১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


কাউন্সিলরশিপের বাধ্যবাধকতা

-

দরজায় কড়া নাড়ছে বাফুফের নির্বাচন। হিসেবে তা আগামী বছর। তবে মাসের দূরত্ব চার মাসের কাছাকাছি। এপ্রিলে হবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পরবর্তী নির্বাচন। ১৬ নভেম্বর এজিএম (বার্ষিক সাধারণ সভা) পর্ব ভালোয় ভালোয় পার করতে পেরেছে বাফুফে। এখন আগামী নির্বাচনকে ঘিরে করণীয় ঠিক করতেই ডাকা হবে জরুরি সাধারণ সভা (ইজিএম)। এই ইজিএমের তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। গতকাল বাফুফের জরুরি সভায় এই ইজিএম নিয়ে আলোচনা হয়। এই ইজিএমএ বাফুফে একটি আইন পাস করতে যাচ্ছে, তা হলো কাউন্সিলর ছাড়া কেউ বাফুফের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না। ২০১২ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনে কাউন্সিলর ছাড়াই নির্বাচন করেছিল অনেকে। অবশ্য এটাও করা হয়েছিল নির্বাচন কেন্দ্রিক নোংরামি বন্ধ করাতে। অতীতে দেখা গেছে, প্রতিপক্ষ কেউ যাতে নির্বাচন করতে না পারে এই জন্য কৌশলে তার কাউন্সিলরশিপ আটকে দেয়া হয়েছে। এটা শুধু বাফুফেতেই নয়, অন্য ফেডারেশনগুলোতেও হয়েছে তা। তাই পরে ফিফার নির্দেশে কাউন্সিলরশিপ ছাড়াই নির্বাচন করার নিয়ম বাফুফেতে।
অবশ্য আগের নিয়ম বাতিল করতে গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে হবে। তা সাধারণ সভার দুই-তৃতীয়াংশের ভোটে পাস হতে হবে। এ জন্য ডাকতে হবে ইজিএম। বাফুফের নির্বাহী কমিটির পক্ষে এই পাস করা সম্ভব নয়। ইজিএম করার জন্যও আবার প্রয়োজন নির্বাহী কমিটির অনুমোদনও। তাই গতকাল জরুরি সভা ডেকে এই ইজিএম করার অনুমিত আদায়। ইজিএম ডাকতে দুই সপ্তাহ আগে নোটিশ দিতে হবে। বাফুফে শিগগিরই এই মর্মে চিঠি দেবে তাদের অ্যাফিলিয়েশনভুক্ত সদস্যদের। কাল জরুরি সভা শেষে বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী জানান, ‘আমরা ইজিএম করব। নির্বাহী কমিটি সেই অনুমতি দিয়েছে।’ জানা গেছে জানুয়ারিতে হতে পারে এই ইজিএম।
বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য যদি প্রার্থী হন তাহলে কেন তাদের ভোটাধিকার থাকতে না এই নিয়েই আলোচনা হয়। আগে বাফুফের নির্বাচনে ক্ষমতায় থাকা প্রার্থীরা ভোট দিতে পারতেন। কিন্তু পরে ফিফার নির্দেশে রহিত করা হয় এই সুযোগ। এতে করে নির্বাহী কমিটিতে থাকা প্রার্থীরা সরাসরি ভোট দিতে পারতেন না। তাদের পক্ষে অতিথি হিসেবে তাদেরই পছন্দের একজন ভোট দিতেন। এতে করে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছে প্রার্থীদের। জানা গেছে, এই অতিথি ভোটাররাই বেঈমানী করেছেন। তাই এবারের নির্বাচনে বাফুফের ক্ষমতায় থাকা সদস্যরা চান ভোটাধিকার। যদি তারা প্রার্থী হন। সবই পাস হতে হবে ইজিএমএ।
এবারের বাফুফের নির্বাচন বেশ আলোচিত বিষয়। বিশেষ করে সভাপিত পদে। কাজী সালাউদ্দিন প্রার্থী হচ্ছেন। তাবে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত সাইফ স্পোর্টিং কাবের তরফদার রুহুল আমিন। আবার বাফুফের বর্তমান কমিটির দুই এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাও সভাপতি পদে দাঁড়াতে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। এরা অবশ্য ভোটারদের কাছে রাখতে নানা কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন। মজার ব্যাপার হলো এই সুযোগে সুবিধাবাদী কিছু কর্মকর্তা যারা আগামী নির্বাচনে কাউন্সিলর হবেন তারা সব পক্ষেরই আস্থাভাজন হয়ে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন। তারা একপক্ষকে সমর্থন জানিয়ে অন্যদের সাথে যে বিশ^াসঘাতকতা করবেন তা নিশ্চিত। অতীতে তাই হয়েছে ন্যক্কারজনকভাবে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল