আবাহনীর বিপক্ষে দুই গোল আমার রিজিকে ছিল
- রফিকুল হায়দার ফরহাদ
- ০৪ জুন ২০২৪, ০১:৩৬
এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে তিনটি গোল করেছেন আরিফ হোসেন। কাকতালীয়ভাবে তিনটি গোলেই আবাহনীর বিপক্ষে। প্রথমটি গিয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনীর জালে। আর লিগের শেষ ম্যাচে রানার্সআপ নির্ধারণী ম্যাচে জোড়া গোল ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে। পিছিয়ে পড়েও মোহামেডানের ২-১ গোলে জয় এবং ১৩ বছর পর লিগ রানার্সআপ হওয়া সব কিছুরই নেপথ্যে নেত্রকোনার এই ছেলে। বসুন্ধরা কিংসের হয়ে পাইওনিয়ার লিগের মাধ্যমে ঢাকার ফুটবলে অভিষেক মিডফিল্ডার আরিফের। আর এখন কড়া নাড়ছেন সিনিয়র জাতীয় দলে। মোহামেডানের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর বিপক্ষে সমতা সূচক এবং উইনিং গোল করার পর আরিফের বক্তব্য, সব সময়ই ইচ্ছে থাকে বড় দলের বিপক্ষে গোল করার। এবার ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে করা জোড়া গোল আসলে আমার রিজিকে ছিল। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাকে এই গোল দু’টি দিয়েছেন।
২৯ মে গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে সবারই দৃষ্টি ছিল মোহামেডানের সোলেমান দিয়াবাতে এবং আবাহনীর স্টুয়ার্ট কার্নেলিয়াসের দিকে। দু’জনই দুই দলের গোল মেশিন। মালির সোলেমান ১৭ গোল দিয়ে ২ গোল পেছনে ছিলেন সেন্ট ভিনসেন্টের কার্নেলিয়াসের চেয়ে। সোলেমান তিন গোল করতে পারলে তিনিই হতেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। তবে ম্যাচে এই দু’জনের কেউই গোল পাননি। তাদের টপকে দু’বার বল জালে পাঠালেন আরিফ। পুরো সিজনে ভালো খেলা এই উইংগারের শেষটা হলো দারুণ সাফল্য দিয়ে।
সেই পাইওনিয়ার লিগ থেকেই গোলের দেখা পেয়ে আসছেন আরিফ। গত বছরও ছিলেন মোহামেডানে। এর আগে উত্তর বারিধারার হয়ে বিপিএল ও বিসিএলে খেলেছেন। এবার ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে করা দ্বিতীয় গোলটিরে সবচেয়ে স্মরনীয় বলে উল্লেখ করলেন তিনি। জানান, প্রথমে গোলটি ছিল উইনিং। সাথে ওই গোলটি বাম পায়ে দারুণ এক প্লেসিংয়ে জালে পাঠাই। তাই এই গোলই মনে রাখার মতো।
২০১৬ সালে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে পাইওনিয়ার লিগে অভিষেক আরিফের। তার এক মামা বসুন্ধরায় থাকেন। সেই মামার হাত ধরেই ঢাকায় আসা। সেবার বসুন্ধরা পাইওনিয়ার লিগে তৃতীয় হয়ে তৃতীয় বিভাগে ওঠে। এরপর শেখ রাসেল ও উত্তর বারিধারায় খেলেছেন। গত সিজনে মোহামেডানের জার্সি গায়ে তোলার আগে ছিলেন উত্তর বারিধারায়। প্রতি লিগেই গোল আছে এই ফুটবলারের।
২০১৮ সাল থেকে বিপিএল খেলা আরিফ গত বছর অনূর্ধ্ব-২৩ জাতীয় দলে ডাক পান। একটি ম্যাচও খেলেন বদলি হিসেবে। ইন্টার মিডিয়েট প্রথম বর্ষ পর্যন্ত লেখাপড়া করা আরিফের পরবর্তী লক্ষ্য সিনিয়র জাতীয় দলে খেলা। জানান, ‘আমি আবাহনীর বিপক্ষে দুই গোল করার পর ক্লাব কর্মকর্তারা আরো ভালো খেলার এবং জাতীয় দলে চান্স পাওয়ার জন্য উৎসাহ দেন। এটি আমার জন্য বড় অনুপ্রেরণা।’ মোহামেডান কোচ আলফাজ আহমেদতো জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ার কাববেরার সমালোচনাই করলেন আরিফকে এবারের জাতীয় দলে না ডাকায়। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়কের মতে, আরিফকে অবশ্যই এবারের জাতীয় দলে ডাকা উচিত ছিল। সে বাংলাদেশ টিমে খেলার যোগ্যতা রাখে।
কয়েক মাস আগে বাবাকে হারিয়েছেন আরিফ। আরিফের আরেক ভাইও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়। তবে বিদেশীদের জন্য খেলার তেমন সুযোগ পাননা স্থানীয় খেলোয়াড়রা। এ জন্য দেশী ফুটবলারদের গোল সংখ্যা কম। মনে করেন তিনি। এর পরও আকাশি-নীল শিবিরের বিপক্ষে জোড়া গোল করতে পেরে দারুণ খুশি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা