১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

তিন বিভাগেই অবদান রাখতে চান রিশাদ

তিন বিভাগেই অবদান রাখতে চান রিশাদ -


টি-২০ বিশ্বকাপ শুরুর আগে নিজেদের লক্ষ্য, ভাবনা ও উদ্দেশ্য নিয়ে ‘গ্রিন রেড স্টোরি’ শিরোনামে বিশেষ ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার প্রকাশ করছে বিসিবি। সেখানে এবার নিজের ক্রিকেট যাত্রার শুরু এবং বর্তমানে নিজের বোলিংয়ের উন্নতি নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। বিশ্বকাপে খেলাটা সব ক্রিকেটারেরই একটা বড় স্বপ্ন। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকতে পারাটাই রিশাদের জন্য বিশাল এচিভমেন্ট, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েই মাঠে পারফর্ম করতে চান তিনি।

ইমরান খানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের হয়ে ১৯৯২ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছেন মুশতাক। সেই সময়ের অভিজ্ঞতাই রিশাদের সাথে ভাগাভাগি করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদের সাথে নিজের বোলিং নিয়ে কাজ করছেন রিশাদ। কোচের থেকে নতুন অনেককিছু শিখতে পারছেন তিনি, ‘উনার অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করছেন যে ওই সময় উনি বিশ্বমঞ্চে কেমন দাপুটে ছিলেন। উনি বলেছেন যে বিশ্বমঞ্চে যত ঠাণ্ডা মাথায় থাকা যায় তত ভালো পারফর্ম করা যায়। ইনশা আল্লাহ আমি চেষ্টা করব- সে রকমটাই করার।’

মূলত লেগস্পিনার হলেও গত এক বছরে ব্যাট হাতেও বাংলাদেশকে কয়েকটি ম্যাচ জিতিয়েছেন রিশাদ। লেজের সারিতে ব্যাটিংয়ে নামা রিশাদের আগ্রাসী ভঙ্গিমার ব্যাটিং স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। নাজমুল হোসেন শান্তর দলে রিশাদ হতে চাইছেন পরিপূর্ণ এক অলরাউন্ডার। লেগস্পিনার হিসেবে ক্রিকেটটা শুরু করলেও এখন ব্যাট হাতেও ছন্দে আছেন রিশাদ। অলরাউন্ডার হিসেবে সামনের দিনগুলোতে দলের হয়ে ভূমিকা পালন করতে চান তিনি। এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘দলের প্রতি আমি ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন সাইডেই অবদান রাখতে চাই। কারণ আমার মনে হয় দেশকে কিছু দিতে হলে আমাকে সবদিক থেকেই দিতে হবে। যার জন্য আমাকে একটু হার্ড ওয়ার্ক করতে হবে। আমি চেষ্টা করছি ব্যাটিংটাও একটু ইম্প্র্রুভ করার।’

কন্ডিশন নিয়ে না ভেবে নিজেদের খেলাটার দিকে ফোকাস করতে হবে, এরকমটা জানালেন রিশাদ, ‘কন্ডিশন যেমনই হোক আমাদের যা সামর্থ্য আছে তা দিয়েই ডেলিভারি করতে হবে। চেষ্টা করব আপাতত কন্ডিশন নিয়ে না ভাবার।’ বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেকে মেলে ধরতে চান রিশাদ, ‘নামের পাশে আমি ওয়ার্ল্ডকাপের হাইয়েস্ট উইকেট টেকারের খেতাব দেখতে চাই। অলরাউন্ডার হিসেবেও আমি নিজেকে আরো কয়েক ধাপ উপরে উঠতে চাই। তার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করব।’

তিনি যোগ করেন, ‘আমি চেষ্টা করেছি ব্যাটিংয়ে আরো উন্নতি করার জন্য। সব ব্যাটারই চায় বড় বড় শট খেলতে। আমিও সবসময় চাই যে বাউন্ডারির দিকে বেশি শট খেলতে। ছক্কা মারার জন্য নিজের ওপর বিশ্বাস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি চিন্তা করি শুধু, বোলার বা অন্যান্য কিছু দেখি না, বল দেখি শুধু। বল বাই বল দেখি।’ যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। আপাতত সেসব নিয়ে একেবারেই ভাবছেন না রিশাদ। উইকেটের আচরণ অনুযায়ী বোলিং করার পরিকল্পনা তার। ‘মাঠে গিয়েই দেখব উইকেট কেমন বা অন্যান্য কিছু। তবে বিশ্বকাপ খেলাটা আমার অনেক গর্বের ব্যাপার।’

 

 


আরো সংবাদ



premium cement