এ ব্যাপারে চিন্তা করা দরকার। রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর অবস্থা, তদারকির ব্যর্থতা, ঋণখেলাপিদের দৌরাত্ম্য, দুর্নীতির বিস্তার, জবাবদিহির অভাব- এগুলো পরিবর্তন করতে হলে রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন। শুধু আইন দিয়ে হবে না। প্রতিষ্ঠান তো রয়েছে। কিন্তু সেগুলো কাজ করছে না। এ দিকেও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ মনোযোগ দরকার।

প্রসঙ্গক্রমে, সড়কগুলোতে নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনার কথাও বলছি। এ দেশে সড়ক দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ২৫ বছর দেশে অবস্থান করছি। কিন্তু টাঙ্গাইল হয়ে সিরাজগঞ্জ যাওয়ার মহাসড়কের কোনো উন্নতি দেখিনি। আমার জীবদ্দশাতে এই সড়ক মেরামত করা হবে বলে আর আশা করি না। এটা হলো একটি দিক। এর মধ্যে দুর্নীতির কথা না হয় বাদই দিলাম। কারণ আমার কাছে এই মুহূর্তে এ ব্যাপারে কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে এসব বিষয় গভীরভাবে খতিয়ে দেখা দরকার।

আগেই বলেছি, কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ক্ষমতার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ অনেক বেশি দুর্নীতি ও জনদুর্ভোগের কারণ হতে পারে। তাই বিকেন্দ্রীকরণ করা প্রয়োজন। তা করা হলে দেশে সড়কের যে সমস্যা অনায়াসে তার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়। সবাইকে কেন ঢাকামুখী হতে হবে? সারা দেশে তিন-চারটি প্রদেশ করা যেতে পারে। ঢাকা হবে ফেডারেল রাজধানী। প্রদেশগুলোর হাতে অন্যান্য ক্ষমতা থাকবে। প্রধানমন্ত্রী যদি ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগ করতে পারেন, তাহলে প্রয়োজনে প্রদেশ প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না কেন? সিটি করপোরেশন দুই ভাগ করা হয়েছে, জনগণ যেন সহজে সেবা পায় সে কারণেই। কারণ এই শহর এত বড় হয়ে গেছে যে, এটা সামাল দেয়া একটি মাত্র সিটি করপোরেশনের পক্ষে সম্ভব নয়। এই ভাগ করার ফলে প্রশাসনের অনেক উন্নতি হয়েছে। তাহলে দেশকে কেন করা যাবে না- কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, বৈদেশিক মুদ্রা এসব কিছু বিষয় থাকবে। বাকি বিষয়গুলো প্রদেশের হাতে ছেড়ে দিলে কাউকে ঢাকায় আসতে হয় না।

এরপর যে বিষয়ে বলতে চাই, তা হলো রোহিঙ্গা সমস্যা। এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। ভারত, চীন, রাশিয়াÑ সবাই এই ইস্যুতে আমাদের সাথে ‘খেলছে’। সবাই আছে নিজ নিজ স্বার্থ নিয়ে। তাই জাতি এক হয়ে একই সুরে কথা বলতে হবে। সব গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দলের সাথেই জাতীয় সংলাপ করা উচিত। জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হলে বিদেশী শক্তিগুলো রোহিঙ্গা সমস্যাটি সমাধানে আরো বেশি গুরুত্ব দেবে। মওলানা ভাসানী ফারাক্কা ইস্যুতে ১৯৭৬ সালে লংমার্চ করেছিলেন, ওই বাঁধের বিরোধিতা করেছিলেন। এখন ভারত থেকেই বলা হচ্ছে, ওই বাঁধ তাদের নিজেদের জন্য ভালো হয়নি। এখন মিয়ানমার অভিমুখে সে ধরনের লংমার্চ অনুষ্ঠিত হলে গোটা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি হবে। সে জন্য জাতীয় ঐক্য চাই। এই ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রীকেই জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের দেশে অনেক রাজনীতিবিদ রয়েছেন। তারা শিক্ষিত, নিজ নিজ ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত। তাদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, তাদের মধ্যে কাউকে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে দেখা যায়। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের ক্ষেত্রেও একই কথা বলতে হয়।

আসলে এ ধরনের অনেক সমস্যার জন্য নেশন স্টেট ধারণা দায়ী বলে মনে হয়। তা ইউরোপের কাছ থেকে এসেছে। এই কনসেপ্টের কারণেই বিশ্বযুদ্ধ হয়েছে। আজ যত সঙ্ঘাত হচ্ছে তার পেছনে রয়েছে ‘নেশন স্টেট কনসেপ্ট’। আমরা যদি একে অপরকে, প্রতিবেশীকে ভালোবাসতে শিখি, তাহলে সমস্যা থাকে না। ভারতে যারা আছেন, তারা তো আমাদেরই মতো। একসময় আমরাতো একই দেশের বাসিন্দা ছিলাম। আমি মনে করি, আমাদের জাতিরাষ্ট্রের সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। মানুষকে সত্যিকারভাবে ভালোবাসতে শিখতে হবে। তা হলেই সমস্যাগুলোর সমাধান হওয়া সম্ভব। আমাদের ‘কমনওয়েলথ অব হিউম্যান কমিউনিটি’ গড়ে তুলতে হবে। এই উপমহাদেশে ভারত ও পাকিস্তান অস্ত্র প্রতিযোগিতার পেছনে যে অর্থ ব্যয় করছে তার চার ভাগের মাত্র একভাগ দারিদ্র্যবিমোচনে ব্যয় করা গেলে এই উপমহাদেশের মানুষ অনেক সুখী ও সমৃদ্ধ জীবনযাপন করতে পারত। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, উন্নতি হয়েছে। কিন্তু বৈষম্য কমেনি। তাই অনেকে বলছেন, আসলে ‘উন্নতি’ হয়েছে বৈষম্যের। দারিদ্র্য বেড়েছে। কিছু মানুষের হাতে সম্পদ সীমাবদ্ধ হচ্ছে।

এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য জাতীয় ঐক্য দরকার। তেমনি সঙ্কীর্ণ রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। মানুষকে ভালোবাসা না গেলে এসব সমস্যা দূর করা যাবে না। এখন যে সঙ্ঘাত ও সঙ্কট, এর মূল কারণÑ আমরা সবাই আত্মস্বার্থের পেছনে ছুটছি। আসলে রাজনীতির জন্য রাজনীতি এবং জনগণের জন্য রাজনীতি করার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। গত ৪৮ বছরে আমরা অনেক রাজনীতিবিদ পেয়েছি। কিন্তু রাজনীতির পথ দেখাতে পারেন, এমন রাজনীতিকের আবির্ভাব হয়নি। আমরা সব সময়ই ঔপনিবেশিক ধ্যানধারণার ওপর ভিত্তি করে দেশ চালাই; কিন্তু রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে সেই নেতৃত্ব প্রভাবিত না হওয়ায় সাধারণ মানুষের উপকার হয় না। তাই জাতি আজ বিশাল রাজনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন।

আসলে আমাদের দরিদ্রতা ধ্যানধারণার, সম্পদের নয়। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে উপনিবেশমুখী, শহরকেন্দ্রিক ও দারিদ্র্যবিমুখী যে উন্নয়নপ্রক্রিয়া চলছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে চাই উন্নয়ন চিন্তাধারায় বৈপ্লবিক বা আমূল পরিবর্তন। প্রচলিত ধ্যানধারণা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড উন্নয়নশীল বিশ্বেও দারিদ্র্যবিমোচন ও সামাজিক সমস্যা দূর করতে পারেনি। তাই নতুন করে এ বিষয়ে ভাবার সময় এসেছে। প্রচলিত ধ্যানধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের পক্ষে একবিংশ শতাব্দীর আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। এর জন্য চাই বিকল্প চিন্তাধারা; বিকল্প উন্নয়ন মডেল। এর জন্য রাজনীতিকদের সদিচ্ছা থাকা খুবই প্রয়োজন। রাজনৈতিক সদিচ্ছাই পারে একটি দুর্নীতিমুক্ত, সমৃদ্ধিশালী ও জনকল্যাণমূলক দেশ গড়তে। 

লেখক : প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড; সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক, জেদ্দা
hmct2004@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement