২১ মে ২০২৪, ০৭ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলকদ ১৪৪৫
`


আশা দেখছেন কোচ মিন্টু

-

জাতীয় দলের সহকারী কোচ ছিলেন জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু। দু’দিন আগে মারুফুল হক, সাইফুল বারী টিটু, রাশেদ পাপ্পু, জাকারিয়া বাবু, মাসুদ পারভেজ কায়সারের সাথে এএফসি প্রো-লাইসেন্স পান মিন্টু। তার আগেই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ জাতীয় দলের হেড কোচের দায়িত্ব পান তিনি। ৬ সেপ্টেম্বর থেকে থাইল্যান্ডের চনবুরিতে শুরু হবে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলের ‘এইচ’ গ্রুপের খেলা। এতে অংশ নিতে ৪ তারিখে রওনা হচ্ছে বাংলাদেশ দল। দেশের অন্যতম উঠতি কোচ মিন্টু। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ফুটবলে ভালো সময় কাটাচ্ছে বাংলাদেশ। সেই ধারাক্রমে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কাছে সবার প্রত্যাশা চূড়ান্ত পর্বে কোয়ালিফাই করা। ইয়াসিন আরাফাতরা কি পারবেন এই আশা পূরণ করতে। মিন্টু সরাসরি কিছু না বললেও একটু ঘুরিয়ে বলেন, তিন প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনের সাথে আমাদের পার্থক্যটা খুব বেশি নয়। ওদের ম্যাচ ভিডিও দেখে বুঝেছি, আহামরি কোনো দল নয়। সুতরাং আমাদের আশাবাদী হওয়ার সুযোগ আছে।’ উল্লেখ্য, গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে বা সেরা চার রানার্সআপের একটি হলে চূড়ান্ত পর্বে উঠা যাবে।
বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৬ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ার সাথে। এরপর ৯ তারিখে থাইল্যান্ড এবং ১২ সেপ্টেম্বর ফিলিপাইনের বিপক্ষে ম্যাচ। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ জানান, আমাদের প্রথম ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে পয়েন্ট পাওয়ার জন্যই লড়ব। এরপর বাকি ম্যাচের পরিকল্পনা। তার মতে, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড ৪-৩-৩ ফরমেশনে খেলে। ওদের ফুটবলাররা টেকনিক্যালি ভালো। আচরণও পোক্তদের মতো। তাদের বিপক্ষে আমরা যদি ছোটখাটো ভুল না করি তাহলে ভালো করা সম্ভব।
মিন্টুর দেয়া তথ্য, ‘থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া এই অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে নিয়ে গত দুই বছর ধরে কাজ করছে একই কোচের অধীনে। সেখানে আমরা তিন সপ্তাহের অনুশীলন করেছি। একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে। সেখানে ৪-১ গোলে জয়।’ তবে অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে পড়তে হয়েছে মানসম্পন্ন ফুটবলারের সঙ্কটে। এই দলে জাতীয় দলে খেলেছেন এমন ফুটবলারের সংখ্যা মাত্র তিনজন। এদের একজন ইয়াসিন আরাফাতকে দেয়া হয়েছে অধিনায়কত্ব। অন্য দুই জন হলেন মেরাজ হোসেন অপি ও এবারের সাফে খেলা রফিকুল ইসলাম ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ ও ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের দুই ফিফা প্রীতি ম্যাচ থাকায় কোচ হাভিয়ার কাবরেরা জাতীয় দলের সাত ফুটবলারকে ছাড়েনি। এরা হলেন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, মোহাম্মদ হৃদয়, শেখ মোরসালিন, দীপক রায়, মিতুল মারমা, রিমন হোসেন ও মুজিবুর রহমান জনি। এদের অনুপস্থিতি নিশ্চিত অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে খুব দুর্বল করে দিয়েছে। এদের পেতে দীর্ঘ সময় কোচ কারবেরার সাথে দেন দরবার করেও লাভ হয়নি। অবশ্য এ নিয়ে ভাবছেন না মিন্টু। সর্বশেষ লিগে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রে থাকা এই কোচের মতে, আমার কাছে যা আছে তাদের নিয়েই লড়তে হবে। নতুন যারা আছে তাদেরও সুযোগ নিজেদের প্রমাণের।
বাংলাদেশ ২০১৮ সালের এশিয়ান গেমসে ১-১ গোলে ড্র করেছিল থাইল্যান্ডের সাথে। এর আগে ১৯৯১ সালে বার্সেলোনা অলিম্পিক গেমস বাছাই পর্বে বাংলাদেশ প্রথম মোকাবেলায় ০-১ গোলে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে হারলেও ফিরতি ম্যাচে ১-০ তে জিতেছিল। আর ফিলিফাইনের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৮-০ গোলে জয়ের পর ফিরতি ম্যাচে ৩-০ গোলের জয়। অবশ্য এখন অনেক ভিন্ন ফিলিপাইন দল।


আরো সংবাদ



premium cement