অগ্রজ বিপিএলে অনুজ বিসিএলে
- রফিকুল হায়দার ফরহাদ
- ২১ মে ২০২৪, ০০:০৫
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে পাঁচ ভাই-ই খেলেছে। বড় ভাই লিটন খানের পর একে একে পেশাদার লিগ খেলেন জাহিদ হোসেন এমিলি, শাকিল আহমেদ, ফয়সাল হোসেন এমেকা ও সাব্বির। তিন ভাই আরিফ খান জয়, অমিত খান শুভ্র ও মাসুদ খান জনিও পেশাদার লিগে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। জাতীয় দলের সাদউদ্দিন ও তাজউদ্দিন খেলছেন যথাক্রমে বসুন্ধরা কিংস ও শেখ জামালে। এবার আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে দুই ভাই ছিলেন দুই দলের পোস্টের নিচে। মোহামেডানের গোলরক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন সুজন হোসেন। আর আবাহনীর পোস্টের নিচে পাপ্পু হোসেন। চলমান মহিলা লিগে দুই দলের ডাগ আউটে দাঁড়িয়ে রেকর্ড গড়েছেন গোলাম রাব্বানী ছোটন ও গোলাম রায়হান বাপন। ছোটন আর্মি স্পোর্টস ক্লাবের কোচ। আতাউর রহমান কলেক স্পোর্টিং ক্লাবের দায়িত্বে বাপন । এবারের বিপিএল-বিসিএলে কোচিং করিয়ে নতুনত্বের জন্ম দিয়েছেন দুই ভাই সাইফুর রহমান মনি ও শাহানুর রহমান রনি। মনি তিন ম্যাচের জন্য বাংলাদেশ পেশাদার লিগের ক্লাব লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ডাগ আউটে দাঁড়ান। আর রনি ছিলেন এবারের বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে পিডব্লিউডির কোচ।
ক্লাবগুলোতে লাইসেন্সধারী কোচদের দায়িত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে বাফুফে তথা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের বাধ্যবাদকতা। তাই শিক্ষিত ফুটবলাররা এখন কোচিংয়ে আসছেন। সেই ধারাক্রমে জাতীয় দলের দুই সাবেক ফুটবলার মনি ও রনি এখন কোচিংয়ে। রনি অবশ্য সিনিয়র জাতীয় দলে খেলতে পারেননি। বয়সভিত্তিক জাতীয় দলেই লাল-সবুজ জার্সি গায়ে তুলেছেন। মনি ২০০৩ সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের সদস্য। রনি আরো একটি স্থানে বড় ভাইয়ের চেয়ে পিছিয়ে। মনি অনূর্ধ্ব-১৬ জাতীয় দলে কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। রনি এখনো জাতীয় দলকে কোচিং করানোর সুযোগ পাননি।
সাবেক রাইট ব্যাক রনি এবারই প্রথম বিসিএলে কোচিং করান। অন্য দিকে মনি দুই মৌসুম আগেই বিসিএলে কোচিং করিয়েছিলেন। প্রথমে আজমপুর ফুটবল ক্লাব উত্তরার কোচ ছিলেন। এরপর গোপালগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবের দায়িত্বে। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৬ সাফ ফুটবলে বাংলাদেশ দলকে ফাইনালে তোলেন মনি। এর আগে মনি দ্বিতীয় বিভাগে চ্যাম্পিয়ন করান সাইফ স্পোর্টিং যুব দলকে। এবার তিন ম্যাচের জন্য তিনি বিপিএলের ক্লাব শেখ জামালের কোচ ছিলেন। তার অধীনে ফেডারেশন কাপে শেখ জামাল ৪-১ গোলে রহমতগঞ্জকে হারায়। এরপর বিপিএলে তার অধীনে ২-০ গোলে জয় ব্রাদার্সের বিপক্ষে। পরে বসুন্ধরা কিংসের কাছে ০-৩ গোলে হার। এ হারের জন্য মনি দায়ী করেন রেফারিকে। তার দেয়া তথ্য, ওই বাজে ম্যাচ পরিচালনার পর শাস্তি হয় সেই রেফারির।
‘এ’ লাইসেন্সধারী কোচ মনি জাতীয় দলে খেলেন ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত। এ ছাড়া রহমতগঞ্জ ও মুক্তিযোদ্ধায় তার ফুটবল ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময়ই ব্যয় হয়। ‘বি’ লাইসেন্সধারী রনি রহমতগঞ্জ, মুক্তিযোদ্ধা, মোহামেডান ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের জার্সি গায়ে তোলেন। ১৯৯৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৬, ২০০২ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে এবং ২০০৪ সালে অনূর্ধ্ব-২৩ দলে খেলেছেন। বর্তমানে বুয়েটে চাকরিরত রনি এখন পর্যন্ত কোনো দলের হেড কোচ হতে পারেননি। ২০২১-২২ সালে তিনি দ্বিতীয় বিভাগের দল লিটিল ফ্রেন্ডসের সহকারী কোচ ছিলেন। রনি তখন বিকেএসপির কোচ। বিকেএসপির খেলোয়াড় নিয়েই দল গড়েছিল লিটিল ফ্রেন্ডস। আর এবার ছিলেন পিডব্লিউডির সহকারী কোচ। হেড কোচ ছিলেন আনোয়ার হোসেন।
দুই ভাই এবার দুই ভিন্ন বিভাগে কোচিং করালেও এক সাথে একই ক্লাবে খেলেছেন। মনির দেয়া তথ্য, ২০০০-২০০১ সালে আমরা দুই ভাই একত্রে রহমতগঞ্জে খেলেছিলাম। এরপর মুক্তিযোদ্ধায় এক সাথে খেলেছি।
দুই ভাই এক সাথে পেশাদার লিগে কোচিং করানো প্রসঙ্গে সাইফুর রহমান মনির জবাব, এটা সত্যিই ভালো লাগছে যে আমরা দুই ভাই বিপিএল এবং বিসিএলে কোচিং করিয়েছি। এই পথ চলায় হয়তো এক সময় এক ম্যাচেই দুই ভাইকে ভিন্ন দুই ডাগ আউটে দেখা যাবে।’ রনির মতে, এটা খুবই মজার বিষয় যে আমরা দুই ভাই পেশাদার লিগের দুই ক্লাবে কোচিং করিয়েছি। এখন আমার লক্ষ্য বড় ভাইয়ের মতো জাতীয় দলেও কোচিং করানো।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা