খেলা শেষেও আলাদা অনুশীলনে সাকিব
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ১৩ মে ২০২৪, ০০:০৫
জিম্বাবুয়েকে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়ে তখন ট্রফি নিয়ে উদযাপনে ব্যস্ত বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। তখন সাকিব আল হাসান ব্যাট-প্যাড নিয়ে ছুটলেন সেন্টার উইকেটের দিকে। সিরিজ জয় উদযাপনের চেয়ে ব্যাটিং অনুশীলনকে এগিয়ে রাখলেন। অনুশীলনের প্রতি যদি সাকিবের এতটাই আগ্রহ হবে তবে কেন দলীয় অনুশীলনে থাকেননি। কিংবা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে কেনই বা জিম্বাবুয়ে সিরিজে যোগ না দিয়ে খেললেন ডিপিএল (ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ)।
ব্যাট হাতে সব সংস্করণে যার রয়েছে ১৪ হাজার ৪৭৯ রান। টেস্টে ৪৫০৫ রান, ওয়ানডেতে ৭৫৭০ এবং টি-২০ তে ২৪০৪ রান। বল হাতে সব সংস্করণে ৬৯৯ উইকেট শিকার করেন। আর মাত্র এক উইকেট পেলে ৭০০ উইকেটের মাইফলকে পৌঁছাবেন। টেস্টে ২৩৭, ওয়ানডেতে ৩১৭ এবং সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ১৪৫ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন। এমন একজন দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলে বোলিংয়ে পুষিয়ে দিতে পারবেন আর বল হাতে ব্যর্থ হলে ব্যাটিংয়ে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি সিরিজে ব্যাট হাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। সিরিজের চতুর্থ ও পঞ্চম ম্যাচে মাঠে নেমে যথাক্রমে ১ ও ২১ রান আসে তার ব্যাটে। তাই ম্যাচ শেষ হতেই ব্যাটিং অনুশীলনে মনোযোগী। জুনে যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় টি-২০ বিশ্বকাপের আগে নিজেকে প্রস্তুত করতে চান তিনি। পুরস্কার বিতরণ শেষে ট্রফি নিয়ে তখন দলীয় ছবি তোলার পালা। অন্যদের গায়ে অনুশীলন পোশাক থাকলেও ফটোসেশনে এলেন মূল জার্সি গায়ে, তার পায়ে ব্যাটিং প্যাড।
সতীর্থরা ড্রেসিং রুমে ফেরার পর ব্যাট, হেলমেট নিয়ে সেন্টার উইকেটে ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প ও বিসিবির এক টিমবয়কে সাথে নিয়ে দুই দফায় তিনি প্রায় ঘণ্টাখানেক অনুশীলন করেছেন সাকিব। বিভিন্ন স্টান্স ও হেড পজিশনে ঝালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছেন।
বল হাতে অবশ্য উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব। চতুর্থ ম্যাচে শেষ ওভারে দুই উইকেট নিয়ে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন। সবমিলিয়ে দুই ম্যাচে ঝুলিতে পুরেছেন পাঁচ উইকেট। ওভারপ্রতি ছয়ের নিচে রেখেছেন ইকোনমি রেট।
গত বছর থেকে বয়ে চলা চোখের সমস্যার প্রভাব এই সিরিজেও ফুটে উঠেছে। দু’টি ম্যাচেই তার ব্যাটিং স্টান্স ও হেড পজিশন ছিল নড়বড়ে। অনুশীলনের প্রয়োজনীয়তা হয়তো অনুভব করেছেন সাকিব নিজেই। পুরস্কার বিতরণের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হতেই ব্যাটিং অনুশীলনে নেমে যান তিনি। প্রথম দফায় প্রায় ৪০ মিনিট থ্রো ডাউনে ব্যাটিং করেন। নেট সেশন শুরুর আগে শান্তর সাথে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন। কয়েকটি ভিন্ন স্টান্সে ব্যাটিং করেন। প্রথম দফায় লম্বা সময় ব্যাট করে ১৫ মিনিট বিরতি নিয়ে দ্বিতীয় দফায়ও ১৫ মিনিটের বেশি অনুশীলন করেন। কখনো সামনের পায়ে বেশি ভর দিয়ে চেষ্টা করেন শট খেলার। কখনো পেছনের পা একই জায়গায় আটকে রেখে খেলেন অফ সাইডের বল। তবে হেড পজিশন নিয়ে তাকে খুব স্বস্তিতে দেখা যায়নি। চোখের সমস্যার পর থেকেই এই পরিবর্তন।
বিপিএল শেষে ডিপিএলে তিন ম্যাচ খেলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দলে যোগ দেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। দুই ইনিংসে করেন ১৫ ও ৩৬ রান। এরপর জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরু থেকে না খেলে প্রিমিয়ার লিগে খেলেন তিনটি ম্যাচ। আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে খেলেন ৪৯ রানের ইনিংস। পরের ম্যাচে প্রায় পাঁচ বছর পর পান সেঞ্চুরির দেখা। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ৯ চার ও ৭ ছক্কায় খেলেন ৭৯ বলে ১০৭ রানের ইনিংস। সেদিন পেসারদের বলে নেন ২৭ রান। আর স্পিনের বিপক্ষে ৫২ বলে করেন ৮২ রান। কিন্তু টি-২০ সিরিজে সেই ছন্দ ছিল না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা