১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ব্যর্থতার পাল্লা ভারী হচ্ছে লিটনের

-


প্রথম বল ডট। দ্বিতীয় বলে মারলেন চার। তৃতীয় বলেই সাজঘরে।
লঙ্কানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে রানের খাতা না খুলেই ফেরেন সাজঘরে। এতে জায়গা হারান তৃতীয় ওয়ানডের দল থেকে। সাদা বলে ধারাবাহিক ব্যর্থতার সূত্র ধরেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিসিবির নির্বাচকরা। তবে ওয়ানডের পর টেস্ট সিরিজে আরও একবার লিটন দাসে আস্থা রাখেন স্বাগতিকরা। সেখানেও লিটন আবারো ব্যর্থ।
সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৫ রানের দ্বিতীয় ইনিংসে করেন শূন্য। এতে তার একাদশে থাকা নিয়ে ফের শুরু হয় সমালোচনা। তবে টাইগার সহকারী কোচ নিক পোথাস সিরিজে আস্থা রাখতে চান লিটনের ওপরেই। এতে আগেই বোঝা গিয়েছিল চট্টগ্রাম টেস্টের একাদশেও দেখা মিলবে লিটনের। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। এবং ম্যানেজমেন্টকে সেখানে আরও একবার হতাশ করলো এই ডানহাতি ব্যাটার।
তৃতীয় দিনের শুরুটা ভালো হলেও মাঝে ৯ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেই চাপ সামলাতে মুমিনুলকে নিয়ে এগোন সাকিব আল হাসান। তবে বেশিক্ষণ টিকলেন না প্রায় বছর খানেক পর লাল বলের ক্রিকেটে ফেরা এই অলরাউন্ডার। গত বছরের এপ্রিলে সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন সাকিব আল হাসান। এরপর আর সাদা পোশাকে দেখা যায়নি টাইগার এই তারকাকে। তবে চলমান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে আবারও টেস্ট দলে ফিরেছিলেন সাকিব।
দলে ফেরার পর প্রথম ইনিংসে বল হাতে সাফল্য পেলেও ব্যর্থ ছিলেন ব্যাট হাতে। প্রথম ইনিংসে বল হাতে সাকিব তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। তবে ব্যাট হাতে টাইগার এই ক্রিকেটার করতে পেরেছেন মোটে ১৫ রান। ক্রিজে এসে সাবলীলভাবে ব্যাট করতে থাকলেও লঙ্কান পেসার আসিথা ফার্নান্দোর বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন সাকিব। ফলে থিতু হয়েও দ্রুত বিদায় নিতে হয় টাইগার এই অলরাউন্ডারকে।

ফের ব্যর্থ শান্ত
গত মাসেই বাংলাদেশ দলের তিন ফরম্যাটের নেতৃত্বের ভার পেয়েছিলের নাজমুল হোসেন শান্ত। সাকিব আল হাসানের দায়িত্ব ছাড়ায় নতুন করে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। দায়িত্ব পাওয়ার পর শান্তর সামনে ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ। যেখানে সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছিল ৩২৮ রানে। সেই টেস্টের দুই ইনিংসেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন শান্ত। দুই ইনিংস মিলে করেছিলেন মোটে ১১ রান। সেই হতাশাজনক পারফর্ম করার পর ব্যাট হাতে আবারো ব্যর্থ টাইগার এই অধিনায়ক।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে গতকাল ব্যাট হাতে ১ রান করেন শান্ত। দলের হয়ে যখন বড় রান করার কথা টাইগার ব্যাটারের, তখনই ব্যাট হাতে রান করতে পারলেন না শান্ত। এর পর দ্রুত ফিরে গেছেন তাইজুল ইসলামও। চট্টগ্রাম টেস্টেও তাই বড় রকমের বিপর্যয়ে বাংলাদেশ।
অবশ্য চট্টগ্রামের মাঠই শান্তর জন্য এক প্রকার রানের বধ্যভূমি। ক্যারিয়ারের ৫০ ইনিংসে ১ হাজার ৪৬০ রান করা শান্ত রীতিমত ধুঁকেছেন এই মাঠে এসে। শান্তর ক্যারিয়ার গড় যেখানে ২৯.৮০, সেটাই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নেমে এসেছে ১৫.২৯ এ।
এখন পর্যন্ত ৩ ফিফটি এবং ৫ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ক্যারিয়ারে। যার অর্থ টেস্টে অন্তত ফিফটিকে ১০০তে পরিণত করার ক্ষমতা আছে শান্তর। কিন্তু চট্টগ্রামে এসে কেবল একবারই ৫০ পেরুতে পেরেছেন তিনি। সেঞ্চুরি নেই। আর ক্যারিয়ারের ৭ ডাকের মধ্যে ৩বারই ডাক মেরেছেন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।


আরো সংবাদ



premium cement