আগডুম বাগডুম কবিতা
- ২১ জুন ২০২৪, ০০:৪৭
কোরবানি
নজরুল ইসলাম শান্তু
আরবের বুকে মরু প্রান্তরে ছিল না বসত বাড়ি,
সেখানে প্রথম ঠিকানা গড়েন মহীয়সী এক নারী।
নারীর গর্ভে জন্মালো-এক ফুটফুটে শিশু ছেলে,
মায়ের আদরে বুকের চাঁদরে কুদরতি জ্ঞান জ্বেলে।
সেই ইতিহাস আল্লাহর পথে বনি আদমের গায়ে,
নহর সৃজন আবে জম-জম, সেই শিশুটির পায়ে।
ইবরাহিম ও বিবি হাজেরার ইতিহাস যদি জানি,
বিশ্বাস করে সত্যের পথে দিতে হবে কোরবানি।
শোন মুসলিম ঈমানের জোরে নিজ পুত্রের গলে,
অস্ত্র চালান পিতা ইবরাহিম সচেতন বাহুবলে।
পুত্রের গলে হাঁকেন ছুরি বারবার যতবার,
আল্লাহর পথে এই ত্যাগ যেন ঈমানের অধিকার।
পুত্র প্রকাশ পিতাকে তখন আমি যে তোমার শিশু,
বলছি আমার পা-যুগলও হাত বেঁধে দাও বাবা পিছু।
পুত্র মমতা ক্ষণে ক্ষণে আজ দিচ্ছে তোমায় বাঁধা,
কোরবানি হতে প্রস্তুত আমি আরবের শাহজাদা।
পুত্রের গলে চোখবেঁধে পিতা চালান আবার ছোরা,
আল্লাহর কাছে উৎসর্গিত প্রাণ হলো এক জোড়া।
পুত্র অক্ষত পাশে দুম্বা জবাই যে ময়দানে,
চোখ খুলে পিতা সেজদায় লুটেন আল্লাহর গুণগানে।
ইবরাহিমের অবুঝ বালক হাজেরার আঁখিমণি,
বাবার সাথে দেন স্বজোরে আল্লাহু আকবার ধ্বনি।
ইবরাহিম ও ইসমাঈলের ত্যাগের মহিমায় আজ,
কোরবানি হয় যুগে যুগে দেখি জ্বালিয়ে মনের তাজ।
রাত চলে যাক
মীর ইসরাত জাহান
প্রজন্ম ঐ সম্মোহনী ডাকে
আছড়ে পড়ছে বাঁকের পরে বাঁকে
তুলে নাও তাকে হাত ধরো তার মুঠো
অমানিশা ঘোর দু’পায়ে মাড়িয়ে উঠো।
হাজারো দরজা খুলে যাক আমাদেরো
এবার সবাই শুদ্ধ আলোয় ফেরো
তিমির আঁধারে জোনাকিরা জ্বলে দেখো
তারাদের মেলে চাঁদের স্ফুরণ মেখো।
আমরা জিতেনি (নিই) জীবনের মহাসত্য
আলোর ফোয়ারা আসুক ছন্দবদ্ধ।
ঈদ-বৃত্তান্ত
এম আব্দুল হালীম বাচ্চু
ঈদ এলো ঈদ এলো, যানজট নিয়ে
দেখে যেন মনে হয়, গাড়িদের বিয়ে!
যতদূর চোখ যায়, গাড়ি আর গাড়ি
দিন শেষে মনে হয়, গাড়িটাই বাড়ি!
ঈদ এলো ঈদ এলো, গরমের মাসে
সূর্যের তাপে দেহ, পুরোটাই ভাসে!
পাশে বসা ছেলেমেয়ে, বারবার কয়
তৃষ্ণায় বুক ফাটে, কত আর সয়!
ঈদ এলো ঈদ এলো, কেউ ভালো নেই
নামী-দামি যেই হোক, চুপ সকলেই!
কেউ আছে গাবতলী, কেউ ভুয়াপুর
পাশে থাকা বুড়োটাও, বলে ওঠে ধুর!
ঈদ এলো ঈদ এলো, গাড়িদের ভিড়ে
কেউ আছে নদীপথে, কেউ আছে তীরে!
ভোর হলে কেউ যাবে, নিজ নিজ ঘরে
কেউ যাবে নিশ্চিত, জোহরের পরে!
ঈদ এলো ঈদ এলো, আমাদের দেশে
সময়ের অপচয়ে, খুশি যায় ভেসে!
পথে কাটে রাতদিন, জেলখানা যেন
পথে কেন এত জ্বালা কেন, কেন, কেন?
পাখির সংসার
নূরজাহান নীরা
ছোট্ট একটি ভেন্টিলেটর
তারই ছোট্ট ফাঁকে
দু’টি চড়ুই ঘুরে ঘুরে
কত স্বপ্ন আঁকে।
ছোট খোপে খড়কুটোতে
বাঁধে ছোট বাসা
এই বাসাকে ঘিরে তাদের
আগামীর সব আশা।
মা পাখিটি তা দেয় ডিমে
যতœ নিয়ে অতি
সারাক্ষণ সে সতর্কতায়
না হয় যেনো ক্ষতি।
ক্ষুধা পেলে ছানা দু’টি
কিচিকিচি ডাকে
প্রয়োজন সব ব্যাকুলতায়
জানান দেয় যে মাকে।
মা বাবা তার খাবার খুঁজে
তুলছে ছানার মুখে
এমনি করেই পাখি দু’টির
দিন কাটে বেশ সুখে।
হোক না পাখি, ছোট্ট বাসা
তবুও কত মায়া
ইট-পাথরের দেয়াল ঘেঁষেও
যেন গাছের ছায়া।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা