১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

টাইগারদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট পাপন

-

গতকাল দুপুর হতেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকরা আসতে শুরু করেন। এরপর বিসিবিতে শুরু হয়েছে পরিচালকদের বৈঠক। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আলোচনা শুরু হয়। বিসিবির সভায় বিভিন্ন বিষয়েই আলাপ করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সবশেষ টি-২০ বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্সও। সুপার এইটে উঠলেও তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে বেশ সমালোচনা রয়েছে। এর বাইরে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অগ্রগতি নিয়েও আলাপ হয়েছে। আলোচনা হয়েছে স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদের চুক্তির মেয়াদ নিয়েও।
বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স নিয়ে পুরো দেশ যেখানে সমালোচনায় মুখর, সেখানে দু-একজন পরিচালক দলের জয়কে বড় করে দেখছেন। প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ হওয়ায় তৃপ্তির ঢেঁকুরও তুলছেন। বিসিবি থেকে বলা হয়েছে বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য ছিল সুপার এইটে খেলা। তিন ম্যাচ জেতায় সে লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। বরং আগের চেয়ে একটি ম্যাচ বেশি জেতায় বাহবা নেয়ার চেষ্টা হতে পারে ও সেটিই হয়েছে।
ডু অর ডাই পরিস্থিতির সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। ১২.১ ওভারে ১১৫ রান করলেই ইতিহাস গড়ত শান্তবাহিনী। প্রথমবার খেলতো বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল। সেন্ট ভিনসেন্টে সে চেষ্টা না করায় মন ভাঙে কোটি টাইগারপ্রেমির। বিসিবি সভা শেষে নাজমুল হাসান পাপনের সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটারদের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বোর্ড সভাপতি জানান, কন্ডিশন হয়তো রান তাড়ার পক্ষে ছিল না।
পাপনের কথায়, ‘টি-২০তে ১২ ওভারে ১১৫ কঠিন কিছু না। তবে খেলা দেখে মনে হয়েছে কন্ডিশন ওরকম ছিল না। কিন্তু ওরা চেষ্টা করেছে। আমি শুনেছি ৩ উইকেট পড়ার পর আমরা চেষ্টা করিনি। এরকম একটা কথা এসেছে। এটা গ্রহণযোগ্য না। খেলা দেখে মনে হয়নি একদমই চেষ্টা করছে না। তৌহিদ তো মেরেই খেলেছে। রশিদ খানের শেষ ওভারে রিশাদ ও মাহমুদুল্লাহ আউট হয়েছে। কন্ডিশন সহজ ছিল না। একতরফা কথা বললে হবে না।’
বিশ্বকাপে দলের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল পরিচালনা পর্ষদের সভায়। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও ম্যানেজার রাবীদ ইমামের কাছে রিপোর্টও চেয়েছেন জালাল ইউনুস। পরে জানা গেল বোর্ড সভায় বিশ্বকাপ নিয়ে কোনো রিপোর্ট পেশ করা হবে না। এ ব্যাপারে জালাল ইউনুসের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।’
এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটে উন্নীত হয় বাংলাদেশ। এই অর্জনকে বড় করে দেখাতে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সাথে তুলনা করা হচ্ছে; অর্থাৎ সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গ্রুপ পর্বে বাদ পড়েছে আর বাংলাদেশের সেরা আটে খেলার বিষয়টি গর্বের সাথে বলা হচ্ছে। অথচ বোর্ডের কর্মকর্তারা আফগানিস্তানের উত্থানকে বড় করে দেখতে রাজি নন। গতকালের সভায় বিশ্বকাপ পারফরম্যান্সকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement