দেশী কোচ বলেই বাড়তি চাপে জলিল-সুবিমল
- রফিকুল হায়দার ফরহাদ
- ৩১ মার্চ ২০২৪, ০০:০৫
একসময় এশিয়ান গেমস মানেই ছিল বক্সিংয়ে বাংলাদেশের পদক। রৌপ্য-ব্রোঞ্জ সব পদকই জেতা তাদের। পুরুষ দলের পর মহিলা কাবাডি দলই পদক জিতে আসছিল; কিন্তু এখন সব পদকই খোয়া গেছে। গত বছর হ্যাংজু এশিয়ান গেমসে পুরুষ ও মহিলা কাবাডি দলের কাছে প্রত্যাশা ছিল বেশি। পুরুষ দল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাবাডিতে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয় করায় তাদের কাছে চাওয়া ছিল বেশি। সাথে ছিল দুই দলেই বিদেশী (ভারতীয়) কোচ। তবে দুই বিভাগেই চরম হতাশা। কোনো পদক ছাড়াই চীন থেকে ফেরা। ভারতীয় কোচ সাজুরাম গয়াত এবং রেড্ডী অসুস্থতার জন্য চলে যাওয়ায় নিম্ন মানের ভারতীয় কোচ দুই দলের দায়িত্ব নিয়ে দলকে ডোবান। ফলে এখন কাবাডি ফেডারেশন কর্মকর্তাদের বোধোদয়। তাই তারা দেশী কোচদের ওপরই আস্থা রেখেছেন। ফলে আগামী মাসে নেপালের টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার জন্য মহিলা দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আবদুল জলিলকে। আর পুরুষ দলের কোচ সুবিমল চন্দ্র দাস। পুরুষ দল খেলবে এপ্রিল বা মে মাসের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে। এখন ফের বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব পেয়ে সাফল্য পাওয়াটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে অভিজ্ঞ এই দুই কোচ। সাথে চাপেও আছেন তারা।
জলিল এবং সুবিমল। দুইজনেরই আছে এশিয়ান গেমসে কোচ হিসেবে বাংলাদেশ দলকে পদক এনে দেয়ার কৃতিত্ব। ফলে ২০১৬ সালের পর ফের পুরুষ ও মহিলা দলের হেড কোচের দায়িত্বে বাংলাদেশী। তবে পুরুষ দলের চেয়ে মহিলা দলের অনুশীলনের সময়টা কম। তার ওপর এশিয়ান গেমসে খেলা দল থেকে দুইজন বাদ পড়েছেন। একজন ইনজুরিতে। অপরজনের বিয়ে হয়ে গেছে। অনুশীলনে সময় কম পাওয়ায় এখনো ফিটনেসে ঘাটতি আছে মহিলা দলের। এরপরও এদের নিয়ে নেপাল থেকে পদক আনতে চান কোচ জলিল। জানান, ‘ফেডারেশন যে আশা নিয়ে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে একজন দেশী কোচ হিসেবে আমরা যে কলাকৌশল জানি, যে মেধা আছে তা কাজে লাগিয়েই পদক জিততে চাই নেপাল থেকে।’ তার মতে, ‘সেখানে যদি একটি ব্রোঞ্জপদকও জিততে পারি তাহলে তা এই মুহূর্তের জন্য স্বর্ণপদকের সমান। কারণ মহিলা কাবাডিতে অনেক দিন ধরেই কোনো পদক নেই।’ জলিল জানান, ‘ফেডারেশন আশা নিয়েই আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। খেলোয়াড়রাও আমাকে পেয়ে উজ্জীবিত। আশা করি, নেপাল থেকে পদক নিয়ে ফিরতে পারব। ভারত এবং ইরানের মেয়েদের সাথে আমরা পারব না তবে বাকিদের হারাতে পারব।’ তবে প্রস্তুতির অভাব একটি বিষয় বলে উল্লেখ করলেন তিনি।
পুরষ দলের কোচ সুবিমল চন্দ্র দাসের বক্তব্য, এবার দেশী কোচদের ওপর আস্থা রেখেছেন কাবাডি ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। এতে আমাদের দায়িত্বটা আরো বেড়ে গেল। শতভাগ চেষ্টা করব বঙ্গবন্ধু কাপে পুরুষ দলের শিরোপা ধরে রাখার জন্য। জানান, ‘আমরা আমাদের নিজস্ব বুদ্ধি দিয়ে শক্তি দিয়ে পদকটা ধরে রাখতে চাই’।
সুবিমল ১৯৯৪ হিরোশিমা এশিয়ান গেমসে রৌপ্য জয়ী বাংলাদেশ দলের কোচ ছিলেন। তার অধীনে ২০০৬ কলম্বো এসএ গেমসে মহিলা দল প্রথমবার অংশ নিয়েই ব্রোঞ্জ জয় করে। ২০১৪ সালের ইনচন এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ জয়ী বাংলাদেশ মহিলা দলের প্রধান কোচ তিনি। ২০০৪ সালের ইসলামাবাদ এসএ গেমসে তার অধীনে ব্রোঞ্জ জয় করে বাংলাদেশ পুরুষ দল।
১৯৯৮ সালের ব্যাংকক এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ জয়ী বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ ছিলেন জলিল। ২০০২ সালের বুসান এশিয়াডে তার কোচিংয়ে রৌপ্য পায় পুরুষ কাবাডি দল। ২০০৬ দোহা এশিয়াডে ব্রোঞ্জ জয়ী বাংলাদেশ দলের কোচ তিনি। তার কোচিংয়ে ২০০৬ কলম্বো এসএ গেমস এবং ২০১০ সালের ঢাকা এসএ গেমসে ব্রোঞ্জ জয়ী বাংলাদেশ পুরুষ দল। ২০১৬ সালের শিলং-গৌহাটি এসএ গেমসে বাংলাদেশ মহিলা দল রৌপ্য জয় করে। সেই দলেরও হেড কোচ তিনি।
২০০০ সালে যুব এশিয়ান কাবাডিতে ব্রোঞ্জ জয়ী বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ তিনি। ২০০৫ সালের প্রথম এশিয়ান ওমেন কাবাডিতে বাংলাদেশকে ব্রোঞ্জ এনে দেন কোচ জলিল। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ কাবাডিতে বাংলাদেশ ব্রোঞ্জ জয় করে তার কোচিংয়ে। ২০১১ সালের কলম্বো বিচ এসএ গেমসে ব্রোঞ্জ জয়ী মহিলা দল খেলেছিল তার কোচিংয়ে। ২০০৭ সালে ম্যাকাওয়ে অনুষ্ঠিত ইনডোর মার্শাল আর্ট গেমস এবং ২০০৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে হওয়া এশিয়ান বিচ গেমসে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের ব্রোঞ্জ এনে দেয়া কোচ জলিল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা