২০২৬ বিশ্বকাপও খেলতে চান সাকিব
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ০১ জুন ২০২৪, ০০:০০
‘প্রথম আসর থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত যতগুলো টি-২০ বিশ্বকাপ হলো সবগুলোতেই খেলেছি। আমার জন্য এটা গর্বের ও আনন্দের। একই সময়ে যেহেতু দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি, অনেক ভালো লাগার একটা জায়গা আছে। আমি এবং রোহিত শর্ম মাত্র দু’জন খেলোয়াড় যারা সবগুলো টি-২০ বিশ্বকাপে খেলেছি। আশা করব, আরো একটি বিশ্বকাপ যেন খেলতে পারি। তার আগে এই বিশ্বকাপে পারফরম্যান্স যেন ভালো থাকে। বাংলাদেশ যেন অন্যান্য যেকোনো টি-২০ বিশ্বকাপের চেয়ে ভালো ফল পায়।’ গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ধারাবাহিক ভিডিও সিরিজ ‘দ্য গ্রিন রেড স্টোরি’তে এমনটাই জানান সাকিব আল হাসান।
আগামীকাল থেকে শুরু হবে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর। বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আগের আটটি টি-২০ বিশ্বকাপেই খেলেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ভবিষ্যতে আরো একটি বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখছেন সাকিব। তার আগে, আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে সেরা পারফরমেন্স দিয়ে দলের জন্য অবদান রাখতে চান এই অলরাউন্ডার।
২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে সাকিব জানিয়েছিলেন, ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিই হবে তার ক্যারিয়ারের শেষ আইসিসি টুর্নামেন্ট। সে হিসেবে এ বছরের টি-২০ বিশ্বকাপই ছিল তার ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু আরো একটি বিশ্বকাপ খেলতে চান সাকিব। বিশ্বকাপের পরে টি-২০ আসরটি হবে ২০২৬ সালে।
২০০৭ সালে শুরু হওয়ার পর টি-২০ বিশ্বকাপের সব আসরেই খেলেছেন সাকিব। তার সাথে সব আসরে খেলার রেকর্ড ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মারও। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হতে যাওয়া টি-২০ বিশ্বকাপে নবমবারের মতো খেলতে নামবেন সাকিব। তার কথায়, ‘আমার নামের পাশে কিছু দেখতে চাই না। একটি জিনিসই চাই, বাংলাদেশের হয়ে যেন অবদান রাখতে পারি। এই বিশ্বকাপে যেন বাংলাদেশের হয়ে ভালো কিছু করতে পারি।’
ঐ ভিডিওতে কাগজে লেখা বেশ কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া হয়েছিল সাকিবকে। প্রশ্নগুলো নিজেই পড়ে উত্তর দিয়েছে সাকিব, ‘অনেকেই বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র সাকিবের সেকেন্ড হোম। ঘরের সুবিধা কি পাবে দল? উত্তরে সাকিব বলেন, ‘আমার সেকেন্ড হোম ঠিক আছে। তবে হোম অ্যাডভান্টেজ পাবে কি না বলা মুশকিল। কিন্তু আমার মনে হয় পাবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আমেরিকা, এ দু’টো জায়গাতেই আমরা খেলেছি। এর আগে ফ্লোরিডায় যখন খেলেছি বাংলাদেশ ভালো করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমরা সব সময়ই সুবিধা পাই। কারণ পিচগুলো অনেকটা আমাদের মতোই হয়ে থাকে। আশা করছি, দুই জায়গাতেই সুবিধা পাবো।’
আন্তর্জাতিক ও ফ্র্যাঞ্চাইজি মিলিয়ে ৪৩৩টি টি-২০ খেলেছেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, এটা অনেক রোমাঞ্চকর। দর্শকরা অনেক পছন্দ করেন। চাইবো ব্যাট ও বলের যেন সমান প্রতিযোগিতা এখানে থাকে। একতরফা যেন টুর্নামেন্ট না হয়। সাধারণত বিশ্বকাপে কখনওই সেটা হয় না। আমি মনে করি, এবারো একইরকম হবে।’
যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বিশ্বকাপ হওয়ায় বাংলাদেশ দল কেমন সমর্থন পাবে? এ ব্যাপারে সাকিব বলেন, ‘প্রচুর বাংলাদেশী দর্শক সেখানে অপেক্ষা করছে। আশা করি, তারা পূর্ণ সমর্থন দেবে আমাদের। তাদের এই সমর্থন কাজে আসবে এবং ভালো ফল পেতে সমর্থ হবো।’
সংসদ সদস্য বিষয়টি কঠিন নাকি ক্রিকেটারের? উত্তরে সাকিব বলেন, ‘সংসদ সদস্যের কাজটাই কঠিন, যেহেতু আমার জন্য বিষয়টি নতুন। ক্রিকেট যেহেতু আমি প্রথম থেকেই খেলে আসছি, তাই স্বাচ্ছন্দ্য লাগে, যেহেতু ছোটবেলা থেকে এটার সাথে জড়িত।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা