ফ্রান্স-নেদারল্যান্ডসের ম্যাচ ড্র
- ক্রীড়া ডেস্ক
- ২৩ জুন ২০২৪, ০২:০৪
সাইড বেঞ্চে বসে ফুঁসছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তার নাক ভেঙেছে আগের ম্যাচে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ফ্রান্সের হেভিওয়েট লড়াইয়ে তার খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে যায় দল ঘোষণার পর। বেঞ্চে রাখা হয়েছিল তাকে; কিন্তু তাকে নামানোর প্রয়োজন মনে করেননি দিদিয়ের দেশম। তার বদলে অধিনায়কত্ব পাওয়া আতোঁয়ান গ্রিয়েজম্যান একেবারে ফ্লপ। গোলমুখের সামনে তার একাধিক ব্যর্থতা ভোগালো ফ্রান্সকে। অন্য দিকে অগণিত সুযোগ নষ্ট করার পর নেদারল্যান্ডস গোল পেলেও অফসাইডের বাঁশি হতাশ করে তাদের। পরশু রাতে লাইপজিগে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচটি হয়েছে গোলশূন্য ড্র। আর তাতে করে সবার আগে ইউরো থেকে পোল্যান্ডের বিদায় নিশ্চিত হলো। ম্যাচে এমবাপ্পে খেললে হয়তো জিতে যেতে পারতো বিশ্বকাপ রানার্সআপরা। পরশু রাতে অপর ম্যাচে অস্ট্রিয়া ৩-১-এ হারায় পোল্যান্ডকে।
ম্যাচ ঘড়িতে তখন সময় ৫৫ সেকেন্ড, নেদারল্যান্ডস লিড নেয়ার সুযোগ তৈরি করল। মেম্ফিস ডিপের পাসে বল নিয়ে ফ্রিমপং বক্সে ঢুকে পড়েন। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের চ্যালেঞ্জের মুখে তার কোনাকুনি শট ফরাসি কিপার মাইক মাইগনান আলতো ছোঁয়ায় লক্ষ্যভ্রষ্ট করেন।
ডাচ কিপার বার্ভারব্রুগেন চতুর্থ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে গ্রিয়েজম্যানের শট লাফিয়ে প্রতিহত করেন। ফ্রান্সের অধিনায়ক ৬০ সেকেন্ডের ব্যবধানে আরো দুটো সুযোগ নষ্ট করেন। ১৩ মিনিটে র্যাবিওট বল নিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন। গোলপোস্টের ছয় গজ দূর থেকে সহজেই লক্ষ্যভেদ করতে পারতেন তিনি। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে তিনি পাস দেন গ্রিয়েজম্যানকে। হুট করে এগিয়ে আসা বলে পা লাগাতে পারলেও ফিনিশিং ঠিকমতো করতে পারেননি। এর কিছুক্ষণ আগে কাঁতের বাড়ানো ক্রসে তার সাইডফুট শট ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়।
দুই মিনিট পর নেদারল্যান্ডস লক্ষ্যে শট নিলেও গোল করতে পারেনি। কোডি গাকপো ড্রিবলিং করে বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে যান এবং জায়গা খুঁজে বের করে শট নেন। ফরাসি কিপার ডাইভ দিয়ে তাকে রুখে দেন।
বিরতি থেকে ফিরে র্যাবিওট, থুরাম ও শুয়োমেনি লক্ষ্যে শট নিলেও বল আসল ঠিকানা খুঁজে পায়নি। এর মধ্যে ৬৩ মিনিটে দেম্বেলের ক্রস থেকে শুয়োমেনির দুর্দান্ত হেড অল্পের জন্য ক্রসবারের বাইরে দিয়ে যায়।
দুই মিনিট পর আরেকটি সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে ফ্রান্স। এবারও খলনায়ক গ্রিয়েজম্যান। শুয়োমেনির বাড়ানো বলে থুরাম দেম্বেলেকে পাস দেন। তার কাছ থেকে বল যায় কাঁতের কাছে, তিনি পাস দেন গ্রিয়েজম্যানকে। গোলমুখ থেকে কয়েক ইঞ্চি দূরে ছিলেন তিনি; কিন্তু বাঁ পায়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিলেও উপযুক্ত শট নিতে পারলেন না। ডাচ কিপার সহজে ব্যর্থ করে দেন গ্রিয়েজম্যানকে।
৬৯ মিনিটে ডাচ সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। নেদারল্যান্ডসের একটি শট মাইগনান ফিরিয়ে দিলেও জাভি সিমন্স জাল কাঁপান। গোল উদযাপনে মেতে ওঠে ডাচরা। কিন্তু রেফারি অফসাইডের বাঁশি বাজান। ভিএআরে ডুমফ্রাইসকে অফসাইডে থাকতে দেখা গেছে। তাতে করে হতাশ হতে হয় নেদারল্যান্ডসকে।
দুই ম্যাচে সমান চার পয়েন্ট নেদারল্যান্ডস ও ফ্রান্সের। তবে গোলব্যবধানে এগিয়ে থেকে শীর্ষে ডাচরা।
আজ ‘এ’ গ্রুপে জার্মানি ও সুইজারল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ড ও হাঙ্গেরির ম্যাচ। আগের দুই ম্যাচে জিতেছে জার্মানরা। আর সুইজারল্যান্ড ভাণ্ডারে ৪ পয়েন্ট জমা করেছে। স্কটল্যান্ড যদি হারাতে পারে হাঙ্গেরিকে তাহলে তাদের চান্স হবে নক আউটে যাওয়ার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা