লিড ৫০০ হলেই খুশি লঙ্কানরা
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৬
সিলেট টেস্টে বাংলাদেকে ৫১১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। যে রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৮২ রানে। স্বাগতিকরা ম্যাচ হেরেছিল ৩২৮ রানে। সিলেটের পর চট্টগ্রাম টেস্টও এগোচ্ছে একই পথে। বাংলাদেশের আরেকটি ব্যাটিং ব্যর্থতায় শ্রীলঙ্কা ছড়ি ঘুরাচ্ছে। সফরকারীদের ৫৩১ রানের জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অলআউট মাত্র ১৭৮ রানে। ৩৫৩ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে লঙ্কানরা ব্যাটিং ধসে পড়লেও ৬ উইকেটে তাদের রান ১০২। সব মিলিয়ে লিড ৪৫৫ রান। লঙ্কানদের পেস বোলিং কোচ দরশনা গামাগি জানান, ৫০০ রানের লিড হলেই তারা খুশি।
হাসান মাহমুদের ৪ ও সৈয়দ খালেদের ২ উইকেটে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণভাবে ফিরে এলেও ব্যাটিং নিয়ে বড় আশা করা যাচ্ছে না। শ্রীলঙ্কা কত রানে নিরাপদ? জানতে চাইলে গামাগি বলেন, ‘আমাদেরকে আরো ৫০-৬০ রান করতে হবে। দলীয় ৫০০ রান হলে আমরা ভালো অবস্থানে থাকব।’
নিজেদের পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এই টেস্টে এখনো ছয় সেশন বাকি আছে। আমরা আগামীকাল (আজ) প্রথম সেশনে যতটা সম্ভব রান করার চেষ্টা করব। আমাদের সাড়ে চার শ’র বেশি রান জমা আছে। আরো ৫০ রান হলে আমাদের লিড পাঁচ শ’ ছাড়াবে। আমরা যদি প্রথম সেশন ব্যাটিং করতে পারি তারপর তাদেরকে অলআউট করতে পাঁচ সেশন পাবো। পাশাপাশি পেসাররা পর্যাপ্ত বিশ্রামের সময় পাবে। তারা যখন ফিরবে সতেজ হয়েই ফিরবে।’
বাংলাদেশকে ফলো অনের সুযোগ পেয়েও কেন করায়নি শ্রীলঙ্কা? উত্তরে গামাগি জানালেন, ‘মূল বিষয়টা হচ্ছে আমরা বোলারদের বিশ্রাম দিতে চেয়েছিলাম কারণ টেস্টের দু’দিন এখনো বাকি রয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের কিভাবে কাজে লাগাতে পারি আমাদের ভাবনাতেই ছিল তা।’
চট্টগ্রামের ব্যাটিং-বান্ধব উইকেটেও ১৫ উইকেট পড়েছে। বাংলাদেশের ৯ উইকেটের পর শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট। যেখানে পেসাররা পেয়েছেন ১৪ উইকেট। শ্রীলঙ্কার আসিথা ফার্নান্দো পেয়েছেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন বিশ্ব ফার্নান্দো ও লাহিরু কুমারা। দুই দলের পেসারদের নিয়ে এই কোচের মন্তব্য, ‘আপনি যদি দুই দলের পেসারদের দিকে তাকান দেখবেন প্রত্যেকেই ভালো বোলিং করেছে। সঠিক জায়গায় লম্বা সময় ধরে বোলিং করেছে।’
টেস্ট ক্রিকেটে বোলিংয়ে সাফল্যের জন্য শৃঙ্খলার বিকল্প নেই জানিয়ে গামাগি আরো বলেছেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে সবসময়ই পরিকল্পনা থাকে শৃঙ্খল থাকা। ব্যাটসম্যানদের নিয়ে পরিকল্পনার আগে আমাদের মনোযোগ থাকে শৃঙ্খল বোলিংয়ে। আমরা ফিল্ডিং কোথায় রাখব। কোথায় বল করব ধারাবাহিকভাবে। দুই টেস্টেই যদি দেখেন আমাদের সিমাররা দ্রুত মানিয়ে নিয়েছে। এই ম্যাচের আগেও আমরা নিজেদের প্রস্তুতির বড় অংশজুড়ে শৃঙ্খলা নিয়ে কাজ করেছি।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা