১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


প্রত্যাশার চাপে হারিয়ে যাবে না তো

-

‘দেখুন ওর বয়সটা। অনূর্ধ্ব-১৯ তার বয়স। অভিজ্ঞতায় অনেক পিছিয়ে। তাকে নিয়ে নেগেটিভ নয় ,পজিটিভ চিন্তা করতে হবে। সে অনেক প্রতিভাবান গোলরক্ষক।’ হাভিয়ার কাবরেরা, হেড কোচ জাতীয় দল। ‘ও আমাদের পরবর্তী আমিনুল। ওকে একুট সময় দিন’- হাসান আল মামুন, সহকারী কোচ বাংলাদেশ দল। ‘দুটি বছর অপেক্ষা করুন। দেখবেন ও বাংলাদেশের এক নাম্বার গোলরক্ষক হবে’- ওয়াসিমুজ্জামান, ম্যানেজার বসুন্ধরা কিংস। এই প্রশংসা জাতীয় দল ও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণকে ঘিরে। দুই দলেই তালিকার তৃতীয় গোলরক্ষক এই শ্রাবণ। কিন্তু শীর্ষ কিপারদের ইনজুরি আর সাসপেনশন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিয়েছে উঠতি এই কিপারকে। দেশ সেরা ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের হয়ে এএফসি কাপে তিনটি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। লেবাননের বিপক্ষে জাতীয় দলেও অভিষেক হয়ে গেছে টিনএজ বয়সে। একজন নবীন ফুটবলারের বিশাল মঞ্চে খেলা এবং নিজেকে প্রমাণের বিশাল সুযোগ। কিন্তু সেই সুযোগ কি কাজে লাগাতে পারছেন গত বছর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রে নিয়মিত খেলা এই কিপার। প্রতি ম্যাচেই তার দোষে গোল হজম করে চরম বিপদে পড়া। পরে সতীর্থদের কল্যাণে দলের রক্ষা। এভাবে বারবার ভুল করলে এক সময় আর কেউ তার প্রতিভা বিচারে আনবে না। চলে যেতে হবে বাতিলের খাতায়।
আনিসুর রহমান জিকো মদ কেলেঙ্কারিতে নিষিদ্ধ। ফলে জাতীয় দলের পোস্টের নিচে মিতুল মারমাই ছিলেন ভরসা। কিন্তু অস্ট্্েরলিয়ার সাথে ম্যাচের সময় থেকেই পায়ের চোট। এই ইনজুরি নিয়েই লেবাননের বিপক্ষে একাদশে ছিলেন মিতুল। চোটের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচের বিরতির পর আর মাঠে নামা হয়নি তার। ফলে দ্বিতীয়ার্ধে লাল-সবুজে অভিষেক শ্রাবণের। নেমেই করে বসলেন সর্বনাশ। তার হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়া বল পেয়ে গোল করে বসে লেবাননের ফুটবলার। ভালো খেলতে থাকা বাংলাদেশ দল এই বাজে গোল খেয়ে বেশ চাপে পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত শেখ মোরসালিনের গোলে হার এড়ানো ড্র।
বাংলাদেশ দলে খেলার আগেই বসুন্ধরা কিংসের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবলে ডেব্যু হয় শ্রাবণের। এএফসি কাপেও ভুল করে গোল খাওয়ান তিনি। এএফসি কাপে হোম ম্যাচে তার দুর্বল ক্লিয়ারেন্সেই বল পেয়ে লিড নিয়ে নেয় মোহনবাগান। এর পর রবিনহো ও ফিগেইরোর গোলে মহামূল্যবান জয় পাওয়া। মূলত বসুন্ধরার হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাই কোচ কাবরেরাকে উৎসাহিত করে তাকে লেবাননের বিপক্ষে খেলাতে। তবে এখনও নার্ভাসনেস কাটাতে পারেননি এই কিপার। মোহনবাগানের বিপক্ষে গোলটি হজমের কয়েক মিনিট আগে বক্সের বাইরে বিপক্ষ ফুটবলারের পায়ে বল জমা দেন তিনি। সে দিন সেই যাত্রায় রক্ষা পেলেও একই ভুলে আর পোস্টকে অক্ষত রাখতে পারেননি মাজিয়ার বিপক্ষে। গত পরশুর এএফসি কাপের ম্যাচে তার এই বোকামিতেই এগিয়ে যায় মালদ্বীপের ক্লাবটি। যদিও শ্রাবণের এই ব্যর্থতা ঢাকা পড়ে মিগুয়েল ফিগেইরো ও বাবুরবেগ উলদাশভের গোলে জয় পাওয়ায়।
শুধু ভুল পাসই দেন না শ্রাবণ। ক্রস থেকে আসা বলের ফ্লাইটও মিস করছেন হর হামেশাই। এ থেকেও গোল হওয়ার শঙ্কা থাকে। মোহনবাগানতো এভাবে দ্বিতীয় গোলের খুব কাছে চলে গিয়েছিল। যে সমস্যায় ক্লাব ও জাতীয় দল বারবার ভুগেছিল গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেলের কারণে। দেশে এমনিতেই গোলরক্ষক সঙ্কট। আমিনুল-বিপ্লবের পর জিকোতে আস্থা খুঁজে পাওয়া গেলেও তিনি এখন নিষিদ্ধ। তাই শ্রাবণদের অনেক দায়িত্ব পোস্টের নিচে ভরসার প্রতীক হওয়ার। তাকে চাঙ্গা রাখার দায়িত্বটা নিতে হবে সংশ্লিষ্টদের।


আরো সংবাদ



premium cement
ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফর নিয়ে যে কারণে আগ্রহ আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৩০০ পুলিশী বাধায় জাগপার গণমিছিল পণ্ড গাজায় নজরদারির জন্য ২০০ গোয়েন্দা মিশন যুক্তরাজ্যের এমবিএসের প্রত্যাশিত পাকিস্তান সফর স্থগিত পুলিশ-সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার এমপি শাহজাহান জয়ের জিহ্বা কেটে নেয়ার হুমকি দিলেন জেলা আ’লীগ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মুক্তি ভোটের ফলে কোনো প্রভাব ফেলবে? টাইগারদের দৃষ্টি জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার দিকে প্রবাসী স্বামীকে তালাক দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণীর অনশন অল্প সময়ে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে সাফল্য আনলেন সালমান হোসেন

সকল