১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

‘ব্রাদার্সকে টিকিয়ে রাখাটাই চ্যালেঞ্জ’-ওমর সিসে

-

এবিজি বসুন্ধরা গ্রুপ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ফিরেও স্বস্তিতে নেই ব্রাদার্স ইউনিয়ন। প্রথম পর্বে শেষে ভাণ্ডার মাত্র ৫ পয়েন্ট। তাই ফিরতি পর্বে নতুন ৫ বিদেশী এনেছে দলটি। সাথে নাইজেরিয়ান বংশোদ্ভূত বাংলাদেশী নাগরিকত্ব নেয়া এলিটা কিংসলে। এদের নিয়েই আজ বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে বিপিএলের ফিরতি পর্ব শুরু করতে যাচ্ছে গোপীবাগের দলটি। দলের কোচ গাম্বিয়ার ওমর সিসে। তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ কমলা রঙের জার্সিধারীদের প্রিমিয়ারে টিকিয়ে রাখা। অন্তত সে প্রত্যাশা নিয়ে তাকে আফ্রিকা থেকে উড়িয়ে আনা। ওমর সিসেও জানান, ‘আমার বড় দায়িত্ব ব্রাদার্সেকে প্রিমিয়ারে টিকিয়ে রাখা। ধরেই নিন ব্রাদার্স টিতে থাকবে প্রিমিয়ারে।’
প্রথম পর্বে খুবই বাজে ছিল এখনো বিপিএলের শিরোপার দেখা না পাওয়া ব্রাদার্স। কোনো ম্যাচেই জিততে পারেনি। জয়ের কাছে গিয়েও ম্যাচ ড্র করতে হয়েছে। এ জন্য প্রথম পর্বে কম বিদেশী থাকার কথা উল্লেখ করলেন সিসে। জানান, তখন দলে বিদেশী কম ছিল। তবে এখন আমাদের পাঁচজন বিদেশী। চারজন গাম্বিয়ান। অপর জন উজবেকিস্তানের।’ তার মতে, ‘ব্রাদার্সের স্থানীয়দের নিয়ে গড়া ফরোয়ার্ড লাইন শক্তিশালী। সুফিল, রাহুল হোসেন রাব্বীর মতো খেলোয়াড় আছে। রয়েছেন ইনসানও। তবে বাংলাদেশীদের সমন্বয়ে গড়া ডিফেন্স লাইন দুর্বল। যে কারণে প্রথম পর্বে এই রেজাল্ট। তবে এখন নতুন করে দল সাজানো হয়েছে। রক্ষণভাগকে পোক্ত করতে গাম্বিয়ান স্ট্রাইকারকে অনুশীলনে ডিফেন্স লাইনে খেলানো হয়েছে।’
গাম্বিয়া জাতীয় সহকারী কোচ ছিলেন ওমর সিসে। তা ২০১৫-১৬ মৌসুমে। এরপর দেশটির অনূর্ধ্ব-২০ দলের হেড কোচ ছিলেন। পরে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের প্রধান কোচ। সুযোগ এসেছিল গাম্বিয়া সিনিয়র জাতীয় দলে হেড কোচ হওয়ার। তবে ‘এ ’ লাইসেন্স না থাকায় সম্ভব হয়নি। ওমর জানান, আমার ‘বি’ লাইসেন্স আছে। এখন ‘এ’ লাইসেন্স করার জন্যই বাংলাদেশে আসা। মে মাসে আমি ‘এ’ লাইসেন্স কোর্স করবো। গাম্বিয়া থেকে ‘এ’ লাইসেন্স করা খুবই কঠিন।
বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ টম সেইন্টফিট গাম্বিয়ার ফুটবলকে মহাদেশের সেরা পর্যায়ে নিয়ে যান। এখন এই বেলজিয়ান আছেন ফিলিপাইন জাতীয় দলের দায়িত্বে। ওমর তথ্য দেন, টমতো আমার হাতে গড়া রেডিমেট ফুটবলার নিয়ে গাম্বিয়া জাতীয় দল চালিয়েছে। এরপর আফ্রিকান নেশসন কাপে দুর্দান্ত খেলা।’
২০১২ সালে লে. শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সহকারী কোচ হিসেবে বাংলাদেশের ফুটবলে আসা ওমর সিসের। এরপর ২০১৪ সালে ফেনী সকারের দায়িত্ব নিয়ে দলকে ইতিহাস গড়ে স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে নিয়ে নিয়ে যান। যা তার বাংলাদেশে কোচিং ক্যারিয়ারে অন্যতম সাফল্য। এখন ব্রাদার্সকে রেলিগেশন শঙ্কা মুক্ত করতে পারলে তা হবে আরেক দফা বড় সাফল্য। বলেন তিনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল