১৭ জুন ২০২৪
`

তিন মামা-ভাগ্নে মিলে জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন

-


বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে মামা ভাগ্নের একই সময়ে খেলাটা নতুন নয়। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক এবং ২০০৩ সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের ডিফেন্ডার মোহাম্মদ সুজন ও তার মামা শহীদুল ইসলাম দুলাল (টাইগার দুলাল) একসাথে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন ভিন্ন ভিন্ন দলের হয়ে। কয়েক বছর ধরেই দুই ভাগ্নে আর এক মামা খেলছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে। এরা হলেন মামা মিডফিল্ডার সোহেল রানা এবং দুই ভাগ্নে গোলরক্ষক সুজন হোসেন ও পাপ্পু হোসেন। সোহেল রানা খেলছেন বসুন্ধরা কিংসে। সুজন কয়েক বছর ধরেই মোহামেডানের পোস্ট আগলাচ্ছেন। আর পাপ্পু এবার ঢাকা আবাহনীর গোলরক্ষক। সোহেল রানা প্রায় ১১ বছর হলো জাতীয় দলে আছেন। খেলছেনও নিয়মিত। পাপ্পু জাতীয় দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে আছেন। সিনিয়র জাতীয় দলে খেলা হয়নি। আর সুজন এখনো সিনিয়র জাতীয় দলে ডাক পাননি। পাপ্পুর বড় ভাই সুজন জানান, আমার স্বপ্ন তিন মামা-ভাগ্নে মিলে যেন বাংলাদেশ দলে খেলতে পারি।

এরই মধ্যে এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ড করেছেন সুজন ও পাপ্পু। দুই ভাই একই ম্যাচে দেশের দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব আবাহনী ও মোহামেডানের পোস্টের নিচে দাঁড়িয়েছেন। তা ২২ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সেই ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়। এর আগেও এই দুই ভাইয়ের পরস্পরের বিপক্ষে ম্যাচ খেলা হয়েছিল। প্রথমটি ২০১৮-১৯ সালে। পাপ্পু তখন সাইফ স্পোর্টিংয়ে। সুজন ছিলেন মোহামেডানে। সে খেলায় অবশ্য সাইফ স্পোর্টিং ১-০ গোলে জয় পায়। এরপর অবশ্য দুই ক্লাবের ম্যাচে দুইয়ের পোস্টের নিচের লড়াইয়ে মোহামেডানের জয় ২-০-তে। ২০২২ সালে ফের দুই ম্যাচে দুই ভাইয়ের সাক্ষাৎ। সুজন তখন মোহামেডান ক্লাবে থাকলেও পাপ্পু যোগ দেন চট্টগ্রাম আবাহনীতে। কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মোহামেডান ৪-১ গোলে জিতেছিল। এরপর লিগে মুন্সীগঞ্জের মাঠে ২-১ গোলে জয় সাদা-কালো শিবিরের।
মামা সোহেল রানার সাথেও খেলা হয়েছে সুজনের। সর্বশেষ ফেডারেশন কাপের ফাইনালে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে খেলেন সোহেল রানা। আর সুজন মোহামেডানের পোস্টের নিচে।

পাপ্পু অবশ্য এখন আবাহনীর একাদশে চান্স পান না। অন্য দিকে সুজন এখনো মোহামেডানের এক নাম্বার কিপার। সুজন এখনো জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পাননি। তবে অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৯ ও অনূর্ধ্ব-২৩ দলে ডাক পান। তার দেয়া তথ্য, আমি অনূর্ধ্ব-১৬ জাতীয় দলে চার ম্যাচ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ দলে তিন ম্যাচ খেলেছি। আর অনূর্ধ্ব-২৩ দলের দ্বিতীয় কিপার ছিলাম।
ছোট ভাই সিনিয়র জাতীয় দলে ডাক পেলেও অগ্রজ সুজন এখনো সিনিয়র দলে ডাক পাননি। এ নিয়ে আফসোস সুজনের। তার বক্তব্য, অনেকেই বলেন আমরা কবে দুই ভাই একত্রে জাতীয় দলে খেলব। আসলে দুই ভাই নয়, আমার স্বপ্ন আমরা তিনজন অর্থাৎ মামা সোহেল রানা ও আমরা দুই ভাগ্নের একসাথে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া। অন্তত তিনজন একসাথে জাতীয় দলে অনুশীলন করছি এমন একটি ছবি তোলা।
পাপ্পু হোসেন জানান, বড় ভাই সুজনের মতো আমারও স্বপ্ন মামা-ভাগ্নে তিনজন মিলে জাতীয় দলে খেলার।
২০১৩ সাল থেকে জাতীয় দলে খেলা পাপ্পু ও সুজনের মামা সোহেল রানা জানান, আমি দুই বার পাপ্পুকে জাতীয় দলে পেয়েছিলাম। কিন্তু সুজনকে এখনো পায়নি। আমিও চাই তিনজন মিলে জাতীয় দলে খেলতে।
ুআরামবাগ বালুর মাঠ থেকে কোচ ইব্রাহিম খলিল ওরফে কালার কাছে ফুটবলে হাতেখড়ি মামা-ভাগ্নের। এই কালার হাত ধরেই ফুটবলে আসা জাতীয় দলের সাবেক স্ট্রাইকার মোহাম্মদ জুয়েলের।


আরো সংবাদ



premium cement