১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

রেকর্ড গড়েই ফাইনালে ইংল্যান্ড

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়সূচক গোল করার পর নিজের অভিব্যক্তি এভাবেই প্রকাশ করছেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড অলি ওয়াটকিন্স : ইন্টারনেট -

সিগন্যাল ইদুনা পার্কে রেফারির খেলা শেষের বাঁশি। পরশু রাতে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের এই সেমিফাইনাল শেষ হওয়া মাত্রই ইংলিশ সমর্থক, খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তাদের বাঁধভাঙা উল্লাস। যেকোনো জয়ের পরই প্রবল খুশির আবহ থাকে। আর তা যদি হয় সেমিতে জয়ের ঘটনা তাহলে ভিন্নতাতো থাকবেই। নেদারল্যান্ডসকে এই সেমিতে ২-১ গোলে হারিয়ে ইংল্যান্ডের ফাইনালে পৌঁছার মাধ্যমে ইংলিশদের জন্য হয়েছে দু’টি রেকর্ড। এক, এই প্রথম দেশের বাইরের কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে তারা। দুই, টানা দুই ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ড। তাদেরকে এই উল্লাসের উপলক্ষটা এনে দেন বদলি হিসেবে নামা ওলি ওয়াটকিন্স। খেলা যখন অতিরিক্ত সময়ে গড়ানোর সেকেন্ড গণনা শুরু করেছিল তখনই ডান পায়ের শটে বল জালে পাঠান অ্যাস্টন ভিলার এই ফরোয়ার্ড। তাতেই ২-১-এ ম্যাচ জয় গত ইউরোর রানার্সআপদের। ফলে রোববার রাত ১টায় ফাইনালে স্পেনের মুখোমুখি এখন গ্যারেথ সাউথ গেটের দল।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ভরা এই সেমিতে ৭ মিনিটে কিন্তু লিড নিয়েছিল নেদারল্যান্ডসই। ১৯৮৮ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নদের দুর্দান্ত শটের দর্শনীয় এক গোলে এগিয়ে নেন জাভি সিমন্স। ডেকলান রাইসের কাছ থেকে বল কেড়ে বক্সের কোনা থেকে তীব্র শট নেন জাভি সিমন্স। এই শটের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে কিছুই করতে পারেননি ইংলিশ কিপার জর্ডান পিকফোর্ড। এতে স্তব্ধ ডর্টমুন্ডের স্টেডিয়ামের ইংলিশ গ্যালারির অংশ।
পিছিয়ে পড়ার পর শুরু হয় ইংল্যান্ডের ম্যাচে ফেরার মিশন। অবশ্য এতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ১৮ মিনিটেই পেনাল্টি থেকে স্কোর ১-১। হ্যারি কেনের পেনাল্টি শটে ডান দিকে শরীর ফেলেও তা রুখতে পারেননি ডাচ কিপার বার্ট ভারবুগেন। তবে এই পেনাল্টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হ্যারি কেনের ভলি ফিনিশ হয়ে বার উঁচিয়ে চলে যায়। সেই শট ঠেকানোর সময় ডিফেন্ডার ডেনজিল ডামফিসের পা লাগে কেনের পায়ে। বল বার উঁচিয়ে চলে যাওয়ার পর পায়ে মারাত্মক চোট পাওয়ার ভান করেন হ্যারি কেন। এরপর রেফারি ভিএআর চেক করে পেনাল্টির নির্দেশ দেন। তবে কেউই এই স্পট কিকের নির্দেশ মানতে পারেনি। তবে সর্বনাশ যা হওয়ার হয়ে গেছে নেদারল্যান্ডসের। ক্রীড়া ভাষ্যকারদের মতে, ওই পেনাল্টিই পাল্টে দেয় ম্যাচের চিত্র।
সমতা আনার পর ইংল্যান্ড এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়। তবে ফিল ফোডেনের শট গোল লাইন থেকে রুখে পেনাল্টি উপহার দেয়ার দায়টা কিছু হলেও মিটিয়েছেন ডামফিস। আর ২৯ মিনিটে ডামফিস নিজেই নায়ক হয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু কর্নার থেকে নেয়া তার হেড ক্রসবারে প্রতিহত হলে দ্বিতীয় দফা এগিয়ে যাওয়া হয়নি নেদারল্যান্ডসের। ৩২ মিনিটে ফিল ফোডেনের নেয়া বাঁকানো শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। তা না হলে ফোডেনও দর্শনীয় গোল পেতেন ফ্রান্সের বিপক্ষে করা স্পেনের লামিন ইয়ামালের মতো।
৬৫ মিনিটে ভার্জিল ভ্যান ডাইকের ফ্রি-কিক রুখে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক। এরপর ইংল্যান্ডের বুকায়ো সাকা গোল করলেও তা অফসাইডে বাতিল। ৮৪ ও ৮৮ মিনিটে দুই দলই গোলের সুযোগ হারায়। এরপর ৯০ মিনিটে ওয়াটকিন্সের গোলে ইংল্যান্ডের জয়ের উৎসব আর ডাচদের ৩৬ বছর পর ফাইনালে খেলার স্বপ্নভঙ্গ। ডাচ ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে হাফ চান্সের শটে গোল করেন ওয়াটকিন্স।


আরো সংবাদ



premium cement
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলা : টঙ্গিবাড়ীতে আ’লীগ নেতা গ্রেফতার ফেনীতে ভারতীয় আধিপত্যবাদ রুখতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি চৌগাছায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারী নিহত শিবচরে শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার ১১তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন প্রাথমিকের শিক্ষকদের পদোন্নতির বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ চট্টগ্রামে টিভি বিস্ফোরণে বসতঘর পুড়ে ছাই কুয়াকাটায় সাবেক মেয়রের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের ২ নেতা গ্রেফতার বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টিকে নিবন্ধন দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ নাতনিকে অপহরণে বাধা দেয়ায় নানিকে হত্যার অভিযোগ, আহত ২ ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে চীনা প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ

সকল