৪৪১ গোলের প্রথম পর্ব
- জসিম উদ্দিন রানা
- ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
গ্রুপ পর্বে সর্বমোট গোল হয়েছে ৪৪১টি। সবচেয়ে বেশি ৭৮ গোল দিয়েছে মেরিনার্স। সবচেয়ে কম ১৪ গোল দিয়েছে আজাদ স্পোর্টিং। সবচেয়ে বেশি ৮১ গোল খেয়েছে দিলকুশা। সবচেয়ে কম ১১ গোল হজম করেছে আবাহনী। যাদের অর্জন ১০ ম্যাচে মাত্র একটি ড্রতে এক পয়েন্ট। সোনালী ব্যাংক নেই বিধায় এবার কোনো রেলিগেশন নেই।
অন্যান্য ক্ষেত্রে বেশি গোল দিলেই সাধারণত এগিয়ে থাকে দল। ব্যতিক্রম হকিতে। মুলত বর্তমানে ক্রীড়ার সব ডিসিপ্লিনের ঊর্ধ্বে অবস্থান করছে হকি। সেটি অবশ্য খারাপ অর্থে। প্রথমত, সময় না মানা; দ্বিতীয়ত, ডিসিপ্লিন; তৃতীয়ত, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের অভাব; চতুর্থত, আইন না মানার প্রবণতা। যারা চলতি প্রিমিয়ার লিগ দেখতে গেছেন বা কাভার করতে গিয়েছেন তারা একটি ম্যাচও নির্দিষ্ট সময়ে শেষ দেখে আসতে পারেননি। চার কোয়ার্টারে ১৫ মিনিট করে এক ঘণ্টা এবং বিরতি নিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ মিনিটে একটি ম্যাচও শেষ করতে পারেনি ক্লাব। সময়ক্ষেপণ এতটা ধৃষ্টতায় পৌঁছেছে যে সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টা ৪০ মিনিট লেগেছে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ শেষ হতে। আর মেরিনার্স-মোহামেডান ম্যাচ শেষ হতে সময় লেগেছে পাক্কা আড়াই ঘণ্টা।
দেশীয় আন্তর্জাতিক আম্পায়ারেও ক্লাবগুলোর অনাস্থা থাকায় বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন (বাহফে) দুইজন বিদেশী (শ্রীলঙ্কা ও মালয়েশিয়া) আম্পায়ার নিয়ে আসে। কিন্তু কে শুনে কার কথা। শেষ দিকে এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, কোনো কারণ ছাড়াই আম্পায়ারের সাথে তর্ক করেছে খেলোয়াড়রা। টেন্টে থাকা স্বক্লাবের কর্তাদেরও পরোয়া করেনি খেলোয়াড়রা। কোন কোন ক্লাবের অফিসিয়ালরা টেন্টে থেকেই উসকানি দিয়েছেন, আবার কেউ কেউ থামাতে চেষ্টা করেছেন, নমনীয় হয়েছেন এই ভেবে যে, খেলাটা হোক। তবে এবার সবচেয়ে বেশি ছাড় দেয়ার চেষ্টা করেছে শীর্ষ চার ক্লাবের একটি।
এবার নতুনভাবে আলোচনায় এসেছে আম্পায়ার শিডিউল। নির্দিস্ট সময়ে মাঠে উপস্থিত থাকতে পারেনি আম্পায়াররা। একবার ১০ মিনিট আরেকবার ২০ মিনিট খেলা দেরিতে শুরু হয়েছে। সুপার সিক্সের শিডিউল আগে তৈরি করা থাকলেও প্রথম পর্বের পর সেটিও পরিবর্তন করা হয়েছে। লিগের শুরু থেকে প্রথম পর্বের শেষ পর্যন্ত লিগ কমিটির সেক্রেটারি দায়িত্ব নিয়ে কোনো বিষয় শেষ করতে পারেননি। তবে বাহফে সেক্রেটারি যখন মাঠে গেছেন তখন তাকে পাশাপাশি দেখা গেছে।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মেরিনার্স ১০ খেলায় ৭ জয় ১ ড্র দুই হারে ২২ পয়েন্ট নিয়ে সুপার সিক্সে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। অথচ তারা দিয়েছেন লিগের সর্বোচ্চ ৭৮ গোল, হজম করেছে ২৪ টি। ৯ ম্যাচ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা আবাহনীকেও শেষ ম্যাচে হারের স্বাদ দিয়েছে মেরিনার্স। শুরু থেকে শীর্ষে থাকা আবাহনী এক পরাজয়ে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান দুইয়ে। তারা প্রতিপক্ষে বল পাঠিয়েছে ৬০ বার। আর হজম করেছে ১১ টি গোল। তারাই সবচেয়ে কম গোল হজম করেছে। এক্ষেত্রে তাদের গোলকিপার সজীবুর রহমান ও বিপ্লব কুজুর আলাদা ধন্যবাদ পেতেই পারেন। আবাহনীর হারে মোহামেডান ৮ জয় দুই ড্রয়ে অপরাজিত থেকে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে যায়। তারা দিয়েছে ৫৩ গোল, খেয়েছে ১৭ গোল। তৃতীয় স্থানে থাকা ঊষা ক্রীড়া চক্রও কম যায়নি। ২৫ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনীর সাথেই ছিল। শুধু গোল এক গোলের পার্থক্যে পিছিয়ে যায়। তারা দিয়েছে ৫৯ গোল আর খেয়েছে ১৭ গোল। এ ছাড়া ১৭ পয়েন্টে পঞ্চম স্থানে থাকা পুলিশও দিয়েছে ৪৭ গোল। হজম করেছে ২৩ টি। সাধারণ বীমাক টপকে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ দল হিসেবে সুপার সিক্সে ওঠা অ্যাজাক্স ৩৩ গোল দিয়ে হজম করেছে ৩৪ গোল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা