এক অধ্যায়ের যবনিকা!
- জসিম উদ্দিন রানা
- ১৯ মে ২০২৪, ০০:০৫
আর মাত্র ১০ দিন। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হবে ব্যাটে-বলের সেই লড়াই। যেখানে চার-ছক্কার জোর যার বেশি, দাপটটাও তাদেরই বেশি। আর তাই এবার আসন্ন এই টি-২০ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রতিটি দলই তাদের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়েই দল সাজিয়েছে। ২০ দলের এই টুর্নামেন্টে ১৯তম দল হিসেবে গত মঙ্গলবার দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ। যেখানে অভিজ্ঞদের সাথে তারুণ্যের মিশেলে সাজানো হয়েছে এবারের স্কোয়াড।
এবারের টাইগারদের বিশ্বকাপ দলের কিছু প্লেয়ারের জন্য হতে চলেছে নিজেদের ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। যেমন, দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও সাইলেন্ট কিলার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দু’জনই হয়তো বাংলাদেশের জার্সিতে নিজেদের ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে চলেছেন এটি প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে প্রায় সবখানেই চলছে এ নিয়ে আলোচনা। শুধু তাই নয়, তারা আন্তর্জাতিক কোন ট্রফি না জেতায় অনেকে আবেগী পোস্ট ও করেছেন। আগেই অবসরে গেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুশফিকুর রহীম ও তামিম ইকবাল।
অধিনায়ক শান্তও বলেছেন যে, ধারণা করা হচ্ছে এটিই তাদের শেষ বিশ্বকাপ। শান্তর ভাষ্য, ‘আমি নিশ্চিত নই, এটি সাকিব ও মাহমুদুল্লাহর শেষ বিশ্বকাপ কি না; কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন তারা। এ জন্য আমরা তরুণ খেলোয়াড়রা তাদের ভালো কিছু উপহার দিতে চাই। এটি অবশ্যই তরুণ খেলোয়াড়দের গুরুদায়িত্ব।’
আসন্ন এই বিশ্বকাপের মধ্য দিয়ে দেশের ক্রিকেটের এই দুই মহাতারকা কিছু রেকর্ড ও গড়ছেন। যেমন- সাকিব আল হাসান। বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে সব ক’টি টি-২০ বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের এই তারকা। ২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই ফরম্যাটের সব বিশ্বকাপেই ছিলেন সাকিব। এমনকি ২০১০ এবং ২০২২ আসরে পালন করেছেন অধিনায়কের দায়িত্বও।
অন্যদিকে বাংলাদেশের আরেক তারকা খেলোয়াড় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এক আসর বিরতি দিয়ে আবারও ফিরেছেন টি-২০ বিশ্বকাপের মঞ্চে। তবে ২০২২ সালের আসরে অংশগ্রহণ না করায় সাকিবের সাথে রেকর্ডবুকে জায়গা করে নিতে পারেননি। এ দিকে সাকিব ছাড়া এমন রেকর্ডে নিজের নাম লিখিয়েছেন কেবল রোহিত শর্মা। ৯ বিশ্বকাপের সব ক’টিতেই রয়েছেন এই দুই তারকা।
অন্য দিকে তাদের চেয়ে মাত্র একটা বিশ্বকাপ কম খেলেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক ছিলেন রিয়াদ। আর ২০২১ সালে খেলেছেন অধিনায়ক হিসেবে। নাজমুল হোসেন শান্ত ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুই ম্যাচে দায়িত্ব পেলেও, বৈশ্বিকপর্যায়ে এটাই তার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। আর তাসকিন আহমেদ চলতি বছরের বিপিএলে দুর্দান্ত ঢাকার অধিনায়ক হয়েছিলেন। সেটিও অবশ্য কয়েক ম্যাচ যাওয়ার পর।
তাই বলা যায়, এই বিশ্বকাপে তারুণ্যনির্ভর দল পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। এমনকি এই তারুণ্যের মিছিলে আছেন এমন ছয় মুখ যারা কখনোই টি-২০ বিশ্বকাপে যাননি। তারা হলেন- ওপেনিং ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম, ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়, উইকেটরক্ষক জাকের আলী অনিক, দুই স্পিনার তানভীর ইসলাম ও রিশাদ হোসেন এবং পেসার তানজিম হাসান সাকিব। তানজিদ গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছেন সব ক’টি ম্যাচ। তানজিম সাকিব সুযোগ পেয়েছিলেন দুই ম্যাচে। হৃদয় বিগত দুই বছরে বাংলাদেশ দলের নিয়মিত পারফর্মার। ২০২৩ বিশ্বকাপেও ছিলেন তিনি। তবে বাকি তিনজনের এটাই দেশের জার্সিতে প্রথম বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট।
দ্বিতীয়বারের মতো ২০ ওভারের বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার শেখ মাহেদী হাসান। লিটন দাস ও শরীফুল ইসলাম খেলতে যাচ্ছেন নিজেদের তৃতীয় বিশ্বকাপ। আর সৌম্য সরকার ও মোস্তাফিজের এটি চতুর্থ বিশ্বকাপ। অধিনায়ক হিসেবে শান্তর এটাই প্রথম বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট। আর সহ-অধিনায়ক হিসেবে তাসকিনের প্রথম। তবে খেলোয়াড় হিসেবে ২০১৪ সাল থেকেই টি-২০ বিশ্বকাপের নিয়মিত মুখ তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা