০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


৬৩ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন লিটন ও মুশফিক

তিন অঙ্কের কোটা স্পর্শ করার পর লিটন দাসকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন অপর সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহীম : এএফপি -

ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে মাত্র ২৪ রানে পাঁচ উইকেট পতনের পর বাংলাদেশ দলের ইনিংস মেরামতে নেমে ৬৩ বছরের টেস্ট ক্রিকেটের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহীম। মাত্র ২৫ বা এর কম রানে প্রথম পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশ দলের হয়ে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে রেকর্ড পার্টনারশিপ গড়েছেন এ দুই টাইগার ব্যাটার।
এই সময় তারা ভেঙে দিয়েছেন উইলস মাথিয়াস ও সুজাউদ্দিনের রেকর্ড। ১৯৫৯ সালের ৬ মার্চ ঢাকা স্টেডিয়ামে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম) ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল পাকিস্তানের বিপক্ষে ২২ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর ৮৬ রান যোগ করেছিলেন তারা।
এবার বাংলাদেশ দলের এই দুই ব্যাটসম্যান এখানেই থেমে যায়নি। সাবলীল ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেট জুটির ১৯২ রানের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছেন তারা। এর আগে হওয়া ১৯১ রানের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডেরও অংশীদারও ছিলেন মুশফিকুর। ২০০৭ সালে কলোম্বোয় আশরাফুলকে নিয়ে এই লঙ্কানদের বিপক্ষেই রেকর্ডটি গড়েছিলেন।
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৪ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর ষষ্ঠ উইকেটে জুটি বেঁধে দিন শেষে ৪৬৯ বলে ২৫৩ রান যোগ করে অবিচ্ছিন্ন থাকেন তারা। লঙ্কানদের বিপক্ষে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে সেরা হলেও, যেকোনো উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এটি। সব মিলিয়ে যেকোনো উইকেটে বাংলাদেশের পক্ষে জুটিতে মুশফিক-লিটনের ২৫৩ রান বিশ্বআসরে পঞ্চম স্থানে। বিশ্ব ক্রিকেট ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ রান ৩৯৯। ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৯৯ রান করেছিলেন ইংল্যান্ডের বেন ও বেয়ারস্টো।
আর টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে যেকোনো উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রান ৩৫৯। ২০১৭ সালে ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে ৩৫৯ রান করেছিলেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহীম। ওই ম্যাচে সাকিব ২১৭ ও মুশফিক ১৫৯ রান করেছিলেন।
ঢাকা টেস্টের আগে মুশফিক-লিটনের জুটির পরিসংখ্যান ছিল- ১৫ ইনিংসে ৮৮২ রান। এক হাজার রান হতে আরো ১১৮ রান দরকার ছিল তাদের। ১১৮ রানের দরকার পূরণ করে জুটিতে এক হাজারে পা রাখেন মুশফিক ও লিটন। ১৬ ইনিংসে চারটি করে সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরির জুটিতে এখন মুশফিক-লিটনের রান ১১৩৫। বাংলাদেশের পক্ষে জুটিতে সবচেয়ে বেশি রান মুশফিক ও সাকিবের। ৬২ ইনিংসে চারটি সেঞ্চুরি ও ১৭টি হাফসেঞ্চুরিতে ২৫৯৮ রান আছে তাদের।
মুশফিকের ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি
বাংলাদেশের শুরুর ব্যাটিং ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন মুশফিকুর রহীম। লিটন কুমার দাসকে সাথে নিয়ে লঙ্কান বোলারদের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছেন মি. ডিপেন্ডেবল। সেই সাথে লিটনের সাথে তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি।
সিরিজের প্রথম টেস্টেও সাগরিকায় দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মুশফিক। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সাদা পোশাকের সে ম্যাচে লাসিথ এম্বুলদেনিয়ার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১০৫ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন অভিজ্ঞ এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। ক্যারিয়ারের ৮২তম টেস্টে এসে নবম শতকের দেখা পেলেন মুশফিক। ২১৮ বলের মোকাবেলায় ১১ চারে বরাবর ১০০ রানের দেখা পান ৩৪ বছর বয়সী ক্রিকেটার।


আরো সংবাদ



premium cement