১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ডোনাল্ডের চোখ বাংলাদেশে মন দক্ষিণ আফ্রিকায়

-

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রেস্টিজিয়াস ম্যাচে ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। গ্রুপে বাংলাদেশের পরের ম্যাচেই অপেক্ষাকৃত কঠিন প্রতিপক্ষ সাউথ আফ্রিকা। তাদের সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সম্পর্ক বেশ পুরাতন। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার এডি বার্লো বাংলাদেশের কোচ ছিলেন। গত বিশ্বকাপে ছিলেন প্রোটিয়া কিংবদন্তি অ্যালান ডোনাল্ড। তার আগেও ছিলেন রাসেল ডোমিঙ্গো।
বাংলাদেশ অধ্যায় শেষ হলেও এখনো টাইগার ক্রিকেটকে নজরে রেখেছেন ডোনাল্ড। সাবেক শিষ্যদের পারফরম্যান্সে বেশ উচ্ছ্বসিত তিনি। ম্যাচ না দেখলেও পরে হাইলাইটস দেখতে ভুল করেননি। তার বক্তব্য, ‘যুক্তরাজ্য থেকে কেবলই পারিবারিক ছুটি কাটিয়ে ঘরে ফিরেছি। দুর্ভাগ্যবশত খেলাটা আমার দেখা হয়নি। পরে সুপার স্পোর্টসে পুরো হাইলাইটস দেখেছি। পেসারদের নিয়ে আমি খুবই খুশি। মোস্তাফিজের তিন উইকেট, তাসকিনের দু’টা আর তানজিম একটা। দারুণ পারফরম্যান্স ছিল। তাসকিন এখন পেস বিভাগে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তার জন্য বিষয়টা দারুণ দেখে ভালোই লাগছে। তাদের সবার জন্যই ভালো লাগছে।’
বাংলাদেশের জয়ে খুশি হলেও, সাবেক গুরু ডোনাল্ড কিছুটা অসন্তোষ বেশি উইকেট হারানোর কারণে। তার মতে, আরো আগেই ম্যাচ জেতা উচিত ছিল টাইগারদের, ‘আমার মনে হয়নি বাংলাদেশ এমন খেলবে, যেখানে আট উইকেট চলে যাবে। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপের অবস্থাই এমন। উইকেট একেবারেই অচেনা। ১৪০-১৩৫ অসাধারণ স্কোর। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচেও তাই দেখছি। ওরা বেশ চাপে ছিল ডাচদের বিপক্ষে। বাংলাদেশের ছয় উইকেটের মধ্যেই ম্যাচ শেষ করা উচিত ছিল। ৮ উইকেট যাওয়া, ১৮ ওভার পর্যন্ত যাওয়া উচিত হয়নি।’
পরের ম্যাচ তারই নিজের দেশের বিপক্ষে। এক দিকে দেশ, অন্য দিকে সাবেক শিষ্যরা। ডোনাল্ডের চোখে নজর কার দিকে বেশি থাকবে ? উত্তরে কিংবদন্তি এই পেসার বলেন, ‘একজন দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে, আমি দেশকেই বেছে নেবো- এটা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। কিন্তু এটা এমন একটা খেলা, যেটা যেকোনো দিন, যে কারোরই হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র সেটা করে দেখিয়েছে, আফগানিস্তান শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডকে বেশ সহজেই হারিয়েছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘এটা বেশ কঠিন এক পিচ। বোলাররাই এখানে আধিপত্য দেখিয়েছে। বিশেষ করে পেসাররা। তাসকিন, শরিফুল, মোস্তাফিজরা ওরা সবাই দারুণ বোলার। দক্ষিণ আফ্রিকাও পেস বোলিংয়ে দুর্দান্ত করেছে। এনরিখ নরকিয়া বেশ গতিতে বল করছে। ধারণা করছি, বাংলাদেশকে বেশ আগ্রাসনের মুখে পড়তে হবে।’
সাবেক এই পেস বোলিং কোচ শেষ পর্যায়ে আবারো বাংলাদেশের পেসারদেরই প্রশংসা করলেন, ‘আমার মনে হয় যুক্তরাষ্ট্রে কাজটা কঠিন হবে। দেখে মনেই হচ্ছে, বেশ পরিশ্রম করতে হবে ব্যাটারদের। শেষ পর্যন্ত যারা স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে পারবে, তাদের কাছেই ম্যাচের ফল যাবে। হোক সেটা ব্যাট হাতে কিংবা বল। বাংলাদেশের পেসারদের জন্য বেশ ভালো লাগছে- তারা দারুণ করেছে।’


আরো সংবাদ



premium cement