১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ফাইনালে চোখ কলম্বিয়া-উরুগুয়ের

-

এবারের কোপা আমেরিকায় দুর্দান্ত ফুটবল খেলছে কলম্বিয়া ও উরুগুয়ে। সম্ভবত টুর্নামেন্টে সবচেয়ে ছন্দে থাকা দু’টি দলও তারা। ব্রাজিলকে রুখে দিয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে শেষ আটে উঠেছে কলম্বিয়া। আর সেমিতে যাওয়ার পথে জেমস রদ্রিগেজ-লুইস দিয়াজরা ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পানামাকে। এমনকি সব মিলে টানা ২৭ ম্যাচে অপরাজিতও আছে দলটি। এ দিকে ছন্দে থাকা কলম্বিয়ার চোখ এখন ফাইনালে। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পেয়েছিল উরুগুয়ে। আর শেষ আটে ব্রাজিলকে পেছনে ফেলে সেমিতেও পৌঁছে গেছে মার্সেলো বিয়েলসার দল। আগামীকাল সকাল ৬টায় ফাইনালে চোখ রেখেই কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবেন নুনিয়েজ-ভালভার্দেরা।
ফেবারিটের তালিকায় তারা কখনই থাকে না, কিন্তু কোপা আমেরিকায় রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিচ্ছে কলম্বিয়া। দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়ে নিশ্চিত করেছে উরুগুয়ের বিপক্ষে সেমিফাইনাল। আর এসব কিছুই হয়েছে আর্জেন্টাইন কোচ নেস্তর লরেনজো দায়িত্ব নেয়ার পর।
২০২২ সালের জুনে লরেনজোকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় কলম্বিয়া। এরপরই যেন ভোজবাজির মতো বদলে যেতে থাকে দলটির পারফরম্যান্স। টানা ২৭ ম্যাচ অপরাজিত কলম্বিয়া, যার মাঝে ২৫টিই লরেনজোর আমলে। এই অজেয় যাত্রার পথে গত নভেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ব্রাজিলকে ২-১ গোলে হারায় লরেনজোর দল। এবার কোপায়ও ব্রাজিলের সাথে ড্র করে কলম্বিয়া গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কোপায় পানামাকে হারানোর পর লরেনজো তার দলের সাফল্যের মন্ত্র নিয়ে বলেছিলেন, ‘১১ জন ফুটবলারের সবাই নিজের সতীর্থের জন্য খেলে।’
আগামীকাল কোপার সেমিফাইনালে উরুগুয়ের মুখোমুখি হওয়ার আগে নিজের দল নিয়ে তৃপ্ত লরেনজো, ‘পুরো দলের মাঝে এই মনোভাব আছে, যা খেলা শুরুর প্রথম মিনিট থেকেই দৃশ্যমান হবে। তাদের মনোভাব দুর্দান্ত এবং সতীর্থদের জন্য উজার করে দিচ্ছে। উরুগুয়েকে খাটো করে দেখার কোনো উপায় নেই। তাদের দলে কয়েকজন খেলার ফলাফল পাল্টে দিতে পারে। তবে আমরাও সতর্ক। মনে রাখতে হবে আমরা ফাইনাল উঠতেই মাঠে নামব।’
কলম্বিয়ার প্রভাবশালী খেলোয়াড় রদ্রিগেজ কোপায় কলম্বিয়ার হয়ে চার ম্যাচে একটি গোল ও পাঁচটি অ্যাসিস্ট করেছেন। ড্যানিয়েল মুনোজ চার ম্যাচে দু’টি গোল ও একটি অ্যাসিস্ট করেছেন। দু’টি গোল ও একটি অ্যাসিস্ট জোন কর্ডোবার। লুইস দিয়াজের দু’টি গোল রয়েছে চার ম্যাচে।
এ দিকে উরুগুয়ের ম্যাক্সিমিলিয়ানো আরাউজোর দু’টি গোল রয়েছে ও চার ম্যাচে একটি সহায়তা করেছেন। পুরো টুর্নামেন্টে নজর কেড়েছেন নিকোলাস ডি লা ক্রুজ। দু’টি অ্যাসিস্ট রয়েছে তার। ডারউইন নুনেজ কোনো সহায়তা ছাড়াই দু’টি গোল করেছেন। ফ্যাকুন্ডো পেলিস্ট্রির একটি গোল ও চার ম্যাচে একটি সহায়তা।
উরুগুয়ে কোচ মার্সেলো বিয়েলসা তো সাফ সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘এ পর্যায়ে এসে বিদায় নেয়াটা একপ্রকার বোকামি। আর পুরো দল এ বোকামিটা করতে চাইবে না। আর মাত্র দু’টি ধাপ উতরানোর কৌশলে রয়েছি। দিনটি যেন উরুগুয়ের হয় সেদিকটায় চোখ রেখেই মাঠে নামব।’


আরো সংবাদ



premium cement