অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন আবাহনী
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ০৭ মে ২০২৪, ০০:২৭
শিরোপা আগেই নিশ্চিত হয়েছিল। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতার। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়ে সেটাও পূরণ করল আবাহনী লিমিটেড। এনামুল হক বিজয়ের সেঞ্চুরিতে শাইনপুকুরকে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের ২৩তম শিরোপা নিশ্চিত করল দলটি। সেই সঙ্গে লিস্ট এ ক্রিকেটের মর্যাদা পাওয়ার পর এই প্রথম অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হল কোন দল। পাশাপাশি টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতল মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বাহিনী।
এ দিকে বোলারদের নৈপুণ্যে জয় দিয়ে ডিপিএল শেষ করলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সুপার লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে মোহামেডান ৫৩ রানে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে। এই জয়ে লিগের প্রথম পর্ব ও সুপার লিগ মিলিয়ে ১৬ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে এবারের মৌসুম শেষ করলো রানার্স-আপ মোহামেডান। সমানসংখ্যক ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ গাজী গ্রুপ।
শেরে বাংলায় গতকাল জয়ের জন্য আবাহনীকে ২৩৫ রানের লক্ষ্য দেয় শাইনপুকুর। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতেই দুই উইকেট হারায় আবাহনী। নাঈম শেখ ও সাব্বির হোসেন ফেরেন দলীয় ৩০ রানে, এরপর মাজহারুল ইসলাম সাগরকে নিয়ে ৬৫ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামল দেন এনামুল হক বিজয়। তবে দলীয় ১০০’র আগে সাগর বিদায় নেন ২৩ রানে নাইম আহমেদকে উইকেট দিয়ে। সঙ্গী হারালেও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ১৫০-এর ঘরে নিয়ে যান বিজয়। নিজেও তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। তবে দলীয় ১৫৮ রানে ২৯ রান করা মোসাদ্দেক আউট হন ২৯ রানে। এরপর নাহিদুলকে নিয়ে সেঞ্চুরির পথে হাঁটতে থাকেন বিজয়। তবে দলের রান ২০০-এর আগে নাহিদুল ও রাকিবুল হাসান ফিরলেও সেঞ্চুরি তুলে নেন বিজয়। এরপর ৪৭তম ওভারের প্রথম বলে ৬ হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন বিজয়। ১২০ বলে ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটার। ৪ উইকেটের জয় নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নিশ্চিত করে দলটি।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারালেও অমিত হাসান ও খালিদ হাসান জুটিতে দলের রান পার হয় ১০০। হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি খালিদ। ৫৮ রান করে তিনি বিদায় নেন রাকিবুলের ওভারে। শাহরিয়ার সাকিবও ফেরেন দ্রুত। তবে ইরফান শুক্কুরকে নিয়ে দলকে ১৫০ পার করিয়ে সেঞ্চুরির পথে হাঁটতে থাকেন অমিত হাসান। তবে দলীয় ১৮৩ রানে পর পর দুই উইকেট হারায় শাইনপুকুর। ৭৭ রান করা অমিতের উইকেট নেন রাকিবুল। ২০০-এর আগে বিদায় নেন আরও ৩ ব্যাটার। এই ধাক্কা কোন মতে সামাল দিয়ে নীচের ব্যাটাররা ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৪ রান স্কোরবোর্ডে তোলে শাইনপুকুর।
এ দিকে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি মোহামেডানের ব্যাটাররা। ইনিংসের শুরুতে ওপেনার হাবিবুর রহমান শূন্য, অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ৯ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৬ রানে আউট হন। সতীর্থদের যাওয়া আসার মাঝে দলের রানের চাকা সচল রাখেন আরেক ওপেনার রনি তালুকদার। ৭টি চারে রনি ৩৯ রানে ফেরার পর গাজী গ্রুপের বোলারদের বিপক্ষে এক প্রান্ত আগলে লড়াই করেছেন পাঁচ নম্বরে নামা মেহেদি হাসান মিরাজ। শেষ পর্যন্ত ৭২ বলে ৩টি চার ও ২ ছক্কায় দলের সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন মিরাজ। নাইম হাসানের ২২ ও নাসুম আহমেদের ১৫ রানে দেড়শর নীচে গুটিয়ে যাবার লজ্জা থেকে রক্ষা পায় মোহামেডান। ৪৭.৩ ওভারে ১৭৬ রানে অলআউট হয় মোহামেডান। গাজী গ্রুপের ওয়াসি সিদ্দিক ৪টি ও হাবিব মেহেদি ৩টি উইকেট নেন।
জবাবে মোহামেডানের বোলারদের দারুন নৈপুণ্যে ৩২.১ ওভারে ১২৩ রানে অলআউট হয় গাজী গ্রুপ। আট নম্বরে নামা মাসুম খানের ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে। মোহামেডানের নাইম হাসান ৩টি, নাসুম-মিরাজ ও মুশফিক হাসান ২টি করে উইকেট নেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা