১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

চ্যাম্পিয়ন কদমতলা স্কুল

-

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্কুল ক্রিকেটের ফাইনাল খেলল একঝাঁক কিশোর। স্বপ্নের চারণভূমিতে প্রায় সবার মুখেই হাসির ঝিলিক। রাজধানীরই বাসাবো থেকে কদমতলা স্কুল এসেছে ফাইনালে, পরে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন। ফাইনলের পর ঘণ্টা দুয়েক পেরিয়ে গেলেও স্টেডিয়ামের নানা কোণে সেলফিতে স্মরণীয় করে রাখছে খুদে ক্রিকেটাররা। এক দিকে যখন উল্লাস, আরেক দিকে পিরোজপুর কেজি হাইস্কুলের ক্রিকেটারদের বড় বেদনার ছবি। হেরে যাওয়ায় তাদের ওপরও ভর করেছে হতাশা। অধিনায়ক হৃদয় হৃদয়ের ভেতর থেকেই বললেন, ‘জানেন, ম্যাচটা একদম হাতের মুঠোয় ছিল। এরপর কী যে হলো...’ ৪৩ রানে ছয় উইকেট নেয়ার পর প্রতিপক্ষ কিভাবে ২৮৬ রান করে ফেলল, ওই ম্যাচে এরপর তাদের হার ১৮৭ রানে! এমন সমীকরণের উত্তর মেলাতে পারেননি পিরোজপুরের স্কুলের অধিনায়ক। তিনি না পারলেও হিসাবটা ঠিকঠাকই কষেছিলেন আল শাহরিয়ার সামি। ৬ উইকেট চলে যাওয়ার পর বাসাবো স্কুলকে টেনে তুলেছেন তিনিই। ১১৫ বলের ইনিংসে ১৪৮ রান করেছেন, ৯ চারের সাথে ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। প্রায় তিন ঘণ্টা উইকেটে থেকেছেন।
বাসাবো স্কুলের কোচ মোস্তাফিজুর রহমান জানালেন, ‘এক শ’ পার্সেন্ট সারপ্রাইজিং ছিল ওর ব্যাটিং। ও তো আমার দলের বোলার। ব্যাটিং না পারা সামিকে বলেছি, মিরপুরের মাঠ। জীবনে আর কখনো সুযোগ আসবে কি না জানি না। তোমার জন্য হতে পারে এটাই শেষ মঞ্চ অথবা জাতীয় দলের চেইনে ঢুকতে পারার সুযোগ। হয়তো ও কথাটা মাথায় নিয়েছে।’


আরো সংবাদ



premium cement