১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

দুই অপরাজিত দলের লড়াই

এই ট্রফি জিততেই আজ লড়াই ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার -

সত্যিকার অর্থেই সেয়ানে সেয়ানে লড়াই। এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে আজ এমন দুই দলের ফাইনাল ম্যাচ যারা এবারের আসরে একটি ম্যাচেও হারেনি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার তুলনায় ভারতের জয় ছিল অপেক্ষাকৃত সহজে। দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রুপ পর্বে বহু কষ্টে বাংলাদেশ ও নেপালের বিপক্ষে জিতেছিল। নেপালের বিপক্ষে তো জিততে হয়েছিল মাত্র এক রানে।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে খেলাটা ভারতের জন্য নতুন কিছু নয়। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য এই প্রথম। এই দুই দলই আজ বার্বাডোজের ব্রিজ টাউনে টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ের মিশনে নামছে। দুই দল এর আগে টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিতে খেলেছিল। ২০১৪ সালের এই আসরে ভারতের জয় ছিল তাদের বিপক্ষে।

এবারের আসরে দুই দলই গ্রুপের সেরা হয়ে সুপার এইটে এসেছে। যদিও ভারত একটি ম্যাচ কম খেলেছে। তাদের সাথে কানাডার ম্যাচ বৃষ্টিতে ধুয়ে যায়। তবে আজ যে দলই চ্যাম্পিয়ন হোক না কেন প্রথম অপরাজিত দল হিসেবে শিরোপায় হাত ছোঁয়াতে পারবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা সুপার এইটে যুক্তরাষ্ট্র, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড এবং সেমিতে আফগানিস্তানকে হারায়।
ভারত গ্রুপ পর্বে পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ডকে পরাজিত করে। বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত কানাডার বিপক্ষে ম্যাচ। সুপার এইটে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর সেমিতে ৬৮ রানে উড়িয়ে দেয় গতবারের চ্যাম্পিয়নদের।

দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৭, ২০১৫ ও ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিতে বিদায় নেয়। টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিতে ছিটকে পড়া ২০০৯ ও ২০১৪তে। আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের প্রথম ফাইনালে উঠে প্রোটিয়ারা এখন ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে।
ভারত ২০০৭ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছে। ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয় ২০১১ সালে। এরপর তাদের আর কোনো শিরোপাই নেই। ২০১৪ সালের টি-২০তে তাদের ফাইনালে হার। ২০১৬ ও ২০২২-এর সেমিতে বিদায়।
এই ব্রিজটাউনেই ২০১০ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল হয়েছিল। সেবারের প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।
এই মাঠে টি-২০ বিশ্বকাপের ৯টি ম্যাচ হয়েছে যার প্রথমটি সুপার ওভারে সমাপ্ত। ভারত এই মাঠে আফগানিস্তানকে ৪৭ রানে হারালেও দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য এই কিংস্টন ওভাল নতুন মাঠ। তারা এখানে কোনো ম্যাচই খেলেনি।


আরো সংবাদ



premium cement