১১ বছর পর ফাইনালে বরুশিয়া
- ক্রীড়া ডেস্ক
- ০৯ মে ২০২৪, ০০:০৫
বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে ১-০ গোলে হেরেছিল পিএসজি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে নিজেদের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে লড়াইয়ে ফিরতে যেকোনো মূল্যে প্রয়োজন ছিল গোল। প্রথম লেগের প্রতিশোধ তো নেয়া হলোই না, উল্টো আবার পরাজয়। গত পরশু ০-১ এ হেরেছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। দুই লেগ মিলে ০-২ গোলে পিছিয়ে সেমিফাইনাল থেকেই ছিটকে গেল পিএসজি। আর ১১ বছর পর ফাইনালে জায়গা করে নিলো জার্মান ক্লাব বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
২০১২-১৩ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অল জার্মান ক্লাবের মধ্যে হয়েছিল ফাইনাল। সেবার বুরুশিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল বায়ার্ন মিউনিখ। যদি গত রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে বুরুশিয়া জয়ী হয়, তাহলে আবার ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে দেখা যাবে জার্মানের দুই ক্লাব বুরুশিয়া ও বায়ার্নকে। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে সেই ফাইনালে অবশ্য বরুশিয়াকে ২-১-এ হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছিল বাভারিয়ানরা। যদি এমনটাই হয়, তাহলে আগামী জানুয়ারির ১ তারিখে সেই ওয়েম্বলিতেই ফাইনালে দেখা হবে এই দুই দলের।
সিগন্যাল ইদুনা পার্কে নিকোলাস ফ্লুকরোগের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর প্যারিসে গত পরশু সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে ম্যাটস হুমেলসের গোল। দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে আগামী ১ জুন ওয়েম্বলিতে বায়ার্ন অথবা রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে ডর্টমুন্ড। ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ১৯৯৭ সালে ইতালির ক্লাব জুভেন্টাসকে হারিয়ে একমাত্র শিরোপা জয় ছিল বুরুশিয়ার।
বুন্দেসলিগায় চলতি মৌসুমটা ভালো যাচ্ছে না ডর্টমুন্ডের। লিগে ইতোমধ্যে ৩২ ম্যাচ শেষে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে দলটি। হাতে রয়েছে দুই ম্যাচ। লিগে ইতোমধ্যে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয় করেছে বায়ার লেভারকুজেন। ৩২ ম্যাচ শেষে দলটির পয়েন্ট ৮৪। সমান ম্যাচে দ্বিতীয় অবস্থানে গত এগার আসরের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের পয়েন্ট ৬৯। ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে স্টুটগার্ড ও চতুর্থ অবস্থানে থাকা আরবি লিপজিগের পয়েন্ট ৬৩। আর জার্মান কাপে বুরুশিয়ার পথচলা থামে শেষ ষোলোয়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও শুরুটা ভালো ছিল না। গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে পিএসজির মাঠে হেরেছিল ২-০ গোলে। সেই মাঠেই এবার দারুণ জয়ে শেষ ধাপে পৌঁছে গেল এডিন টেরজিচের দল।
অন্যদিকে মৌসুমে এরই মধ্যে দু’টি শিরোপা জয়ের পর পিএসজি চার ট্রফির আশায় থাকলেও একটির আশা শেষ হয়ে গেল ফাইনালের আগেই। দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপ সেরার ফাইনালে খেলার আশা পূরণ হলো না তাদের। এই নিয়ে তৃতীয়বার প্রতিযোগিতাটির সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিলো ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। ২০২০ সালে ফাইনালে উঠেও স্বপ্ন পূরণ হলো না পিএসজির।
পার্ক দ্য প্রিন্সেসে শুরু থেকে দুই দলই সুযোগ তৈরি করলেও গোলরক্ষকের কঠিন পরীক্ষা নিতে পারছিল না কেউ। সেমিতে উঠতে হলে জয়ের বিকল্প ছিল না স্বাগতিদের। ৭০ ভাগ বল দখলে রেখে সেভাবে এগুচ্ছিলও লুইস এনরিকের দল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর লক্ষ্য পূরণ হলো না, ম্যাচের ৫০ মিনিটে উল্টো গোল হজম করে বসে তারা। সতীর্থের কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে হেডে গোল করে ডর্টমুন্ডকে এগিয়ে নেন ৩৫ বছর বয়সী জার্মান ডিফেন্ডার হুমেলস। প্রতিযোগিতাটির সেমিফাইনালে হুমেলসের চেয়ে (৩৫ বছর ১৪৩ দিন) বেশি বয়সে গোলের কীর্তি আছে কেবল রায়ান গিগস (৩৭ বছর ১৪৮ দিন, ২০১১ সালে) ও এডিন জেকোর (৩৭ বছর ৫৪ দিন, গত মৌসুমে)। এই গোলের ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ। রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়রা একে একে চলে যান গ্যালারিতে থাকা সমর্থকদের কাছে। মেতে ওঠেন আনন্দ-উল্লাসে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা