১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বাংলাদেশের প্রাপ্তি ১ গোল ও ১ পয়েন্ট

-

আকাশ থেকে মাটিতে নামলো বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে হোমে অস্ট্রেলিয়া, ফিলিস্তিন এবং লেবাননের বিপক্ষে তুমুল লড়াই করা দলটি পরশু রাতে কাতারের মাঠে ০-৪ গোলে হেরেছে লেবাননের কাছে। ফলে ছয় ম্যাচে মাত্র ১ পয়েন্ট ও এক গোল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, কানাডা বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব শেষ করেছেন জামাল ভূঁইয়ারা। এর মাধ্যমে ২৩ বছর ধরে বাছাই পর্বে জয় শূন্য লাল-সবুজরা। পয়েন্টের হিসেবে গতবারের চেয়েও বাজে ফল। ২০২২ বাছাই পর্বে জেমি ডে বাহিনী দু’টি ড্র করেছিল আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে। এবার মাত্র এক ড্র। তা কিংস এরিনায় লেবাননের বিপক্ষে। অথচ এবারের বাছাই পর্বে হাভিয়ার কাবরেরা বাহিনী কাছে জয় প্রত্যাশা করা হয়েছিল ফিলিস্তিন ও লেবাননের বিপক্ষে।
এবারের বাছাই পর্বে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সের কোনো ধারাবাহিকতাই ছিল না। এক ম্যাচে দারুণ লড়াই তো পরের খেলাতেই ছন্দ পতন। এই যে ধরুন, শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৬ জুন মাত্র ০-২ গোলে হার জামালদের। সেই দলই পাঁচ দিনের ব্যবধানে কিভাবে লেবাননের কাছে চার গোল হজম করে। ফিলিস্তিনের কাছে অ্যাওয়েতে পাঁচ গোল খেয়ে হোমে মাত্র এক গোলে হার। লেবানন পরশু বাংলাদেশকে হারিয়েই এবারের আসরে প্রথম জয়ের দেখা পেল। হারের ফলে বাংলাদেশকে এখন এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের জন্য খেলতে হবে প্লে-অফে।
ছয় ম্যাচে বাংলাদেশ ২০ গোল হজম করেছে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মেলবোর্নে ০-৭, কুয়েতে ফিলিস্তিনের কাছে ০-৫ এবং কাতারে লেবাননের কাছে ০-৪ গোলে হার।
এই হারগুলোর জন্য দায় কোচ কাবরেরাকেই নিতে হবে। তার একাদশ গঠন ঠিক ছিল না। একেক দিন একেক একাদশকে খেলান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পুরো ৯০ মিনিটে খেলানো হয় মেহেদী হাসান মিন্টুকে। মিন্টুর পায়ে লাগা আত্মঘাতী গোলেই অস্ট্রেলিয়ার প্রথম গোল। এরপর তাকে রেখেই কাতারে যাওয়া বাংলাদেশ দলের। সেখানে লেবাননের বিপক্ষে একাদশে সুযোগ দেয়া শাকিল হোসেনকে। এই ডিফেন্ডার ৫ মিনিটে অযথা প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের মুখে ঘুষি মেরে লেবাননকে পেনাল্টি উপহার দেন। কর্নারের সময় শাকিলের জার্সী টেনে ধরা হয়। এতেই মেজাজ হারান তিনি। এ থেকেই বিদায়ী ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা হাসান মাতউক তার প্রথম গোল করেন। ফলে বিরতির পর কোচ তাকে তুলে শাকিলকে। বহরে বিশ্বনাথের মতো পরীক্ষিত ডিফেন্ডার থাকায় কেন শাকিলের মতো অবিবেচক ফুটবলারকে খেলানো হলো। বাংলাদেশ দ্বিতীয় গোল হজম করে শাকিল ও তপুর ভুলে।
অস্ট্রেলিয়ার কাছে সাত গোলের ম্যাচেও এই ডিফেন্ডাররা ডুবিয়েছিলেন। সেদিন ও কোচ সঠিক ফুটবলার বাছাই করতে পারেননি। ফিলিস্তিনের বিপক্ষে হোমে আহত মিতুল মারমার বদলে জিকোকে না নামিয়ে শ্রাবণকে খেলিয়ে বিতর্কের জন্ম দেন কোচ।
কাবরেরার অধীনে বাংলাদেশ দল ভালো খেললেও কোচের এই খেলোয়াড় নির্বাচনে ভুলই সর্বনাশ করেছে। দলে কোনো স্পেশালিস্ট স্ট্রাইকার নেই। একে একে সব গোল স্কোরারকে তিনি ছিটকে ফেলেছেন। পরশু অবশ্য প্রথম গোলের পর বাংলাদেশ আক্রমণে উঠেছিল। চান্সও পায়। বিরতির রাকিবের শট ক্রসবারে বাতাস দিয়ে যায়।
বাংলাদেশ দল ২০২২ বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচে ২ পয়েন্ট পেতে তিন গোল দিয়েছিল। হজম ১৯ গোল। ২০১৮ বাছাই পর্বে ৮ ম্যাচে তাদের করা গোল ৮টি। খেয়েছে ৩২ গোল। ড্র শুধু তাজিকিস্তানের সাথে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল